

অভয়নগর প্রতিনিধি: যশোরের অভয়নগর উপজেলার ভাটপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইমরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের আভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে যশোর পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন। এলাকাবাসীর পক্ষে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের পাঁচজন ইউপি মেম্বার এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগে প্রকাশ, ভাটপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইমরুল ইসলাম ওই কেন্দ্রে যোগদানের পর থেকে বাঘুটিয়া ইউনিয়নকে মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিনত করেছে। সিংগাড়ী গ্রামের রাসেল হোসেন (৩০) নাজিম শেখ (২৮) হেকমত শেখ (৪৫) কচি শেখ (৩৫) রুবেল মোল্যা (৩৪) অবাধে এবং প্রকাশ্যে গাজা বিক্রয় করে আসছে । ইনচার্জ ইমরুল ইসলাম ওই গাজা বিক্রয়কারীদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা আদায় করে থাকে এবং ওই মাদক বিক্রেতাদের সাথে তিনি সখ্যতা গড়ে তুলেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি বিভিন্ন সময় নিরিহ ও নির্দোষ ব্যক্তিদের ভয় দেখিয়ে ও তাদের নামে মিথ্যা মামলা করে চাঁদা আদায় করেন। এর মধ্যে আদালত কর্তৃক উপজেলার ভুগিলহাট গ্রামের গ্রিল ব্যবসায়ী মশিয়ার রহমানের বাড়ির মাল ক্রোকের আদেশ হয়। কিন্তু ইমরুল তার কাছে ৫ হাজার টাকা দাবী করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে উত্তেজিত হয়ে তাকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, শিবনগর গ্রামের মশিয়ার রহমানের পকেটে গাঁজা ভরে তার নামে ওই কর্মকর্তা মামলা দেয়। উক্ত বিষয়টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানালে তিনি এলাকাবাসীর নিকট দুঃখ প্রকাশ করেন এবং এমন ঘটনা আর ঘটবে না বলে আশ্বস্ত করেন। গত ২০ তারিখ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিংগাড়ি গ্রামের জলিল মোড়লের বাড়ি গিয়ে তাকে না পেয়ে তার স্ত্রীকে গালিগালাজ করে। পরে ভাটপাড়া বাজারে তাকে পেয়ে কিল, ঘুষি, চড় ও লাথি মারে।
অভিযোগে স্বাক্ষর করা নবনির্বাচিত ইউপি মেম্বার ওসমান আলী বলেন,‘ ইমরুল দারোগা আসার পর থেকে এলাকা মাদকের স্বর্গ রাজ্য তৈরী হয়েছে। বয়স্কদের সাথে সে প্রায়ই খারাপ আচরণ করে। মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে যারতার কাছে চাঁদা আদায় করে। ভাটপাড়া বাজার কমিটির সভাপতি ও সাবেক মেম্বার আতিয়ার রহমান মোল্যা বলেন,‘ ইমরুল খুব বেপরোয়া। এলাকার সাধারণ মানুষদের হয়রানি করে মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে থাকে। এলাকার মাদক বিক্রেতাদের সাথে তার রয়েছে বিশেষ সখ্যতা।