

মোঃ হৃদয় খান, স্টাফ রিপোর্টার: দুর্নীতিদমন কমিশন বা দুদকের একটাই শ্লোগান ‘দুর্নীতি করবো না, দুর্নীতি করতে দিব না’। কিন্তু নরসিংদীতে মাদক ও ক্যান্সারের মত বিস্তার লাভ করছে দুর্নীতি। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে নরসিংদী গণপূর্ত ভবন। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর প্রতি কোন তোয়াক্কা না করে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণ করে নরসিংদীর গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী স্বদেশ রঞ্জন বড়ুয়া’র বিরুদ্ধে ঠিকাদারের পাওনা টাকার বিলে স্বাক্ষর না করা সহ ব্যাপক দুর্নীীতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নিজেই লোক দিয়ে কাজ করিয়ে নামধারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে বিল-ভাউচার করে দেদারছে টাকা উত্তোলন করে নিচ্ছেন।
গণপূর্ত অধিদপ্তর, ঢাকা-এর প্রধান প্রকৌশলী এবং গণপূর্ত সার্কেল-৪,ঢাকা’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বরাবর অভিযোগ করেও কোন সমাধান পাওয়া যায়নি। ফলে বাধ্য হয়ে দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ‘মেসার্স পারুল এন্ড ব্রাদার্স ’ এবং ‘রুপা এন্টারপ্রাইজ’-এর পক্ষে পারুল এন্ড ব্রাদার্স-এর সত্ত্বাধিকারী মো: খোরশেদ মৃধা।
অভিযোগে জানা গেছে, গত অর্থ বছরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের বিভিন্ন সেকশনে এসি সার্ভিসিং মেরামত, নরসিংদী ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়ে জরুরী মেরামত, গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী দপ্তরে ইন্টারনেট কানেকশন ও আই পি এস সরবরাহ, পাম্প মটর মেরামত, জেলা কারাগারে দৈনন্দিন ইলেকট্রিক কাজ সহ বিভিন্ন কার্য সম্পাদন করে । যথাসময়ে বিল জমা দেয়ার পর তাতে স্বাক্ষর করতে তাল বাহানা করে প্রকৌশলী স্বদেশ রঞ্জন বড়ুয়া। পরে নিরুপায় হয়ে ঠিকাদার গত বছর প্রথমে ৫০হাজার উৎকোচ দিলে কিছু বিলে স্বাক্ষর করে নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে পাঠায়। পরবর্তীতে গত বছরের ২৯ জুন তারিখে আরও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ দেয়ার পর আরো বিল স্বাক্ষর করে নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে প্রেরণ করে।
যার ফলে ঠিকঠাকভাবে কাজ সম্পন্ন করলেও উৎকোচ না দিলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ঠিকাদারদের। এছাড়াও নরসিংদী গণপূর্ত বিভাগে নিয়মিত কাজে লিপ্ত বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিকগণ তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি,স্বজনপ্রীতি সহ নানাহ অপকর্মের ফিরিস্তি তুলে ধরে অনতিবিলম্বে তার শাস্তি দাবী করেন।
এসব বিষয়ে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী স্বদেশ রঞ্জন বড়ুয়া’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।