

সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতির অভিযোগ দিয়ে বিশ্বব্যাংক তাদের সহযোগিতার হাত ফিরিয়ে নিয়েছিলো। তারা চলে গেলেও আমরা আমাদের টাকা দিয়েই পদ্মা সেতু করেছি। আগামী জুন মাসেই চন্দ্রালোকিত পূর্ণিমা রাতে পদ্মা সেতুতে দাঁড়িয়ে বাংলার মানুষ পূর্ণিমার চাঁদ দেখবে।
শনিবার (২১ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী সপ্তাহের শেষে সামারি পাঠাবো নেত্রীকে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে)। তিনি তখন সময় দেবেন। সেই সময় আমরা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবো।
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন বলেই আজকে দেশের এত সমৃদ্ধি। বঙ্গবন্ধু আমাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতা দিয়েছেন। আর শেখ হাসিনা দিয়েছেন অর্থনৈতিক মুক্তি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশের মানুষ ভালো থাকলে তো বিএনপির মন খারাপ করে। পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, তরুণ প্রজন্মের মেট্রোরেল তো হয়েই গেলো। ফখরুল সাহেব এবার কী বলবেন? তিনি নিশ্চয় বলবেন, শেখ হাসিনা সব করেই ফেললেন, আমরা কিছু পারলাম না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন আসছে কী দেখাবেন? জনগণকে কী দেখিয়ে ভোট চাইবেন? আপনাদের নেতা তো পলাতক দণ্ডিত তারেক রহমান। তাহলে প্রধানমন্ত্রী হবেন কে? দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত বেগম খালেদা জিয়া?’
তিনি আরও বলেন, ‘১৩ বছর আন্দোলন করলেন। প্রতি বছর বলেন, ঈদের পর আন্দোলন..। ১৩ বছরে কত ঈদ এলো, আর কত ঈদ যে গেলো। আন্দোলন আর হলো না। আন্দোলনেও বিএনপি ফেল মেরেছে, নির্বাচনেও ফেল করেছে। এখন বলে বেড়াচ্ছেন, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস করে পরবর্তী নির্বাচনে জিতবে। আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী করে না, সন্ত্রাস করে বিএনপি। এটা তো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।’
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, দেশে বাকস্বাধীনতা রয়েছে বলেই যখন-তখন গণমাধ্যম ব্যবহার করে বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল অযৌক্তিক বক্তব্য দিয়ে জনবিভ্রান্তি তৈরি করতে চায়।
তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে যারা সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের জন্ম দিয়েছে, তারা বঙ্গবন্ধুকন্যাকে ভয় পায়। তাদের সব ষড়যন্ত্র দেশ, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে শেষ করার জন্য। দেশের উন্নয়ন থামিয়ে দেওয়ার জন্য। দেশ বিরোধীদের সব চক্রান্তের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
নানক আরও বলেন, মির্জা ফখরুলের কথা বলার মুখ বন্ধ করেনি কেউ। অনেক বেশি কথা বলেন তিনি, যেটা যুক্তিযুক্ত নয়। বেগম জিয়া তথাকথিত নির্বাচন করেছিল। শিক্ষাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। ’৭১-এর পরাজিত শক্তিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছিল জিয়াউর রহমান।