

অনীল চন্দ্র রায়, ফুলবাড়ী প্রতিনিধি:
ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই খুশী। মুসলমানদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হল ঈদ। তাই ঈদে নতুন কাপড় না হলে কি ঈদ হয়। ঈদে নতুন জামা, প্যান্ট, থ্রিপিস, পায়জামা, পাঞ্জবী ছাড়া ঈদের আনন্দ যেন ঘরে আসে না তাদের। আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের পছন্দের পোশাক তৈরীতে ব্যস্ত সময় পাড় করছে শতাধিক টেইলার্সের কারীগররা। দিন-রাত নতুন নতুন পোশাক তৈরী করতে চলেছে।
টেইলার্সের মালিক ও কারীগররা ব্যবসায় ভাল মুনাফার আশায় প্রতি ঈদের অপেক্ষায় থাকে। তারা এক বছরের আয় করে নিবে। সে প্রতি বছরের রমজান মাস আসলে তাদের কাজের ব্যস্ততা দ্বিগুন বেড়ে যায়। এমনকি ঈদে কাজের চাপে তারা ঠিকমত খাওয়া-দাওয়া ও ঘুম পর্যন্ত পাড়ে না। সঠিক সময়ে ক্রেতাদের তৈরী পোশাক ডেলিাভারী দিতে হবে। জুয়েল ও মমিনুল ইসলাস সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, ছোট বেলা থেকে তারা তৈরী করা র্শাট-প্যান্ট সহ পায়জামা-পাঞ্জবী ব্যবহার করেন। প্রতি বছরে ঈদে পরিবারের সদস্যদের জন্য পাঁচ-ছয় সেট পোশাক বানাতে হয়। এ ঈদেও ব্যতিক্রম হয়নি। এবারে টেইলার্সের মালিক একটি শার্ট-প্যান্ট তৈরী করা বাবদ ৭৫০ টাকা মজুরী নিয়েছে।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী হাজী মার্কেটের স্টাইল টেইলার্সের মালিক এরশাদুল হক ও বালারহাট বাজারের নারায়ণ টেইলার্সের মালিক পবিত্র চন্দ্র রায় প্রতিবেদককে জানান, দশ জন কারীগরদের দিয়ে আমরা প্রতিষ্ঠান চালতে হয়। রোজার শুরুর আগ থেকে কাস্টমারদের অর্ডার বেশি হওয়ায় আরো কয়েক জন কারিগর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারপরেও কাস্টমার সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গত বারের তুলনায় এবারে কাজের অর্ডার অনেক বেশি। তারা আরো জানান, আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমরা বিভিন্ন ফ্যাশানের তৈরী পোশাক বানিয়ে থাকি। তাদের মজুরী প্রসঙ্গে জানান ঈদে কারিগরদের পারিশ্রমিক বাড়ার কারণে একটি প্যান্টের মজুরী ৩৫০ টাকা ও শার্টের মজুরী ২৫০ টাকা এবং মহিলাদের পোশাক তৈরীতে নেওয়া হয় ২শ থেকে ৩শ টাকা।