আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে জেসিন্ডা আরডার্নের পদত্যাগের ঘোষণায় তার স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন ৪৪ বছর বয়সী ক্রিস হিপকিনস। বর্তমানে তিনি দেশটির পুলিশ, শিক্ষা ও জনসেবা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
দেশটির একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে শনিবার (২১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিবিসি।
২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টের সদস্য হন ক্রিস হিপকিনস। তারপর করোনা মহামারি প্রতিরোধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হন ২০২০ সালের নভেম্বরে। বর্তমানে মহামারি প্রতিরোধ মন্ত্রণালয় ছাড়াও শিক্ষা, জনসেবা ও পুলিশ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিপকিনস।
আইনপ্রণেতা হিসেবে পার্লামেন্টে আসার আগে ক্রিস শিক্ষামন্ত্রীর উপদেষ্টা ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্কের কার্যালয়েও কাজ করেছেন।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্নের আকস্মিক পদত্যাগের ঘোষণার পর বর্তমানে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির নেতা নির্বাচনে দলের একমাত্র মনোনীত প্রার্থী ক্রিস হিপকিন্স। ফলে জেসিন্ডার উত্তরসূরি হতে যাচ্ছেন তিনিই। তবে এ জন্য রোববার তাকে পার্লামেন্টে লেবার পার্টির আনুষ্ঠানিক সমর্থন পেতে হবে।
দলের সমর্থন পাওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রী হতে আরও কিছু আনুষ্ঠানিকতা বাকি থাকবে ক্রিসের জন্য। কারণ আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি জেসিন্ডা আনুষ্ঠানিকভাবে গভর্নর জেনারেলের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। এরপর গভর্নর জেনারেল রাজা তৃতীয় চার্লসের পক্ষে ক্রিসকে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেবেন।
সদ্য পদত্যাগী জেসিন্ডা ২০১৭ সালে ৩৭ বছর বয়সে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি তখন বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী নারী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আগামী ১৪ অক্টোবর দেশটির সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।