জাতীয়
সব দেখুনসর্বশেষ প্রকাশিত
রাজনীতি
সব দেখুনচলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত
হাজারীবাগ বউবাজার এলাকায় বাবার হাতে পাঁচ বছরের জান্নাতুল (৫) নামে এক মেয়ে শিশু খুন হয়েছে। এই ঘটনায় শিশুটির বাবা মো. রাসেলকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত সারে ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০৪ নম্বর ওয়ার্ডে মারা যায় জান্নাতুল। সোমবার সন্ধ্যার দিকে হাজারীবাগ বউবাজার খালপাড়ের বাসায় ঘটনাটি ঘটে।
মৃত জান্নাতুলেরর মামা মো. রাহাত জানান, তাদের বাড়ি ভোলা জেলার দক্ষিণ আইচা থানার পশ্চিম চড়ভুষন গ্রামে। বর্তমানে হাজারীবাগ বউবাজার খালপাড় এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকত। শিশুটির বাবা মো. রাসেল লেগুনা চালক। মা নাসিমা আক্তার গৃহিণী। জান্নাতুল তাদের একমাত্র সন্তান ছিল।
তিনি আরও জানান, গত দুই মাস যাবৎ গ্রাম থেকে ঢাকায় আসে তারা। এরপর থেকেই হাজারীবাগে থাকত। এর আগে কয়েকবার জান্নাতুলের মায়ের ওপরেও অত্যাচার করছে। গতকাল সন্ধ্যায় ঘরের দরজা বন্ধ করে মেয়ে জান্নাতুলকে খাবার খাওয়াচ্ছিল। খাবার খেতে না চাইলে জোড়ে মাটিতে আছাড় মারে। এতে গুরুতর আহত হয়। পরে হাসপাতালে মারা যায়।
হাজারীবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাদির শাহ বলেন, গতকাল বিকেলে শিশুটির বাবা মো. রাসেল মেয়ে শিশুটিকে আছাড় মারে এতে শিশুটির মাথায় আঘাত লেগে গুরুতর আহত হয়। স্বজন ও প্রতিবেশীরা শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।
এসআই আরও জানান, মাঝে মধ্যেই স্ত্রী ও মেয়েকে অত্যাচার করত। গতকাল বিকেলে শিশুটিকে তাঁর মা নাসিমা ভাত খাওয়াচ্ছিল। তবে খেতে চাচ্ছিল না জান্নাতুল। বাবা রাসেল রাগান্বিত হয়ে মেয়েকে আছাড় মারে। এতে শিশুটির মাথায় আঘাত লেগে গুরুতর আহত হয়। তবে ঘটনার পরপরই প্রতিবেশীরা রাসেলকে ধরে থানায় খবর দেন। রাসেল থানায় আটক আছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।
এআই
রাজধানীর মিরপুরের ভাসানটেক এলাকায় মশার কয়েল জ্বালাতে গিয়ে গ্যাসের আগুনে নারী-শিশুসহ ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন। তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য
আজ শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ভোরে ভাসানটেক ১৩ নম্বর কালবার্ট রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, মেহরুন্নেছা (৬৫), সূর্য বানু (৩০), লিজা(১৮), লামিয়া (৭), সুজন (৯) ও মো. লিটন (৫২)।
জানা গেছে, মশার কয়েল ধরাতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে ঘরে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণ হয়। এতে একই পরিবারের নারী-শিশুসহ ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন। পরে ভোর সোয়া ৫টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আজ ভোরে মিরপুরের ভাসানটেক থেকে দগ্ধ অবস্থায় নারী ও শিশুসহ ছয়জনকে বার্ন ইউনিটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে মেহরুন্নেসার শরীর ৪৭ শতাংশ, সূর্য বানুর ৮২ শতাংশ, লামিয়ার ৫৫ শতাংশ, মো. লিটনের ৬৭ শতাংশ, লিজার ৩০ শতাংশ ও সুজনের শরীর ৪৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। বর্তমানে তাদের জরুরি বিভাগে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
দগ্ধের পরিমাণ বেশি হওয়ায় তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানান তিনি।
বাসার কেয়ারটেকার রিফাত হোসেন বলেন, লিটন মিয়া নামে এক ফার্নিচার ব্যবসায়ী ওই বাড়ির নিচতলায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন। গত রাত চারটার দিকে মশার কয়েল জ্বালাতে গেলে ঘরের মধ্যে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণে ওই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হন।
তিনি বলেন, গ্যাস সিলিন্ডারটি ঘরের বাইরে ছিল। কিন্তু পাইপের মাধ্যমে ঘরের মধ্যে চুলার সংযোগ ছিল। ওই চুলার সংযোগে লিকেজ থাকায় ঘরে গ্যাস জমে থাকে। মশার কয়েল জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে ধায়। পরে দ্রুত ভোর পাঁচটার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসি।
পিএম
রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চের সংঘর্ষের রশি ছিড়ে ৫ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে তিন জন পুরুষ এবং একজন নারী ও একজন শিশু রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা নদীবন্দর ট্রাফিকের (সদরঘাট) যুগ্ম কমিশনার জয়নাল আবেদীন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় তিনজন মারা গেছে। পাঁচজন আহত, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে আরো দুইজন কে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
প্রত্যক্ষদর্শীসহ সদরঘাট লঞ্চঘাটের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ১১নং পন্টুনের সামনে এমভি তাশরিফ ৪ ও এমভি পূবালী ১ নামক দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিলো। এ দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ফারহান নামের আরেকটি লঞ্চ ঢুকানোর সময় এমভি তাসরিফ ৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে গেলে পাঁচ জন যাত্রী লঞ্চে উঠার সময় গুরুতর আহত হন। পাঁচ জনের তিন জনই ঘটনাস্থলে মারা যান ও পাঁচজন আহত হন।
সদরঘাট ফায়ার স্টেশনের অ্যাম্বুলেন্সযোগে আহতদের মিটফোর্ড হাসপাতালে পৌঁছে দেয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পরে আরো দুইজনার মৃত্যু হয়।
পিএম
রাজধানী ঢাকারর শাহজাদপুরে মধুমতি ব্যাংকের এটিএম বুথে কর্মরত এক নিরাপত্তাকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার (১০ এপ্রিল) ভোর সোয়া ৫টার দিকে শাহজাদপুরের মাইশা চৌধুরী টাওয়ারের নিচ তলায় অবস্থিত বুথে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত নিরাপত্তাকর্মীর নাম হাসান মাহমুদ (৫৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, আজ ভোর সোয়া ৫টার দিকে শাহজাদপুরের মাইশা চৌধুরী টাওয়ারে অবস্থিত মধুমতি ব্যাংকের এটিএম বুথে কর্মরত সিকিউরিটি গার্ড হাসান মাহমুদকে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমাদের প্রাথমিক ধারণা, এটিএম বুথের টাকা চুরি করতে এসে, বুথ ভাঙার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় দুর্বৃত্তরা। তাদের কাজে বাধা দিলে হাসানকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণের কাজ চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এফএস
ঈদ উপলক্ষে রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাটে ভিড় করছেন ঘরমুখো মানুষ। তবে নেই সদরঘাটে দক্ষিণাঞ্চলগামী মানুষের চিরচেনা চাপ। ঈদের আর দুই-একদিন বাকি থাকলেও এখনও অধিকাংশ কেবিন ফাঁকা রেখেই ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো।
সোমবার (৮ এপ্রিল) রাতে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, পন্টুনে বাঁধা রয়েছে সারি সারি লঞ্চ। হাকডাক করে যাত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন লঞ্চ শ্রমিকরা। চাঁদপুরের লঞ্চগুলোতে যাত্রীর চাপ থাকলেও বরিশাল-ঝালকাঠি-ভোলা-বরগুনা রুটের লঞ্চগুলো কেবিন ফাঁকা রেখেই ছেড়ে গেছে। তবে ডেকে যাত্রী ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন ভোর ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সদরঘাট থেকে বিভিন্ন রুটে ৬১টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে।
বরিশালে সড়ক যোগাযোগ সহজ হওয়ার আগে ঈদের সময় সদরঘাটে সবচেয়ে বেশি চাপ হতো বরিশাল রুটের যাত্রীর। এদিন ঘাটে রাত ৮টার পর অপেক্ষমাণ ছিল এই রুটের ৬টি লঞ্চ। সবগুলো লঞ্চেই ডেকে যাত্রী উপস্থিতি থাকলেও কেবিন অধিকাংশই ছিল ফাঁকা।
সুরভী শিপিংয়ের পরিচালক রিয়াজুল কবির বলেন, ডেকে যাত্রী ভালো হয়েছে কিন্তু কেবিন অর্ধেকেরও বেশি ফাঁকা। আমাদের মূল লাভটা আসে কেবিন থেকে। কেবিন বিক্রি না হলে লঞ্চ চালিয়ে লাভ নেই।’
সদরঘাট থেকে যতগুলো রুটে ঢাকা থেকে লঞ্চ যায় তার মধ্যে কেবল চাঁদপুর রুটে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। বরিশাল রুটে যখন যাত্রী খরায় ভুগছেন লঞ্চ মালিকরা তখন চাঁদপুর রুটে চলছে একচেটিয়া ব্যবসা।
চাঁদপুর রুটের নাফিস নামের একজন লঞ্চশ্রমিক বলেন, গত দুই দিন চাঁদপুরগামী লঞ্চে বেশ ভালো ভিড় ছিল। ভিড় আরও বাড়ছে। এই রুটে চাঁদপুর লক্ষীপুর নোয়াখালীর যাত্রীদের পদচারণা বেশি। চাঁদপুর লক্ষ্মীপুরের বেশিরভাগ মানুষ লঞ্চে চলাচল করেন। কাল-পরশু আরও বেশি ভিড় হবে বলেও জানান তিনি।
চাঁদপুর রুটে লঞ্চ মালিকদের একচেটিয়া ব্যবসার বিষয়ে সোহাগ নামে একজন যাত্রী বলেন, অন্য সব রুটে যখন যাত্রী খরা চাঁদপুর রুটে তখন একচেটিয়া ব্যবসা চলছে। এই সুবাদে লঞ্চ মালিকরা ভাড়া বাড়িয়েছেন। এখানে দুই বছর আগেও লোকাল ভাড়া ছিল ১০০ টাকা মাত্র। এখন সেই ভাড়া ২০০ টাকা। ঈদ উপলক্ষে আড়াইশো টাকা পর্যন্ত ভাড়া হয়েছে।
ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে লঞ্চশ্রমিকরা জানান, ভাড়া ঈদ উপলক্ষে নয় আরও অনেক আগেই বাড়ানো হয়েছে। তেলের দাম বেড়েছে তাই ভাড়াও বেড়েছে।
এদিকে যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
সদরঘাট নৌ থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন। সাদা পোশাকেও অনেকে দায়িত্ব পালন করছেন। যাত্রীর চাপ বাড়লে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে।
যশোরে তাপমাত্রার দাপট উঠেছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র দাবদাহে ছোটবড় সবার হাঁসফাঁস অবস্থা। সূর্যের প্রচন্ড তাপে যেন গাঁ পুড়ে যাচ্ছে। ফ্যানের বাতাসেও গরম অনুভূত হচ্ছে। আবার দাবদাহে অতিষ্ট মানুষ ছায়া জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছেন। এই অবস্থায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সব বয়সী মানুষ। মৌসুমি রোগ থেকে রেহাই পেতে চিকিৎসকরা অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
আবহাওয়া অফিসের ২৪ ঘন্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বুধবার (১৭ এপ্রিল) যশোরে তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে মঙ্গলবার ছিল ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সোমবার ছিল ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সামনে তাপমাত্রা কমার কোন সুখবর নেই। কারণ আরো কয়েকদিন অসহনীয় তাপমাত্রায় পুড়তে হতে পারে মানুষকে।
যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের বাসিন্দা মফিজুর রহমান জানান, ওষ্ঠাগত গরমে মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। প্রখর রোদ থেকে ঘরে ফিরেও গরমে ছটফট করছেন সবাই। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। রাতের বেলাও থাকছে ভ্যাপসা গরম। এই গরম কোনভাবে সহ্য করার মতো নই।
যশোর শহরের বেজপাড়ার চায়ের দোকানদার সাদেক আলী জানান, প্রচন্ড গরমে দোকানে বসে থাকা খুবই কষ্টকর। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে চা বিক্রি কমে গেছে।
যশোর সদর উপজেলার লাউখালী গ্রামের মিন্টু হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি শহরের দড়াটানা থেকে গিয়েছিলেন রেল রোডে । আনুমানিক এক কিলোমিটারের এই পথ পাড়ি দিতেই তিনি হাপিয়ে ওঠেন। কড়া রোদে ‘পুড়ে’ যাচ্ছে গা। মাথার ওপরের নীল আকাশটা যেনো তাঁতালো কড়াইয়ের রূপ নিয়েছে। রোদের খরতাপে অসহনীয় অবস্থায় পড়ছেন তার মতো অনেকেই।
চান্দুটিয়া গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে সুর্য উঠার সাথে-সাথে তীব্র রোদ। বেলা বাড়ার সাথেই রোদ যেন আগুনের ফুলকি হয়ে ঝরছে। আগুনঝরা রোদের তেজে বাইরে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়ছে। বুধবার দুপুরে তাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি মাঠে যাননি।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আব্দুস সামাদ জানান, প্রচন্ড গরমের কারণে হাসপাতালে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
তিনি জানান, বেশির ভাগ শিশু ঠান্ডা জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। তিনি অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘ভাইরাল ফিভার’ বা মৌসুমি রোগ থেকে রক্ষা পেতে শিশুদের বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়াবেন। রোদে ঘোরাঘরি করতে দেয়া যাবেনা। খোলামেলা ঠান্ডা পরিবেশে শিশুদের রাখা ও বেশি বেশি পান করাতে হবে। গরমের কারণে ডায়রিয়া রোগীও বেড়েছে। সচেতনতার বিকল্প কিছু নেই।
তিনি আরও জানান, গরমে বাড়ছে অস্বস্তি। কড়া রোদ ও আবহাওয়ার কারণে বয়স্ক মানুষ নানা ধরণের অসুখ-বিসুখে বিপর্যস্ত করছে। সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে জ্বর, হিটস্ট্রোকে।
যশোরের শার্শা থানার নাভারন বুরুজবাগান গ্রাম থেকে হতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক মাদককারবারী মো. রায়হান (৩১) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) ভোরে বুরুজবাগান গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মো. রায়হান যশোরের শার্শা থানার যাদবপুর গ্রামের মো. আহম্মদ এর ছেলে।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামী রায়হানকে ২০১৭ সালের ৮ মে ৫০০ গ্রাম হেরোইনসহ শার্শা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের হয়। উক্ত মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামী প্রায় সাত মাস জেল হাজতে থাকার পর আদালত থেকে জামিনে এসে আদালতে হাজিরা না দিয়ে নিজেকে আত্মগোপন করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০২৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আসামি মো. রায়হানের অনুপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় প্রদান করে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করেন। শার্শা থানাকে আসামীকে গ্রেফতার করতে আদালত নির্দেশনা প্রদান করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা সূত্র ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার ভোরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
যশোর র্যাবের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোহাম্মাদ সাকিব হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী আইনশৃংখলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে গ্রেফতার এড়াতে শার্শার বুরুজবাগান গ্রামে আত্মগোপনে ছিল। তাকে শার্শা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এআই
বৈশাখের শুরু থেকেই কখনো মাঝারি আবার কখনও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলছে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে। চলতি মৌসুমে সব রেকর্ড ভেঙে এ জেলার আজ বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা চলতি মৌসুমে দেশেরও সর্বোচ্চ তাপমাত্র এটি।
টানা তীব্র আকারের তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ সীমান্তবর্তী এ জেলার মানুষ। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণিকুল।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গার আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ২২ শতাংশ। ধারনা করা হচ্ছে এটা আজ দেশেরও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূর্যের তাপ। তীব্র প্রখরতায় উত্তাপ ছড়ায় চারপাশে। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। বাইরে নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালক ও ভ্যান-রিকশা চালকদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। হা-হুতাশ করতে দেখা গেছে তাদের। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না তারা। ছন্দপতন ঘটছে দৈনন্দিন কাজকর্মে।
জেলা দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড এলাকার ফল ব্যবসায়ী শাহীন বলেন, প্রচণ্ড গরমে মানুষ অতিষ্ঠ। দোকানে আসছে না ক্রেতা। ঠিকমতো বেচাকেনাও হচ্ছে না। তার ওপর প্রচণ্ড সূর্যের উত্তাপে দোকানে বসে থাকাও যাচ্ছে না।
বৈশাখের শুরু থেকেই তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য করাই দায়। একদিন কেনাবেচা না করতে পারলে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ে।
ইজিবাইকচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, গরমে শহরে মানুষের সংখ্যা কমে গেছে। তাই ভাড়াও ঠিকমতো হচ্ছে না। রাস্তা দিয়ে আগুনের আঁচ উঠছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক জামিনুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা আরও কিছুদিন চলতে পারে। তবে এখনই বৃষ্টির সম্ভবনা নেই।
গত ১২ এপ্রিল শুক্রবার ছিল ৩৫ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৩ এপ্রিল শনিবার ছিল ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৪ এপ্রিল রোববার ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৫ এপ্রিল সোমবার ছিল ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস ও মঙ্গলবার ছিল ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস ।
এআইকুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গড়াই নদীতে গোসল করতে নেমে শেফা (১৭) ও শাহাজাদা (১২) নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা মামাতো ও ফুপাতো ভাইবোন।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরের দিকে উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদ বাসিন্দাপাড়া জামে মসজিদের সংলগ্ন গড়াই নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শেফা উপজেলার শেরকান্দী এলাকার শামীম ইসলামের মেয়ে এবং শাহাজাদা চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদ এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে।
শেফা এবং শাহাজাদা তারা দুজনেই সম্পর্কে মামাতো ফুফাতো ভাই বোন। শেফা কয়েকদিন আগে জয়নাবাদ এলাকায় নানা বাড়িতে বেড়াতে আসে। বুধবার দুপুরে শেফা এবং শাহাজাদা দুই জন মিলে গোসল করার জন্য গড়াই নদীতে নামে। একপর্যায়ে স্রোতের কারণে তারা দুইজনে পানিতে ডুবে যায়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে চাঁপড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক মনজু জানান, গড়াই নদীতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে শেফা ও শাহাজাদা গোসল করতে নেমে পানির প্রবল স্রোতের কারণে তলিয়ে যায়। অনেক সময় ধরে পানির মধ্যে খোঁজাখুঁজি করে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। একসাথে দুইজনের করুণ মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এআই
রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন চুয়াডাঙ্গায় পৌছানোর পর বিকল হয়ে যাওয়ায় প্রচন্ড গরমে ৪ ঘন্টা ধরে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন থেকে প্রায় ২ কিলামিটার দূরে ট্রেনটির ইঞ্জিনটি বিকল হয়ে যায়। টানা ৪ ঘন্টা পর বেলা ১২ টার দিকে খুলনা থেকে অতিরিক্ত ইঞ্জিন নিয়ে এসে ট্রেনটি নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় বিকল হয়ে যাওয়া ট্রেনের যাত্রীরা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রী তাপদাহে প্রচন্ড গরমে চরম দুর্ভোগে পড়েন।
ট্রেনের লোকো মাস্টার জাহিদুল ইসলাম জানান, হঠাৎ করে ইঞ্জিনে শক্তি না পাওয়ায় সেটা বিকল হয়ে পড়ে। ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানোর পর খুলনা থেকে বিকল্প ট্রেন ইঞ্জিন নিয়ে এসে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান জানান, ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় যাত্রীদর সাময়িক দুর্ভোগ হয়েছে। খুলনা থেকে ট্রেন ইঞ্জিন আসার পর ট্রেনটি দুপুর ১২ দিকে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
পিএম
লক্ষ্মীপুরের রামগতির চরআলগী ইউনিয়নে বেআইনি ভাবে স্থাপিত মোহাম্মদ আলী ব্রিকফিল্ড নামে একটি ইটভাটার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করার পর ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। রামগতিতে অবৈধ ইটভাটা বন্ধের দাবিতে স্থানীয়দের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন শিরোনামে গত ১৩ এপ্রিল সংবাদটি প্রকাশিত হয়। এরপর টনক নড়ে প্রশাসনের।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মানষ চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিসের যৌথ টিম ইটভাটাটি গুড়িয়ে দেন। এসময় রামগতি থানার উপ পরিদর্শক আবুল খায়ের সহ পুলিশের চৌকস টিম উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে ইটভাটাটি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে চর আলগী ইউনিয়নের চর নেয়ামত গ্রামের ৪ সমাজের মানুষ।
উচ্চ আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশের পর গত ৮ এপ্রিল সোমবার বিকেলে রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেন ওই ইটভাটা গিয়ে নোটিশ জারির করেন।
