মিয়ানমারের কারাগারে সাজার মেয়াদ শেষ হওয়া ৮৫ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। গতকাল শনিবার সকালে সিতওয়ে বন্দর থেকে রওনা হয়েছে তারা। অন্যদিকে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ১২৩ সদস্য আজ (রবিবার) দেশে ফিরবেন।
রাখাইন রাজ্যে চলমান সঙ্ঘাতে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসা মিয়ানমার প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে কক্সবাজারে আগত মিয়ানমারের নৌবাহিনীর জাহাজ ‘ইউএমএস চিন ডুইন’ প্রত্যাবাসিতদের বহন করছে। জাহাজটি আজ রোববার সকালের মধ্যে কক্সবাজারে পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
প্রত্যাগত ৮৫ জন বাংলাদেশীর মধ্যে ২৬ জন মিয়ানমারের মলামাইন কারাগারে, ১৬ জন পাথেইন কারাগারে, তিনজন চকমারউ কারাগারে এবং বাকিরা রাখাইনের বিভিন্ন কারাগারে ছিলেন। প্রত্যাবর্তনকারীদের অধিকাংশই (৫৬ জন) কক্সবাজার, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার এবং বাকিরা বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী ও ঢাকা জেলার।
ইয়াঙ্গুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং সিতওয়েস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের অব্যাহত প্রচেষ্টায় আরো একবার বাংলাদেশী নাগরিকদের দেশে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়েছে। এ নিয়ে ১৫ মাসে মিয়ানমারে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস সর্বমোট ৩৩২ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।
অন্যদিকে, জাহাজটি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যদের নিজ দেশে ফিরেয়ে আনবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ১২৩ সদস্যকে রবিবার নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। দুপুরে কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছটার বিআইডব্লিউটিএ জেটিঘাট থেকে জাহাজে করে তাদের মিয়ানামারে ফেরত পাঠানো হবে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরকান আর্মির সঙ্গে সরকারি বাহিনীর চলমান সংঘাতের মধ্যে গত দুই মাসে কয়েক দফায় নাফ নদী অতিক্রম করে সে দেশের সেনাবাহিনী এবং বিজিপির ১২৩ সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
দূতাবাস জানায়, গত ১৫ মাসে মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরেছেন ৩৩২ বাংলাদেশি। সর্বশেষ চলতি বছরের ৮ জুন ৪৫ জন বাংলাদেশী নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
এবি