

সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা- ‘নির্বাচন কমিশনের আলাদা সত্ত্বা নেই, ওটা আওয়ামী লীগেরই একটি অঙ্গ সংগঠন’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর নয়পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘কাদের সাহেবরা রাতের আঁধারে সরকার নির্বাচনকে ভোট ডাকাতির কালচারে পরিণত করেছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন হলো আওয়ামী ইতিহাসের ধারাবাহিক ভোট ডাকাতির আরেকটি নজীরবিহীন দৃষ্টান্ত।
রিজভী বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় ধানের শীষের প্রার্থীদের এজেন্টদের মারধর করে তাড়িয়ে দিয়ে ভোট ডাকাতির উৎসব করেছে আওয়ামী লীগ।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘ইভিএমে ফল দিতে সর্বোচ্চ এক-দুই ঘণ্টার বেশি লাগার কথা নয়। ডাকাতির পর ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে হিসাব মেলাতেই এই দীর্ঘ সময় লেগেছে। বহু হিসাব-নিকাশ করে তারা দেখিয়েছে নির্বাচনে ২২ শতাংশ ভোট পড়েছে। তার মানে হচ্ছে, বন্দর নগরীর ৭৮ শতাংশের বেশি ভোটার বুধবারের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। এই প্রত্যাখ্যান ভোট সন্ত্রাসী ক্ষমতাসীনদের বলদর্পী শাসন-শোষণ ও নতজানু-মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে।’
তিনি বলেন, “কুয়েতের আদালতে বর্তমান সংসদের একজন সাজা হওয়ার ঘটনায় বর্তমান সরকারের দুর্নীতির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। একবার পেয়েছিল পদ্মা সেতু নিয়ে, এই আবার পেল।
“এটিতে সরকারের টনক না লড়লেও দেশের জন্য লজ্জার। বর্তমান নিশিরাতের ভোটের সরকার এর দায় এড়াতে পারে না।”
রিজভী বলেন, বর্তমান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া পাপুলের মতো এমপিরা বেপরোয়া দুর্নীতি করার সাহস পেত না। তার কোনো ‘পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড’ নাই। প্রচুর টাকার কারণে তাকে এমপি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তার স্ত্রীকেও এমপি করা হয়েছে।
“এভাবে বিরাজনীতিকীকরণ… রাজনীতিকে একটা নষ্ট জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্পন্ন করেছে এই আওয়ামী লীগ; দুর্বৃত্তায়নের চরম পর্যায় নিয়ে গেছে রাজনীতিকে।”