

সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক -সুন্দরবনের পরিবেশরক্ষায় পাশের এলাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের মধ্যে রামপালে মৈত্রী সুপার থারমাল বিদ্যুৎ প্রকল্পে মূল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড (বিএইচইএল) নামে ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ভারতীয় ওই কম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল)।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ভারতীয় ওই কম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল)। এ সময় বিআইএফপিসিএলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক উজ্জ্বল কান্তি ভট্টাচার্য এবং বিএইচইএলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রেম পাল যাদব চুক্তিতে সই করেন। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার এই কেন্দ্র নির্মাণে প্রয়োজনীয় ১ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করবে ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক।
এ ছাড়াও বিআইএফপিসিএলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ বিপিডিবি এবং ভারতের এনটিপিসি’র সমান অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিআইএফপিসিএল কোম্পানি হিসাবে নিবন্ধিত হয়। মৈত্রী সুপার থারমাল পাওয়ার প্রজেক্ট বিআইএফপিসিএলের প্রথম প্রকল্প, যা সরকারের অগ্রাধিকার হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। এদিকে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহি চৌধুরী বলেন, “সম্প্রতি বাংলাদেশেরই একজন গবেষক বলেছেন, রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না, যেটা আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি। তিনি আরো বলেন, “পরিবেশের জন্য হুমকি বা ক্ষতিকর কিছু এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে হবে না। নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিলে সরকারের পক্ষ থেকেও তেমন ব্যবস্থাই নেওয়া হবে।”
একই সঙ্গে ঠিক সময়ে কাজ শেষ করতে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানান জ্বালানি উপদেষ্টা। অপরদিকে রামপালে কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হলে সুন্দরবন হুমকির মুখে পড়বে আশঙ্কা প্রকাশ করে এর বিরোধিতা করে আসছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। তাদের সঙ্গে কিছু পরিবেশবিদ ও রামপালের বাসিন্দারাও রয়েছেন।