অথচ নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে উচ্চ আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে পরের দিন ভোর থেকে পুনরায় কাজ শুরু করেন ইটভাটা কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়দের দাবিতে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে টনক নড়ে প্রশাসনের। তাই ইটভাটাটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় তারা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শাখাওয়াত উল্লাহ বাবু স্থানীয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি আমলে নিয়ে প্রশাসন ফিল্ডটিকে গুড়িয়ে দিয়েছে। আমরা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞ। এর ফলে এই এলাকার রাস্তাঘাট ফসলি জমি রক্ষা পাবে। দূষণমুক্ত পরিবেশ থাকবে।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, স্থানীয় কিছু দুষ্ট লোক আছে যারা জমি ভাড়া দিয়েছে। তাদের কারণেই মালিক পক্ষ সুযোগ পেয়েছে। উচ্চ আদালত থেকে স্থিতাবস্থা রাখার জন্য বলা হয়েছে। আমরা সে ব্যবস্থা নিয়েছি।
পিএম
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, যেকোনো ভ্যাকসিনেরই কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। কিন্তু করোনার ভ্যাকসিনের সাইড ইফেক্ট থেকে এলার্জি হচ্ছে এটা নিয়ে আমি এখনো এমন কিছু শুনিনি। কে বা কারা এটা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে আমি জানিনা। এটা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে কোন ভ্যাকসিন গবেষণা কেন্দ্রে এটা এখনো প্রমাণিত হয়নি। মানুষের যে এলার্জিজনিত সমস্যা দেখা দিচ্ছে এটা এমনও হতে পারে, করোনার সাইড ইফেক্টগুলো মানুষ এখন দেখতেছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লার চান্দিনা সোনাপুর কমিউনিটি ক্লিনিক এর নতুন ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী আরও জানান, আমি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবার নিশ্চিত করতে কাজ করছি। শহরের হাসপাতালগুলোতে চাপ কমাতে প্রান্ত্রিক পর্যায়ের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে। আমরা চাই সেসব এলাকার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো আরও উন্নত হোক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার চান্দিনা আসনের সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশিদ আলম সহ স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সন্ধ্যায় কুমিল্লা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বার্ডে কুমিল্লা অঞ্চলের ছয়টি জেলার সকল সিভিল সার্জন, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান ও চিকিৎসক নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা সভায় অংশ নেবেন। আগামীকাল সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করবেন তিনি।
পিএম
শৈশবে দল বেঁধে স্কুলে যাওয়ার কথা মনে এলেই ভেসে আসে এক অন্যরকম অনুভূতি। আর, শৈশবকালের এই অনুভূতিকে আরো চমৎকার করতে কুমিল্লা দেবিদ্বারে শিশু কিশোরদের জন্য গড়ে উঠেছে ব্যাতিক্রমী স্কুল '১ ঘণ্টার স্কুল'। প্রত্যন্ত গ্রামে শিশু কিশোররা যাতে শিক্ষা জীবনের প্রথম ধাপে শিক্ষাকে আনন্দের মাধ্যমে নিতে পারে, তাই ব্যাতিক্রমী আয়োজন।
বিকাল ৪ টা বাজতেই, শিক্ষার্থীদের কলোকাকলিতে মুখর হয়ে উঠে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ইউছুফপুর ইউনিয়নের মুগসাইর গ্রাম। বই-খাতা হাতে নিয়ে মনের আনন্দে ছুটে চলছেন ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। কারো হাতে বেলুন, কারো হাতে চকলেট আর উপহারের খাতা-কলম। এ যেন এক অন্যরকম আনন্দ। সবার গন্তব্য ১ ঘণ্টার স্কুলে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ২০২০ সালের শেষের দিকে মুগসাইর গ্রামের তরুণদের উদ্যোগে "ভালবাসার ঘর' নামে একটি সেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ করেন। আর এই স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় মুগসাইর লাইফ মডেল কিন্ডারগার্টেন স্কুলে উদ্বোধন করা হয় স্থানীয় সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের জন্য '১ ঘন্টার স্কুল'। উদ্বোধনের পর ব্যতিক্রমি এই স্কুলে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। বিকেল ৪টা থেকো ৫টা পর্যন্ত চলে পাঠদান। নৈতিক শিক্ষার পাশাপাশি গণিত ও ইংরেজিতে দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে তৃতীয় থেকে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের। এখানে শিক্ষক হিসেবে রয়েছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ৬ জন শিক্ষার্থী। স্কুল প্রতিষ্ঠার পর থেকে ব্যাপক প্রশংসা কুঁড়িয়েছে স্বতন্ত্র এই প্রতিষ্ঠান। ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের পাড়ালেখায় মনোযোগী করতে বেলুন, চকলেট ও খাতা-কলম উপহার দেয়া হয়। এতে খুশি অভিভাবকরাও। প্রত্যন্ত গ্রামে শহরের আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষা বিনামূল্যে শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় তরুণ উদ্যোক্তাদের।
এ বিষয়ে মুগসাইর এগার গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের গ্রামের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণ শিক্ষার্থীরা ১ ঘন্টার যে স্কুল উদ্বোধন করে তারা সফল হয়েছে। হতদরিদ্র পরিবারের যে সমস্ত ছেলে-মেয়েরা ১ হাজার কিংবা ২ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রাইভেট পড়তে পারছে না, তারা এখানে বিনামূল্যে শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ পেয়ে আনন্দিত।
সেচ্ছাসেবক আজওয়াদ হোসেন তাহসিন বলেন, বিনামূল্যে স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের যে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে এটি প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ। তারা মুগসাইর গ্রামের শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে। আমি তাদের সফলতা কামনা করছি।
এক ঘন্টার স্কুলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ শরীফ বলেন, আমাদের ভালবাসর ঘর সামাজিক একটি সংগঠন। স্থানীয় এবং প্রবাসীদের সহায়তায় সমাজে নানা রকম ভাল কাজ করে থাকি। তারই অংশ হিসাবে এক ঘন্টার স্কুল স্থাপন করেছি। তৃতীয় থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন বিকেলে ১ঘন্টা সময় দিয়ে থাকি। সেখানে পড়ানে হয় গণিত ও ইংরেজিসহ মানবিক বিষয়গুলি। বর্তমানে আমাদের এই স্কুলে দেড় শতাধিক রয়েছে। আমার বিশ্বাস সুবিধা বঞ্চিত এই শিশুরা একদিন বাংলাদেশ তথা মুগসাইর গ্রামের সুনাম বয়ে আনবে। এই প্রত্যাশা থেকেই আমরা এই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছি।
ইউছুফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকারিয়া বলেন, মুগসাইর গ্রামের কিছু উদ্যোমী তরুণ শিক্ষার্থী এক ঘন্টার স্কুল চালু করেছে। বিনামূল্যে তারা শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এতে তারা শিক্ষার মান উন্নয়ণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে বলে আমি মনে করছি। এটি পরিচালনা করতে কোন ধরণের সহযোগীতার প্রয়োজন হলে আমার পক্ষ থেকে যতটুক সম্ভব সহায়তা করার চেষ্টা করবো।
এমআর
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে হামলার শিকার হওয়া ছাত্রলীগ নেতা এম সজিব চিকিৎসাধীন অবস্থা মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুর খবরে সজিবের বাড়িতে নেমে আসে শোকের ছায়া। কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন সজিবের মা বুলি বেগম। কয়েকবার জ্ঞান হারানোর ঘটনাও ঘটে।
বুধবার দুপুরে নিহত সজিবের মা বুলি বেগম বলেন, আমার ছেলেকে কাজী বাবলু হত্যা করেছে। আমরা তার উপযুক্ত বিচার কামনা করছি। এদিকে ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে চন্দ্রগঞ্জ বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারে আওয়ামী লীগের একাংশের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় বক্তারা সজিব হত্যায় জড়িত সবাইকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম ছাবির আহমেদ, ওয়াহিদুজ্জামান বেগ বাবলু, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন লিটন, সাধারণ সম্পাদক কাজী সোলায়মান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া, চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তালেব, চন্দ্রগঞ্জ থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, চন্দ্রগঞ্জ থানা কৃষকলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক সাহাব উদ্দিন ও যুগ্ম-আবদুর রাজ্জাক রিংকুসহ বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমদাদুল হক বলেন, ছাত্রলীগ নেতা এম সজিবের ঘটনায় এজাহারভুক্ত ২নং আসামী তাজল ইসলাম সহ ৪জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতারে আমাদের অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামে যৈদের পুকুর পাড় এলাকায় দুর্বৃত্তদের অতর্কিত হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা সজীব, সাইফুল পাটওয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয় আহত হয়। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২ টার দিকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সজীব মারা যান।
এর আগে সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে সজীবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাজী বাবলুকে প্রধান করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে আরও ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার দ্বিতীয় আসামি চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম তাজু ভূঁইয়াসহ ৪জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা জেলা কারাগারে রয়েছেন। নিহত সজীব চন্দ্রগঞ্জের পাঁচপাড়া এলাকার মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে ও চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন।
এমআর
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত ঘেঁষা মিয়ানমারে দু'পক্ষের সংঘাতের ভয়াবহের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। চলমান সংঘর্ষের রোশানল থেকে নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে পুনরায় সেই দেশটির নাগরিক, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীরা এপার সীমান্তবর্তী এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশে করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তথ্য সুত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিনে রাতের অন্ধকারে টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত সাবরাং ইউপির শাহপরীরদ্বীপ, সাবরাং, নয়াপাড়া, হারিয়াখালী, হ্নীলা,হোয়াইক্যং,ইউপির নাফনদ ঘেঁষা বেশ কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে মানবপাচার জড়িত দালাল চক্রের সহযোগিতায় অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। সুত্র বলছে গত কয়েক দিনে সীমান্তে দায়িত্বে থাকা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এপারে প্রবেশ করার পর উখিয়া-টেকনাফে অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে তাদের আত্মীয় স্বজনের কাছে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে দেশের সীমান্তে দায়িত্বে থাকা বিজিবি-কোস্ট গার্ড সদস্যরা গোপনে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করা অনেক রোহিঙ্গাকে আটক করার পর পুশব্যাক করার মাধ্যমে স্বদেশে ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, টেকনাফে শাহপরীরদ্বীপ ঘোলার চর সংলগ্ন এলাকা কয়েক জন জেলে সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, গত ঈদের দিন রাত থেকে এই পর্যন্ত দ্বীপের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমারের সংঘাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে এসেছে বেশ কিছু রোহিঙ্গা। তারা এপার ওপারের থাকা অর্থলোভী দালালদের সহযোগিতায় এপার সীমান্তে অনুপ্রবেশ করার পর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকা আত্মীয়-স্বজনের কাছে চলে গিয়েছে।
মিয়ানমারে দু'পক্ষের চলমান সংঘর্ষ থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য শত শত রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ওপারের নাফনদীর তীর সংলগ্ন পাড়া গুলোতে আশ্রয় নিয়েছে বলেও জানান তারা।
এদিকে টেকনাফের নাফ নদী সংলগ্ন বেড়ীবাঁধের পয়েন্ট গুলো পরিদর্শন করে দেখা যায়, বাংলাদেশ সীমান্ত সু-রক্ষার দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা সদস্যরা রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানোর জন্য পাশাপাশি সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় দিন রাত কঠোর নজরদারি করে যাচ্ছে।
এদিকে মঙ্গলবার গভীর রাতে নাফ নদী সংলগ্ন টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ ঘোলাপাড়া ঝাউবন এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের জলসীমা অতিক্রম করে আসা রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকা এপার সীমান্তে অনুপ্রবেশে করার সময় দেশীয় জলসীমায় দায়িত্বে থাকা কোস্ট গার্ড সদস্যরা নৌকা বোঝাই ২৬ জন রোহিঙ্গা নর-নারীকে আটক করতে সক্ষম হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, সত্যতা নিশ্চিত করে উক্ত বাহীনির এক সদস্য দ্বীপ জানিয়েছেন,গোপনীয়তা বজায় রেখে বাচাই বাছাই করার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা নর-নারীদের পুশব্যাক করা হবে।
এবিষয়ে টেকনাফ সাবরাং ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, মিয়ানমারে জাতীগত সংঘাতের জের ধরে বিগত ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকার মানবতার দেখেয়ি প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় দিয়েছিল। এরপর থেকে এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের লোকালয়ে অবাধ বিচরণ কারণে আমরা স্থানীয়রা নানা সমস্যায় জর্জরিত। বলতে গেলে অত্র উপজেলায় মাদক,মানব পাচারসহ এমন কোন অপরাধ নেই এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীরা জড়িত নেই। আবার নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটুক এটা আমরা চাই না। আমাদের সীমান্তবর্তী এলাকায় দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আশা করছি আগের মত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীরা এপারে অনুপ্রবেশ করতে পারবে না বলেও জানান তিনি।
পূণরায় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের অপচেষ্টা করার বিষয়ে টেকনাফ-২ বিজিবি অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মোহাম্মাদ মহিউদ্দীন আহমেদ সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানোর পাশাপাশি দেশের সীমান্ত সুরক্ষা করার জন্য আমাদের সীমান্ত প্রহরী বিজিবি সদস্যরা সদা জাগ্রত রয়েছে।
গত কয়েক যে সমস্ত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীরা মিয়ানমার জলসীমা অতিক্রম করে এপার সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে। তাদেরকে আটক করে পূণরায় পুশব্যাক করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
পিএম
নরসিংদীতে নালায় মাছ ধরার সময় গলায় কৈ মাছ আটকে মিয়াচাঁন নামে কৃষকের মর্মান্তিকমৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে ঝড়বৃষ্টির পর সদর উপজেলার বালুসাইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মিয়াচাঁন (৪৮) বালুসাইর গ্রামের তারব আলীর ছেলে
নিহতের স্বজনেরা জানায়, বৈশাখী ঝড়বৃষ্টির সময় বাড়ির পাশের নালায় মাছ ধরতে যান মিয়াচাঁন। এ সময় একটি কৈ মাছ ধরার পর সাথে মাছ রাখার পাত্র না থাকায় মুখে কামড়ে আটকে রাখেন। আরও মাছ ধরার চেষ্টা করেন। এ সময় অসাবধানতাবশত কৈ মাছটি মুখের ভেতর ডুকে পড়ে গলায় আটকে যায়। পরে উপস্থিত স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। পরে স্বজনেরা তাকে ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মহিষাশুড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুফতি কাওছার আহমেদ বলেন, গলায় মাছ আটকে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। ঝড়বৃষ্টির কারণে সরজমিন খোঁজ নিতে পারিনি, তবে লোক পাঠিয়েছি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।
টঙ্গী বাজার আড়ৎপট্টিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে ছয়টি দোকান পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ ইউনিটের এক ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টায় সোনাভান মার্কেটের বিপরীতে একটি মশলার দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত একটি চালের আড়ৎ, চারটি আলু পেঁয়াজের আড়তে ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে প্রথমে টঙ্গী থেকে তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজে যোগ দেয়। পরে রাজধানীর উত্তরা থেকে আরও দুইটিসহ মোট পাঁচটি ইউনিট যুক্ত হয়ে আগুন নেভানোর কাজ করেন। তাদের এক ঘণ্টার চেষ্টায় সাড়ে বারোটা দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে ৬টি দোকানের বিপুল পরিমাণ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আড়তের মালিকরা জানান, আগুন লাগার মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আড়তে থাকা মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুনের সংবাদ পাওয়ার পর তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আরও তিন ইউনিটসহ মোট পাঁচটি ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে ধারণ করা হচ্ছে পাশের একটি মসলার দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।
এআই
প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মানিকগঞ্জ জেলার দুই উপজেলায় ৩২ প্রার্থীর মধ্যে ২৮ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ সময় যাচাই বাছাইয়ে ৪ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আমিনুর রহমান মিঞা এসব তথ্য জানান।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র মতে , মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হাসান রাজিব, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন, আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন শহর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সামছুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আজিম খাঁন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান, জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. তামজিদ উল্লা প্রধান লিল্টু, উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক ও বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার ও নির্দলীয় রাকিব হাসানের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিম মোল্ল্যার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. বিল্লাল হোসেন, মো. রবিউল ইসলাম, শেখ কাউসার উদ্দিন, হাবিবুর রহমান, মো. সামসুল হক, সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান আবুল বাশার সবুজ, মো. মোশারফ হোসেন এবং মোহাম্মদ সাইদ মিয়ার মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে।
মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে, শামসুন্নাহার দিনা এবং বর্তমান মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান বেগম সাজেদা চৌধুরীর মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।
বাতিল হয়েছে জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য শামিমা আক্তার চায়না এবং গোপীনাথপুর ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোসনা বেগমের মনোনয়নপত্র। আরও জানা যায়, চেয়ারম্যান প্রার্থী নিত্য গোপাল সাহা বলাই এর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
সিংগাইর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী-জামির্ত্তা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবদুল হাকিম, সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক সায়েদুর ইসলাম ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আব্দুল মাজেদ খানের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে।
ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. রমিজ উদ্দিন, সাংবাদিক এফ এম ফজলুল হক, মো. সালাম মোল্লা এবং মো. তোফাজ্জল হোসেনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে।
মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ারা খাতুন, শেখ শোভা আক্তার এবং আফরোজা রহমানের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।
পিএম
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ঘুমন্ত স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে শিশু সন্তান রেখেই পালিয়েছেন স্ত্রী জাকিয়া (২৬)। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের রাউৎবাড়ী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর নাম ফিরোজ (২৯)। সে ওই গ্রামের শাহজাহানের ছেলে এবং জাকিয়া পার্শ্ববর্তী জিগাতলা গ্রামের জামিলের মেয়ে।
প্রতিবেশি ও স্বজনরা জানান, পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে ৬-৭ বছরের একটি শিশু ছেলে সন্তান রয়েছে তাদের। সংসার জীবনে মাঝে মধ্যেই একে অপরকে দোষারোপ করে বিভিন্ন সময় ঝগড়া করতো।
