সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা: গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই গত তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের ব্যাপক উন্নয়ন করতে পেরেছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণতান্ত্রিক ধারা না থাকালে দেশের উন্নয়ন হতো না বলে জানান তিনি।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ও রাজউকের ১১টি প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর রমনা পার্কে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেনাপ্রধান করা হয় জিয়াউর রহমানকে। ওই প্রসঙ্গ তুলে বক্তব্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ?জাতির পিতার হত্যার পর যিনি সেনাপ্রধান হলেন, তিনিই একদিন নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিলেন। অনির্বাচিত কাউকে দিয়ে দেশের উন্নয়ন হয় না, এটা প্রমাণিত সত্য।?
সরকারপ্রধান বলেন, ?জাতির পিতা মানুষকে একটি উন্নত জীবন দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ৭৫-এর পর তা হয়নি। বন্দুকের নল দিয়ে ক্ষমতা পরিবর্তন হয়েছে। স্বাধীন গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত হয় তখন।
?সংবিধান অমান্য করে মার্শাল ল জারি, সম্পূর্ণ সংবিধান পরিপন্থি। ২১ বছর এভাবে সরকার পরিচালিত হয়েছে। যারা উন্নয়নের যে গতি তা ব্যাহত হয়েছিল।?
তিনি বলেন, ?২০০৭/৮ সালের পর আমরা ক্ষমতায় আসি। আমরা রূপকল্প ২১ ঘোষণা দিয়ে সরকার গঠন করি। বাংলাদেশ ২১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।
?এটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত ছিল বলেই। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি সরকারে ছিল বলেই, এই উন্নয়নগুলো সম্ভব হয়েছে।?
শেখ হাসিনা বলেন, ?যদি এই ধারা না থাকতো, তাহলে দেশ কিন্তু এত উন্নত হতে পারত না। আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল যুগের বাংলাদেশ, স্যাটেলাইট যুগের বাংলাদেশ।?
?পরমাণু শক্তির সঙ্গেও যুক্ত হতে পেরেছি। আমরা পরমাণু বোমা বানাবো না, কিন্তু পরমাণু বিদ্যুৎ তৈরি করছি।?