যায়িদ বিন ফিরোজ, ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) কুহেলিকা আগমন অর্থাৎ শীতকে বরণ করে নেওয়ার উপলক্ষে দুদিনব্যাপী মেলায় ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে কোন শিক্ষার্থী যদি চিঠি পাঠাতে চায় তাহলে নাম ঠিকানা, ফোন নম্বরসহ চিঠি লিখা যাবে, ডাকপিয়নের ভূমিকায় সে চিঠি সঠিক স্থানে পৌঁছে দেবে অভয়ারণ্য সংগঠনটি। এছাড়াও বর্তমান শিক্ষার্থীদের পুতুল নাচের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে সংগঠনটি।
সংগঠনটির সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় অভয়ারণ্যের আয়োজনে দুদিনব্যাপি কুহেলিকা আগমন উৎসবে মেতে উঠে ইবি শিক্ষার্থীরা।
আয়োজকরা জানান, মেলায় মোট ১৮টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাসে অনেক উদ্যোক্তা রয়েছে। তারা অনলাইন বা অফলাইনে অনেক চেষ্টা করে কিন্তু তাদের প্লাটফর্ম নাই বলে তারা ভালো কিছু করতে পারে না। আমরা সেই উদ্যোক্তাদের এই সুযোগটা দিতে চাচ্ছি যাতে তারা নিজেরদেরকে তুলে ধরতে পারবে। স্টল ফি হিসেবে দুইদিনে আমরা ৩০০ টাকা করে নিচ্ছি।
লোকসংস্কৃতি চর্চা ও লোকজ কাঠামোকে কেন্দ্র করে আয়োজন দেখে অভিভূত হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী চিনুমং মারমা বলেন, এখানে বিভিন্ন ধরনের শীতের পিঠা দেখেছি ও কয়েকটার স্বাদ গ্রহণ করেছি। এছাড়াও পুতুল নাচ অসাধারণ লেগেছে। এককথায় ইনজয় করেছি।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অর্প বলেন, মেলার আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে শীতকে বরণ করে নেওয়া। পাশাপাশি আমাদের যে গ্রামীণ লোকশিল্প তা তুলে ধরা। মেলার মূল আকর্ষণ হচ্ছে পুতুল নাচ। পুতুল নাচ এখন আর দেখা যায় না। তাই আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো পুতুল নাচের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া।
মেলার সমাপনী দিনে দুপুরে মেলা পরিদর্শনে আসেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় প্রমূখ।
এবিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, এককথায় অসাধারণ। আমি এমন উদ্যোগের প্রশংসা জানাই। মন থেকে আয়োজকদের সাপোর্ট করি। আমি প্রত্যাশা করি ওনাদের মধ্য থেকে অনেক বড় উদ্যোক্তা বেরিয়ে আসবে।