এনিয়ে সম্প্রতি একাধিকবার গ্রাম্য সালিশি হয়। মঙ্গলবার রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে বুধবার ভোরে ফিরোজের গোপনাঙ্গ কেটে সন্তান রেখেই স্ত্রী জাকিয়া পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী ফিরোজ জানায়, ভোরে ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ করে স্ত্রী আমার লিঙ্গ কেটে ফেলে। আমার ডাক-চিৎকার শুনে পরিবার ও প্রতিবেশিরা উদ্ধার করে এরআগে শিশু সন্তান রেখেই স্ত্রী জাকিয়া পালিয়ে যায়।
ফিরোজের মামা আরজু জানান, বিয়ের পর থেকে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। ভোরে ঘুমানো অবস্থায় ভাগিনার লিঙ্গ কেটে ফেলে তাঁর স্ত্রী। পরে পাশের লোকজন খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার স্ত্রী বাড়ি থেকে পালিয়েছে।
গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দুলাল হোসেন চকদার জানান, বিষয়টি জেনেছি। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ফিরোজকে হাসপাতালে পাঠিয়েছে স্থানীয়রা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার কাজল তালুকদার জানান, লিঙ্গের পুরো অংশ কেটে ফেলায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ জানান, ঘটনাটি জেনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পিএম
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মাটি ব্যবসাকে কেন্দ্র করে মারপিটের ঘটনায় দুই গ্রুপের দুইজন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার পৌরশহরের বংশাই রেলক্রসিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় মনির হোসেন মানিক ও খিজির মৃধা একাধিক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে মির্জাপুর থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মনির হোসেন মানিক তার একটি খননযন্ত্র ( ভেক্যুমেশিন) বংশাই নদী এলাকা থেকে তার বাড়ির দিকে নিয়ে যাওয়ার পথে খিজির মৃধা, তমাল মৃধাসহ বেশ কয়েকজনের প্রতিরোধের মুখে পড়ে। রাস্তায় লোপেড ছাড়া খননযন্ত্র ( ভেক্যুমেশিন) পরিবহন করা নিয়ে সেখানে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে মনির হোসেন মানিক মিয়া গ্রুপের ফারুক ও খিজির মৃধা গ্রুপের তুষার মৃধা আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
মনির হোসেন মানিক মিয়া বলেন, মূলত হামলাকারীরা মাটির ব্যবসায় সুবিধা না করতে পেরে পরিকল্পিতভাবে আমার ওপর হামলা করেছে। রড দিয়ে পিটিয়ে আমার চাচাতো ভাই ফারুকের হাত ভেঙ্গে দিয়েছে। ওরা আমার ২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে।
খিজির মৃধা বলেন, মূলত লোপেড ছাড়া ভেক্যুমেশিন (খননযন্ত্র) পরিবহন করায় রাস্তার ক্ষতি হচ্ছে বলায় তারা আমার ওপর চড়াও হয়। সেখানে ধাক্কাধাক্কির সৃষ্টি হয়। আমি বা আমরা কাউকে আঘাত করিনি বরং তারাই আমাদের মারপিট করেছে। টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট বলে দাবি করেন তিনি।
উভয় পক্ষের অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মির্জাপুর থানার সেকেন্ড অফিসার উপ পরিদর্শক আব্দুল করিম।
পিএম
বরগুনার পাথরঘাটা লোকালয় থেকে ২ টি চিত্রা হরিণ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১১টার সময় পাথরঘাটা উপজেলা চরদুয়ানী ইউনিয়নের বান্দাকাটা নামক এলাকায় খাদ্যের সন্ধানে লোকালয় ঢুকে পড়া হরিণ ২টি উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানান , এই এলাকায় কয়েকটি সক্রিয় হরিণ চোরা কারবারি গ্রুপ আছে হয়তো তারাও এই হরিণ দুটি লোকালয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসতে পারে। তাই হরিণ রক্ষায় বন বিভাগের নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন বলে দাবি করেন তারা।
বন বিভাগের জ্ঞানপাড়া বিশেষ শহর টিমের ভারপ্রাপ্ত অফিসার্স ইনচার্জ ওবায়দুল রহমান, বলেন হঠাৎ করে সকালে দুইটি চিত্রা হরিণ সুন্দরবন থেকে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। মানুষ দেখে হরিণ দুটি ভয়ে দৌড়াদৌড়ি করে। একপর্যায়ে বেরিবাদের পাশে থাকা জালে একটি হরিণ বেঁধে যায়। কিছুক্ষণ পর দ্বিতীয় হরিণটিও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় উদ্ধার করে ফরেস্ট ক্যাম্পের নিয়ে যাওয়া হয়।
ধারণা করা হচ্ছে সুন্দরবন একেবারেই কাছাকাছি হওয়ায় হয়তো হরিণ দুটি ভুল করে খাবারের সন্ধানে এই এলাকায় এসেছে। হরিণ দুটি দ্রুতই সুন্দরবনে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে। কারণ চিত্রা হরিণ বেশি মানুষ দেখলে স্টক করে মারা যায় ।
চোরা কারবারি সম্পর্কে তথ্য জানতে চাইলে, তিনি বলেন এরকম আমার কাছে কোন তথ্য নেই। ঘটনা সত্যতা পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমআর
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাংগর গ্রামের একই পরিবার থেকে ৬ জন একটি প্রাইভেটকারে বরিশাল যাচ্ছিল। গাবখান ব্রিজের টোল প্লাজায় দাঁড়িয়ে টোল দিচ্ছিলেন চালক। সেখানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুইটার দিকের এ দুর্ঘটনায় প্রাইভেটকারে থাকা একই পরিবারের হাসিবুর রহমান (৩২), স্ত্রী নাহিদা আক্তার (২৭), তাঁদের সন্তান তাকিয়া (সাড়ে চার বছর), তাহমিদ (৮ মাস), সদ্য বিবাহিত ইমরান (২৬) ও তাঁর স্ত্রী নিপা (২২) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। সদর হাসপাতালে মরদেহের পাশে বিলাপ করতে করতে ঘটনা বলছিলেন নিহত নিপার বোন তরিকা আক্তার। তিনি সাংগর গ্রামের আব্দুল বারেকের কন্যা।
তরিকা আক্তার বলেন, ‘দুপুর দেড়টার দিকে সবাইকে নিয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষে প্রাইভেটকারে বরিশালের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। পথে দুর্ঘটনায় নিহত হয় তাঁরা।’ বিলাপ করতে করতে তরিকা বলেন, ‘ওরে নাহিদা, ওরে নিপা– তোদের ছাড়া আমি কেমনে থাকব। তোদের ছোট ছোট সন্তানদেরও আদর করে দিলাম। এটাই যদি শেষ আদর হবে বুঝতাম তাহলে আরও বেশি করে আদর দিতাম।’ আহাজারি করে তরিকা আরও বলেন, ‘ছোট বোন নিপার একমাস আগে বিয়ে হয়েছে। ওদের হাতের মেহেদীও এখন পর্যন্ত মুছেনি।
নববিবাহিত দম্পতির ইচ্ছা ছিল বরিশাল থেকে কুয়াকাটা গিয়ে হানিমুন করবে। কিন্তু সেই ইচ্ছা আর পুরণ হলো না। এখন হানিমুনের পরিবর্তে অন্তিম শয়নে শায়িত হবে।’
উল্লেখ্য, ঝালকাঠির গাবখান টোল প্লাজায় সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মাইক্রোবাস ও ৩টি অটোরিক্সা নিয়ে খাদে পড়ে। এতে নারী, শিশুসহ ১৪ জন নিহত হয়েছে। পৌর এলাকার পশ্চিম প্রান্তে পঞ্চম চীন-বাংলাদেশ মৈত্রি গাবখান সেতুর টোল প্লাজায় এ ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঝালকাঠি পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঘাতক ট্রাক চালক ও হেল্পারকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত যান ও ট্রাকটি উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। এ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন। আগামী ৫দিনের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম।
পিএম
ঝালকাঠির গাবখান সেতুর টোলপ্লাজায় সিমেন্টবাহী একটি ট্রাক প্রাইভেট কারসহ কয়েকটি গাড়িকে চাপা দেয়ার ঘটনায় ট্রাকটির চালক ও তার সহকারীকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে ঝালকাঠি গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ সদরের ছত্রকান্দা থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেপ্তাররা হলেন: চাপা দেয়া ট্রাকের চালক আল-আমিন (২৯) ও সহকারী নাজমুল (২২)। আল-আমিন ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাসিন্দা। আর নাজমুলের বাড়ি খুলনায়। ঝালকাঠি পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, ঘাতক ট্রাক ও এর চালক ও সহকারীকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে, বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে বরিশাল-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠির গাবখান সেতু এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ৮ জন নিহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ছয়জন নিহত হন। নিহতদের ১৪ জনের মধ্যে ৭ জন পুরুষ, ৪ জন নারী ও ৩ জন শিশু রয়েছে। ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে ।
ঝালকাঠি সিভিল সার্জন এ এইচ এম জহিরুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলেই ৮ জনকে নিহত দেখতে পাই এবং ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আনার পরে আরও ৬ জন মারা যান। মোট ১৪ জন মারা গেছে। এ ঘটনায় আরও ২০ জন আহত হয়েছে। ১০ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ৪ জন ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে ও ৬ জন প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে।
এমআর
ঝালকাঠিতে ট্রাক-অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছে আহত ২০।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে বরিশাল-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠির গাবখান সেতু এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঝালকাঠির পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত ১৪ জন নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ১৬ থেকে ২০ জন বিভিন্ন হাসপাতালে আহত অবস্থায় রয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। উদ্ধারকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে জানানো হয় নিহত প্রত্যেককে ৫ লক্ষ ও আহত প্রত্যেককে ৩ লক্ষ টাকা সহায়তা দেওয়া হবে।
এআই
ঝালকাঠিতে ট্রাক-প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষে ১১ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে গাবখান সেতুর টোলপ্লাজা এলাকায় মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। আহত বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরওএমও) ডা. মেহেদী হাসান সানি জানিয়েছেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছয়জনের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে তুচ্ছ ঘটনায় কিল ঘুষিতে মোফাজ্জল হোসেন (১২) নামে এক কিশোর খুন হয়েছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের বাঘবেড় গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত কিশোর মোফাজ্জল হোসেন মৃত আলাল উদ্দিনের ছেলে। সে স্থানীয় পাইবাকুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয় বোকাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আল মুক্তাদির বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। শুনেছি চেয়ারে বসা নিয়ে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে।
গৌরীপুর থানার ওসি সুমন চন্দ্র রায় বলেন, বাড়ির পাশে বসে খেলাধুলা করছিল একদল শিশু ও কিশোররা। এ সময় চেয়ারে বসা নিয়ে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মোবারক হোসেনের (১৪) সাথে কথা কাটাকাটি ও তর্কবির্তক হয় নিহত মোফাজ্জল হোসেনের। এ ঘটনায় মোবারক হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে মোফাজ্জল হোসেনকে কিল-ঘুষি, চড় থাপ্পড় ও লাথি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় মোফাজ্জল।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোবারক হোসেনকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে। এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
পিএম
ট্রেনে কর্তব্যরত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কর্তৃক স্থানীয় মোছা. রিতা (২২) নামে এক ট্রেন যাত্রীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় নাজমুল বিশ্বাস নামে এক পুলিশ সদস্যকে লাঞ্চিত করেছে বিক্ষুব্দ জনতা।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে ময়মনসিংহের গৌরীপুর রেলওয়ে জংশন প্লাটফর্মে এ হামলার ঘটনায় ঘটে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে মারধরের শিকার হওয়া নারী গৌরীপুর উপজেলার শালীহর গ্রামের জুলহাস মিয়ার স্ত্রী।
মোছা. রিতা বলেন- ‘ঘটনার দিন সকালে চট্রগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশ্যে আমি ও আমার পরিবারের চার সদস্য নাসরিাবাদ ৩০৮ ট্রেনের জন্য গৌরীপুর জংশনের প্লাটফর্মে অপেক্ষা করতে থাকি।
ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা এ ট্রেনটি ৭টা ৫০ মিনিটে স্টেশনে প্রবেশ করার পর ট্রেনের বগিতে উঠতে গেলে কর্তব্যরত পুলিশ, আরএনবি সদস্য ও পয়েন্টসম্যান রফিকুল ইসলাম আমাদের
বাঁধা দেন। এসময় তারা আমাদের নিকট চট্রগ্রামের ভাড়া বাবাদ ৪ হাজার টাকা ভাড়া দাবি করেন। তাদের প্রস্তাবে আমি ২ হাজার টাকা ভাড়া দিতে রাজি হলেও এতে অপরাগতা জানান কর্তব্যরত আইন-শঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ নিয়ে কথাকাটির এ পর্যায়ে পয়েন্টসম্যান রফিকুল ইসলাম আমাকে থাপ্পর মেরে মাটিতে ফেলে দেন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের এলোপাথারীভাবে মারধর করেন। আমি ন্যাক্কারজনক হামলার বিচার চাই। ’
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান- নারী ট্রেন যাত্রীকে মারধরের ঘটনায় উপস্থিত বিক্ষুব্দ জনতা তাৎক্ষণিক এক পুলিশ সদস্যকে লাঞ্চিত করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান- উল্লেখিত এ ট্রেনের একটি বগির নিয়ন্ত্রণ থাকে কর্তব্যরত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে। মোটা অংকের ভাড়ার বিনিময়ে তারা ট্রেনযাত্রীদের উঠতে দেন ওই বগিতে। এ কাজে সহযোগিতা করে থাকেন স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আইন-শৃঙ্খলার বাহিনীর সদস্যরা।
গৌরীপুর স্টেশনের রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর্জা মোহাম্মদ মুক্তা জানান- উল্লেখিত ট্রেনটি স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর স্থানীয় কয়েকজন গৌরীপুর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য
নাজমুল বিশ্বাসকে লাঞ্চিত করে। এ ঘটনায় স্থানীয় জুলহাস মিয়া (৩০), সাহাবুদ্দিন শেখ (২০) ও আলী হোসেন (১৯) কে আটক করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
গৌরীপুর স্টেশনের আরএনবি ইনচার্জ মোরশেদ আলম জানান- নারী যাত্রীকে মারধরের ঘটনার সঙ্গে গৌরীপুর স্টেশনের কর্তব্যরত কোন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য জড়িত নন। ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন তিনি।
গৌরীপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোঃ সফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান- ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এদিকে স্থানীয় লোকজন নারী ট্রেনযাত্রীকে মারধরের ঘটনায় জড়িত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও স্টেশনের কর্মচারীদের বিচার দাবি করেছেন।
এমআর
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় পুকুরের পানিতে ডুবে জুলিয়া আক্তার (৫) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের টেংরামারি গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু একই এলাকার নুর আলমের মেয়ে।
ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাখপতি জানান, আজ দুপুর দেড়টার দিকে বাড়ির পাশে একটি পুকুর পাড়ে তিন বন্ধুদের সাথে খেলা করছিলো শিশু জুলিয়া আক্তার। খেলার এক পর্যায়ে পুকুরের পানিতে পড়ে নিখোঁজ হয় ওই শিশু।
খবর পেয়ে ওই শিশুর পরিবারের লোকজন পানিতে খোঁজতে থাকে। পরে দুপুর আড়ারটার দিকে শিশুরটির মরদেহ ভেসে উঠে।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান, বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এআইময়মনসিংহের ত্রিশালে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিন উদ্দিন এর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ হল রুমে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল মতিন সরকার। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল আহমেদের সভাপতিত্বে অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম মোঃ শামসুদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এএনএম শোভা মিয়া আকন্দ, সহ-সভাপতি আশরাফুল ইসলাম মন্ডল, ত্রিশাল থানার তদন্ত ওসি চাঁদ মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মোমেন, মোজাহিদ খান ভোলা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল্লাহ, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মফিজুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
এআই
ময়মনসিংহের ভালুকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মারা গেছেন।
নিহত মেহেদী হাসান রুবেল (৩০) বিরুনীয়া ইউনিয়নের গোয়ারী গ্রামের ফিরুজের ছেলে এবং একই ইউনিয়নের ছাত্রলীগের আহ্বায়ক।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বিরুনীয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিরুনীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছামছুল হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, মেহেদী হাসান রুবেল সকালে নিজের মৎস্য খামারে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে পরিবারের লোকজন খোঁজ পেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিরুনীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছামছুল হোসাইন বলেন, এ ঘটনা এলাকায় শোকে ছায়া নেমে এসেছে।
এফএস
নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নুরুজ্জামান (৩৫) নামে এক ধান ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার রামগঞ্জ-বেরুবন্দ সড়কের পুটিমারীর দোলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নুরুজ্জামান উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের দুহুলি পাড়ায় এলাকার নূর উদ্দিন মিয়ার বড় ছেলে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ‘রাতে রামগঞ্জ-বেরুবন্দ সড়কের ডান পাশে বসে ফোনে কথা বলছিলেন নুরুজ্জামান। এসময় রামগঞ্জের এই দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি মোটরসাইকেলের চালক বাম দিক থেকে ডান দিকে গিয়ে তাকে সজরে ধাক্কা দেয়। পরে সেখানকার সেচ পাম্পের মটর ঘরে থাকা এক ব্যক্তি শব্দ শুনে বাহিরে এসে দেখেন নুরুজ্জামান ধান খেতে পরে আছে আর মোটরসাইকেল চালোক পালিয়ে যাচ্ছে। এ সময় তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য রংপুর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়।’
নীলফামারী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, ‘গতকাল রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক ব্যক্তি আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর হাসপাতালে মারা যাওয়ার খবর তিনি পেয়েছেন।’
এআই
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের হলরুমে, উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরকার, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিপা সরদার, উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মর্তুজা।
এছাড়াও উলিপুর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ আবু যোবায়ের আল মুকুল, উপজেলা কৃষক প্রতিনিধি পার্থ সারথি সরকারসহ বিভিন্ন দপ্তর প্রধানগণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এআইদিনাজপুরের বিরামপুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করা হয়েছে। এসময় উপজেলা বঙ্গবন্ধু মোড়ালে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য ও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মুরাদ ইসলাম উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কাউসার আলী, বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সুব্রত কুমার সরকার,ছাত্র-ছাত্রীসহ অনেকে।
এআই
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে আবু সাঈদ (৪৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে শহরের প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আবু সাঈদ কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের গদা কেরানীপাড়া এলাকার জবান উদ্দিনের ছেলে। আবু সাঈদের লাশ উদ্ধারের বিষয় নিশ্চিত করেন কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘মরদেহ থানায় আছে। অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আবু সাইদ গতকাল বিকেলে হঠাৎ প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল মোড় এলাকার শরিফুল ইসলামের পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাঁকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহতের স্বজনেরা জানান, স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর আবু সাইদ একটি বৃদ্ধাশ্রমে থাকতেন। তিনি মানসিক রোগে ভুগছিলেন।
এআই
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করায় দুই যুবককে ৬ মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খানসামা ডিগ্রি কলেজের সামনে থেকে হাতিসহ দুই মাহুতকে আটক করে উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও বনবিভাগ।
