

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক – দেড় শতাধিক মৃত্যু, প্রায় দেড় হাজার আহত এবং প্রায় তিন হাজার সেনাকে বন্দি করার মাধ্যমে শেষ হলো তুরস্কের রক্তাক্ত ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টা। দেশটির প্রধানমন্ত্রীর বিনালি ইলদিরিম একে দেশটির ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটি কালো দাগ’ মন্তব্য করে সেনাবাহিনীর একাংশের এই ‘অপচেষ্টা’ শেষ হয়েছে বলে ঘোষণা করেন। ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের বিচারের মুখোমুখি হবে বলেও টেলিভিশনে দেয়া বক্তৃতায় জানান ইলদিরিম।
ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টায় ১৬১ জনের বেশি নিহত, ১ হাজার ৪৪০ জন আহত এবং ২ হাজার ৮৩৯ জন সেনাকে আটক করা হয়।
সরকার উৎখাত চেষ্টার তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জুলাইয়ে ১৫ তারিখের রাত, শুক্রবার তুরস্কের গণতন্ত্রের জন্য জন্য একটি কালিমা’। ‘আমরা জটিল সমস্যা প্রতিহত করতে সক্ষম করতে হয়েছি’ বলেও দাবি করেন তিনি।
অভ্যুত্থান চেষ্টার পর ‘পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে’ উল্লেখ করে এর সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ২ হাজার ৮৩৯ জন সেনাকে আটক করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানও অভ্যুত্থানের চেষ্টা সরকার ও জনগণ নস্যাৎ করে দিতে সফল হয়েছে বলে জানান। ঘটনাটিকে ‘রাষ্ট্রদোহী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, এখনো তার সরকারের হাতেই তুরস্কের ক্ষমতা রয়েছে।
আঙ্কারা, ইস্তাম্বুলসহ বিভিন্ন এলাকায় গোলাগুলি ও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর একটি অংশ ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করেছিল বলে জানান ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান জেনারেল উমিত দুন্দার। তবে এই অভ্যুত্থানের পেছনে মূল পরিকল্পনাকারী কে, তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি।