যশোরের বেনাপোল চেকপোষ্টে অভিযান চালিয়ে পাসপোর্টধারীদের সাথে প্রতারণা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে ৫ প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের শরীর তল্লাশী করে প্রত্যেকের পকেট থেকে ১১০ পুরিয়া হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। এরা সবাই হেরোইন, ফেনসিডিল ও অন্যান্য মাদকসাক্ত এবং বিভিন্ন মামলার আসামি বলে পুলিশ জানায়।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ভারতগামী পাসপোর্টধারীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চৌধুরী সুপার মার্কেটের গোপন ঘর থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেপ্তাতরকৃতরা হলেন- বেনাপোল পোর্ট থানার সাদিপুর গ্রামের সাহাজুল ইসলামের ছেলে আসাদুল (২৯), একই গ্রামের ইশার উদ্দিনের ছেলে মিরাজ হোসেন (৩৫), বড় আচড়া গ্রামের গ্রামের সমেদ হাওলাদারের ছেলে শামিম হোসেন (৪০) ওরফে বরিশাল শামিম, ঘিবা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে রনি (৩২) ও দিঘীরপাড় গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ইমরান হোসেন (৩৪)।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত জানান, পাসপোর্টধারীদের জিম্মি করে প্রতারনার অভিযোগে চেকপোষ্ট সীমান্তে গোপন আস্তানাগুলো বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতারকরা সেসব ঘরের তালা ভেঙে আবারও আস্তানা গড়ে পাসপোর্টধারীদের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নিচ্ছে। প্রতারণার অভিযোগে অভিযান চালিয়ে একটি আস্তানা থেকে ৫ চিহ্নিত ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের শরীর তল্লাশী করে প্রত্যেকের পকেট থেকে হেরোইনের ১১০টি পুরিয়া উদ্ধার করা হয়। এছাড়া প্রতারণার মাধ্যমে ছিনিয়ে নেওয়া অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া হয় পাসপোর্টধারীদের। এদের নামে থানায় বিভিন্ন মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মাদক ও প্রতারনার মামলা দায়ের হয়েছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন ভোর ৩টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রতারকরা বন্দরের চেকপোস্ট বাস টার্মিনাল ও প্যাজেঞ্জার টার্মিনালের সামনে থেকে ফরম লেখার কথা বলে প্রকাশ্যে ভারতগামী পাসপোর্টযাত্রীদের তাদের আস্তানায় ডেকে নিয়ে টাকা ছিনিয়ে নিচ্ছে। এসব ঘর মালিকরা বেশি লোভের আশায় এসব প্রতারকদের কাছে ঘর ভাড়া দিচ্ছে। আর প্রতারকরা সাইনবোর্ডবিহীন এসব আস্তানায় নিয়ে পাসপোর্টধারীদর জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। গত সপ্তাহে চেকপোষ্ট এলাকায় কয়েকজন পাসপোর্টযাত্রীর কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ৮টি ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয় পুলিশ। তবে প্রতারকরা সেই তালা ভেঙে ঘরে বসে আবার শুরু করেছে প্রতারণা। এদের বিরুদ্ধে একাধিকবার দেওয়া হয়েছে প্রতারণা মামলা। তবে বার বার তারা জেল থেকে ফিরে এসে আবারো প্রতারণায় জড়াচ্ছে। কোনভাবে বন্ধ হচ্ছে এসব কার্যক্রম।
এইচএ