পরে আটক দুই মাহুতকে সাজা প্রদান ও হাতিকে অন্য এক মাহুতের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার হুবালা মন্ডলপাড়া এলাকার সুবহান আলীর ছেলে মো. ইয়াছিন ইসলাম (২০) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার কাজলা এলাকার সাগর ইসলামের ছেলে মো. আজিজুল হক (২১)।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে হাতি ব্যবহার করে পথচারীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছিলেন দুই মাহুত। এতে জনগণ ক্ষুব্ধ হয়। এই সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজউদ্দিন বলেন, জোরপূর্বক বন্যপ্রাণী ব্যবহার করে চাঁদাবাজি অমানবিক। এটি মেনে নেওয়া যায় না। তাই জনগণের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ অনুযায়ী তাদের ৬ মাসের শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।
এআই
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে হাত-পা বেঁধে মোটরসাইকেল ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার সময় এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতির কবলে পড়া ওই যুবক উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের ভাটখৈর গ্ৰামের আব্দুর রশিদের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৯)।
রবিউল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার সময় জমিতে পানি দিয়ে বাসায় ফেরার পথে ভাটখৈর-বড়াইল আঞ্চলিক সড়কের খাড়িকাতি এলাকার সেতুর পাশেই ৫/৬ জন যুবক লাঠি, লাদনা, লোহার রড ও হাঁসুয়সহ দেশি অস্ত্র নিয়ে সামনে এসে আমাকে মারধর করে। তারপর হাত পা বেঁধে মুখে টেপ লাগিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যায়। ডাকাতরা স্থান ত্যাগ করার পরে আমি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে। পরে আমার ভাই জসিম উদ্দীন থানায় অভিযোগ করেছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে আমার মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চৌধুরী জুবায়ের আহম্মাদ জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।
এআই
শাহজাদপুরে ১৫ বছর বয়সী জয়চাঁদ আকাশ নামের এক কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। নিহত কিশোর আকাশ পেশায় একজন অটো ভ্যান চালক, সে পৌর শহরের শান্তিপুর গ্রামের আনিস বাবু ও দিনমজুর জামেলা খাতুনের ছেলে।
মঙ্গলবার (১৭ই এপ্রিল) দুপুর দেড়টায় প্রতিবেশী সকিনা খাতুন জানান, আকাশদের বাড়িতে গিয়ে ভেতর থেকে ঘর আটকানো দেখতে পেয়ে তিনি ডাকাডাকি করেন। কোন সারা শব্দ না পেয়ে জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে কিশোর জয়চাদ আকাশের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীদের খবর দেন।
পরে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ঘরের দরজা ভেঙে শরীরের সাথে হাত বাঁধা অবস্থায় জয়চাদের দেহ নামানো হয়। এসময় ঘরের আসবাবপত্র তছনছ ও ভাঙচুর অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।
প্রতিবেশীরা জানায়, জয়চাদ আকাশ গতকাল সোমবার বিকেলে তার মা জমেলা খাতুনের সাথে ঝগড়া করে ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর চালায়। ঝগড়ার পর তার মা জমেলা খাতুন বাবার বাড়ি চলে যায়।
কিশোর জয়চাদ আকাশের মা জামেলা খাতুন রাজমিস্ত্রী শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন এবং তার বাবা আনিস বাবু প্রায় ১২/১৩ বছর পূর্বে তাদের ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। জয়চাদ আকাশ ও তার মা জামেলা খাতুন দুজনই বাড়িতে থাকতো।
এই ঘটনায় নিহত কিশোরের মা জামেলা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলের হাত বাঁধা অবস্থায় ছিল। তাকে কেউ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা লাশ ঝুলিয়ে রেখে গেছে।
খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানার উপপরিদর্শক এখলাছুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। সূরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এই বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলার অফিসার ইনচার্জ মো. খাইরুল বাশার বলেন, নিহত কিশোর আকাশের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
পিএম
নকল দুধ তৈরির সংবাদ প্রকাশের জেরে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় মানিক হোসেন (৩৩) নামের এক সাংবাদিককে পিটিয়ে তার পা ভেঙে দেয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক। এর আগে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে আহত সাংবাদিকের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৫।
উপজেলার চক লক্ষীকোল গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে রাজিব হোসেন (২৭), পুঁইবিল গ্রামের মহসিন আলীর ছেলে বায়োজিদ হোসেন (২৫), মৃত হামিদ প্রামাণিকের ছেলে মাহাতাব আলী (২৭), কৈডাঙ্গা নতুনপাড়া গ্রামের আবু তালেবের ছেলে আবুল বাশার (৪০), মৃত সোহরাব হোসেনের ছেলে বাবু হোসেন (৩০)।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, 'মামলা দায়ের হয়েছে, কিন্তু এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে, আশা করি খুব শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।'
অভিযোগে জানা যায়, ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের চক লক্ষীকোল গ্রামের দুগ্ধ ব্যবসায়ী রাজীব আহমেদ এবং কৈডাঙ্গা গ্রামের আবুল বাশার দীর্ঘদিন ধরে নকল দুধ তৈরির করে বাজারজাত করে আসছেন। এ নিয়ে কিছুদিন আগে মানিক হোসেন সহ কয়েকজন সাংবাদিক নকল দুধ তৈরির ভিডিও ধারণ করেন। এসব ভিডিও উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসনকে দেখালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মতবিনিময় সভায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সুশীল সমাজের বক্তারা এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করেন।
পরে এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাজিব আহমেদ ও আবুল বাশারের নেতৃত্বে বায়েজিদ, রাজিব ও মাহাতাব সহ দশ বারোজন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী মঙ্গলবার সকালে পুঁইবিল সড়কে মানিককে একা পেয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মানিককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। অবস্থা মুমূর্ষু হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসকরা মানিককে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
আহত সাংবাদিক মানিক বলেন, সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই নকল দুধ তৈরির ব্যবসায়ীরা বাড়িতে এসে কয়েকদিন হুমকি দিচ্ছিলেন। এ অবস্থায় আমাকে পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে এবং সেই পেটানোর ভিডিও করেছে তারা। আমার মোটরসাইকেল ও মোবাইল কেড়ে নিয়েছে। আমি আমার পরিবার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ইকরামুন নাহার শেলী বলেন, এক্সরেতে দেখা যায় মানিকের পায়ের হাড় ডিসপ্লেস হয়ে গেছে। এর চিকিৎসা ভাঙ্গুড়ায় সম্ভব নয়। তাই পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে, এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন পাবনায় কর্মরত সাংবাদিকরা। পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান বলেন, 'সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে বাঁধা, হুমকি, হামলা যেন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাংবাদিক মেরে কিছু হয়না বিষয়টি এমন হয়ে গেছে। শাস্তি না হওয়ায় অপরাধীরা বারবার পার পেয়ে যাচ্ছে। মানিকের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। না হলে কঠোর কর্মসূচী দেওয়া হবে।'
নওগাঁয় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২ জন।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইয়াদালীর মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে এনামুল হক (৪০) এবং তার স্ত্রী বৃষ্টি আক্তার (৩২)। তাদের শিশু সন্তানের নাম জুনাইদ ইসলাম (৫) আহত।
স্থানীয়রা জানায়, সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রী মোটরসাইকেলযোগে নওগাঁ থেকে সান্তাহারের দিকে যাচ্ছিলেন তারা। পথিমধ্যে ইয়াদালীর মোড়ে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে একটি দ্রুতগতির মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের ধাক্কা দেয়। এতে আরোহীরা সড়কের ওপর ছিটকে পড়েন। এ সময় পেছন দিক থেকে আসা একটি পিকআপভ্যান তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান স্বামী-স্ত্রী। তাদের আহত শিশু সন্তান ও অপর মোটরসাইকেল আরোহীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। তবে অপর মোটরসাইকেল আরোহীর পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
নওগাঁ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মাহমুদুল হাসান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। এবং দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেল দুটি জব্দ করা হয়েছে। আইনের প্রক্রিয়া শেষে পুলিশের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে মরদেহ উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এআই
নকল দুধ তৈরির সংবাদ প্রকাশের জেরে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার দৈনিক খোলা কাগজের প্রতিনিধি মানিক হোসেনকে পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে নকল দুধ ব্যবসায়ীদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার পুঁইবিল গ্রামে এই মারধরের ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় মানিককে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মারধরের সময় মানিকের মোটরসাইকেল ও মোবাইল কেড়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। মানিক ভাঙ্গুড়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
অভিযোগে জানা যায়, ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের চক লক্ষীকোল গ্রামের দুগ্ধ ব্যবসায়ী রাজীব আহমেদ এবং কৈডাঙ্গা গ্রামের আবুল বাশার দীর্ঘদিন ধরে নকল দুধ তৈরির করে বাজারজাত করে আসছেন। এ নিয়ে কিছুদিন আগে মানিক হোসেন সহ কয়েকজন সাংবাদিক নকল দুধ তৈরির ভিডিও ধারণ করেন। এসব ভিডিও উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসনকে দেখালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মতবিনিময় সভায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সুশীল সমাজের বক্তারা এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করেন।
