কুড়িগ্রামের ৮ উপজেলায় হাজারো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। প্রায় ৫ হাজার পরিবার নিদারুণ কষ্টে দিনানিপাত করছে। অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও গবাদিপশু-পাখি নিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন সরকারি রাস্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের ওপর।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে প্লাবিত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামে প্রায় ৪০ কিলোমিটার তিস্তা অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে গেছে শতশত হেক্টর জমির আমন, বাদামসহ বিভিন্ন ফসল। চরাঞ্চলের ঘর-বাড়িতে প্রবেশ করেছে বন্যার পানি।
পানিবন্দি হয়ে স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, রোববার ভোরে তাদের বাড়িতে ৩ থেকে ৪ ফুট পানি ওঠে। তারা প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও গবাদিপশু-পাখি নিয়ে সরকারি রাস্তার ওপর আশ্রয় নিয়েছেন। তার দশ বিঘা জমির আমন ধানের মধ্যে ৭ বিঘা জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। প্রায় এক বিঘা জমির শাক-সবজি খেতও পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে।
তবে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বন্যার পানিতে আমনের তেমন ক্ষতি হবে না। উল্টো বন্যার পানির কারণে আমনের উপকার হবে। তবে দ্রুত বন্যার পানি না নামলে পানির নিচে তলিয়ে থাকা শাক-সবজির ক্ষতি হবে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে বৃষ্টিপাত কমে আসায় আজকের মধ্যেই নদ-নদীর পানি হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা।
কুড়িগ্রামের বন্যার সবশেষ তথ্য জানতে- ০১৭১৩২০০০৯১ (এস এম ফয়সাল শামীম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, সময়ের কন্ঠস্বর)
এফএস