পরে এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাজিব আহমেদ ও আবুল বাশারের নেতৃত্বে বায়েজিদ, রাজিব ও মাহাতাব সহ দশ বারোজন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী মঙ্গলবার সকালে পুঁইবিল সড়কে মানিককে একা পেয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয়।
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মানিককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। অবস্থা মুমূর্ষ হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসকরা মানিককে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
আহত সাংবাদিক মানিক বলেন, সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই নকল দুধ তৈরীর ব্যবসায়ীরা বাড়িতে এসে কয়েকদিন হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় আমাকে পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে এবং সেই পেটানোর ভিডিও করেছে তারা। আমার মোটরসাইকেল ও মোবাইল কেড়ে নিয়েছে। আমি আমার পরিবার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ইকরামুন নাহার শেলী বলেন, এক্সরেতে দেখা যায় মানিকের পায়ের হার ডিসপ্লেস হয়ে গেছে। এর চিকিৎসা ভাঙ্গুড়ায় সম্ভব নয়। তাই পাবনা পাঠানো হয়েছে।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। এ বিষয়ে মামলা রুজু হলে আসামিদের আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া নকল দুধ তৈরীর বিষয়টি বর্তমানে খুবই আলোচিত। এ বিষয়েও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পিএম
সুনামগঞ্জে বাস-সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে গীতিকার, সুরকার ও সংগীত শিল্পী মতিউর রহমান হাসানসহ (পাগল হাসান) ২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অটোরিকশাচালকসহ ৩ জন। তাৎক্ষণিক আহতদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ৭টার দিকে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সুরমা ব্রিজ এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম।
নিহত সংগীত শিল্পী পাগল হাসানের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকের শিমুলতলা গ্রামে। নিহত অপরজন হলেন ছাত্তার।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অটোরিকশাটি যাত্রী নিয়ে দোয়ারাবাজার থেকে আসছিল। বাসটি গোবিন্দগঞ্জ থেকে ছাতক যাচ্ছিল। পথে সুরমা ব্রিজ এলাকায় অটোরিকশা ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় পাগল হাসানসহ ২ জন ঘটনাস্থলে নিহত হন।
ছাতক ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জালাল আহমদ বলেন, ‘আহত ৩ জনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা পুলিশের কাছে মরদেহ দুটি হস্তান্তর করেছি।’
এআই
মায়ের নামে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নিহত হাফিজ উল্লাহ (৩০) উপজেলার ভীমখালি ইউনিয়নের কলকতখাঁ গ্রামের বাসিন্দা রাশিদ উল্লাহ ছেলে। এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধ রাতেই দু জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত পৌনে ৯টার দিকে উপজেলা ভীমখালি ইউনিয়নের কলকতখাঁ গ্রামে ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,মায়ের নামে থাকা জমি নিয়ে ভাইদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধ মেটাতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে বৈঠকে বসে স্থানীয়রা। এর মধ্যে ছোট ভাই রায়হান (২৮) ও বড় ভাই হাফিজ (৩০) বাকবিতন্ডায় জড়ায় এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রায়হান হাফিজকে কিল-ঘুষি মারলে মাটিতে ঢলে পড়ে। পরে রায়হান ও তাঁর শালা-সম্বন্ধীসহ তাঁর আরেক বড় ভাই উসমান (৪৫) মিলে এলোপাতাড়ি মারপিট করলে গুরুতর আহত হয় হাফিজ।
পরে স্থানীয়রা সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জামালগঞ্জ থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস জানান, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনায় সাথে জড়িত থাকায় আব্দুল লতিফ ও মো. সায়েম নামের দুজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পিএম
হবিগঞ্জের মাধবপুরে গরু চুরির মামলায় উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আরজু মিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সাইফুল আলম চৌধুরী আরজু মিয়ার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. হেলাল মিয়া তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, মাধবপুর উপজেলার উত্তর বেজুড়া গ্রামের আব্দাল মিয়ার স্ত্রী শিরিন আক্তার তার দুইটি গরু চুরি যাওয়ার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় জগদীশপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আরজু মিয়াসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়।
অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক মো. সাইফুল আলম চৌধুরী মামলাটি এফআইআর এর নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে মাধবপুর থানার ওসি মামলাটি দায়ের করেন।
এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার মামলার আসামি আরজু মিয়া এবং মাহমুদ হোসেন নামে দুই আসামি আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে আরজু মিয়ার জামিন আবদেন না মঞ্জুর করেন এবং মাহমুদ হোসেনের জামিন মঞ্জুর করেন।
আরজু মিয়া উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও জগদীশপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
এআই
হবিগঞ্জে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে একটি তক্ষক উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ভাদৈ বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে উদ্ধার করা বণ্যপ্রাণীটি অবমুক্ত করা হয়।
রবিবার রাতে শহরের পুরান বাজার বাশহাটা থেকে আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে বন বিভাগের লোকজন এটি উদ্ধার করে। ওই ব্যক্তি প্রাণীটিকে বিক্রির উদ্দেশ্যে তিন দিন লুকিয়ে রেখে ছিলেন। অভিযানে নেতৃত্ব দেন রেঞ্জ কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী, জিয়াউল হক, অনুরঞ্জন অধিকারী।
হবিগঞ্জের বণ্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তক্ষক মানুষের ক্ষতিকারক পোকামাকড় খেয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। আবার কিছু কিছু অসাধু ব্যক্তিরা তক্ষক চীন, থাইল্যান্ড বিক্রি করে। এসব থেকে কোটি টাকা আয়ও করে। এগুলো থেকে ক্যান্সার ও ডায়বেটিস রোগের ওষুধের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহত হয়।
এআইপবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে সিলেটের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ ৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এরমধ্যে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন ৬ জন।
জানা যায়, জকিগঞ্জে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রথমে ৩ জন নিহত হন। পরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪ জনে দাঁড়ায়। দুর্ঘটনায় এক মোটরসাইকেলের ২ আরোহী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছিলেন। অপর মোটরসাইকেলের আরোহীরা গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান।
গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে জকিগঞ্জ-সিলেট সড়কের শাহবাগ মুহিদপুর এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- জকিগঞ্জের খলাছড়া ইউনিয়নের মাদারখাল গ্রামের আফতার আলীর ছেলে আদিল হোসাইন (২০), একই গ্রামের জমির আলীর ছেলে জাকারিয়া আহমদ (২১) ও বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের মিনারাই গ্রামের রাজু আহমদের ছেলে রেদওয়ান আহমদ ফুয়াদ (১৮)। তিনি বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। তাদের মধ্যে আদিল হোসাইন ও জাকারিয়া আহমদ এক মোটরসাইকেলে ছিলেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন তাদের গ্রামের সুবহান আলীর ছেলে মিলন আহমেদ (২০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে জকিগঞ্জ-সিলেট সড়কের শাহবাগ মুহিদপুর এলাকায় দুটি মোটরসাইকেল দুদিক থেকে আসছিল। গাড়ি দুটিই বেপরোয়া গতিতে ছিল। মুহিদপুর এলাকায় এ দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটলে আদিল, জাকারিয়া ও মিলন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আদিল হোসাইন ও জাকারিয়া আহমদকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপর মোটরসাইকেলের আরোহী বিয়ানীবাজারের রেদওয়ান আহমদ ফুয়াদ ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টার দিকে মারা যান। সর্বশেষ গত রোববার সন্ধ্যায় ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কলেজ ছাত্র মিলন আহমদ (১৮)।
এদিকে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ ৩ জনের প্রাণহানি হয়। এরমধ্যে শনিবার রাত ১১টার দিকে বাহুবল উপজেলার ডাকবাংলো এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বাসচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। নিহতরা হলেন- নরসিংদীর রায়পুরার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সালমান (২৯) ও কামাল মোল্লার ছেলে সাইল মোল্লা (২২)।
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি বদরুল কবীর জানান, দুইজন আরোহী মোটরসাইকেল নিয়ে সিলেট থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে ইউনিক পরিবহণের সিলেটমুখী একটি বাস মোটরসাইকেলকে সামনে থেকে চাপা দেয়। এতে মোটরসাইকেল দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই দুই আরোহী মারা যান।
এদিকে, জলপ্রপাত দেখতে যাওয়ার পথে নিহা আক্তার (৬) নামে একটি শিশু সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। গত শনিবার দুপুরে জেলার বাহুবল উপজেলায় হবিগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের আমতলীতে দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু নিহা চুনারুঘাট পৌরসভার বাগবাড়ি এলাকার দুবাই প্রবাসী মিজানুর রহমানের মেয়ে। মেয়েটি বাগবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণিতে পড়তো।
স্থানীয়রা জানান, নিহার পরিবারসহ তাদের আত্মীয়-স্বজনসহ অন্তত ৫০ জন ১০টি মাইক্রোবাসে করে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় মাধবকুন্ড জলপ্রপাত দেখতে যাচ্ছিলেন। তারা বাহুবলের আমতলীতে পৌঁছলে একটি মাইক্রোবাস চাকা পাংচার হওয়ার কারণে হঠাৎ উল্টে যায়। এতে নিহা ঘটনাস্থলেই মারা যায়।