এইমাত্র
  • রমজানে পাপমুক্ত থাকার চেষ্টা
  • ঠাকুরগাঁওয়ে মোটরসাইকেলে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২
  • সরকারই সিন্ডিকেটের মূল পৃষ্ঠপোষক: রিজভী
  • জলদস্যুদের কবল থেকে জিম্মিদের ছাড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  • পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন থিয়েটার চালু
  • মাদারীপুরে ৩০০ শিক্ষার্থীর মাঝে স্কুলব্যাগ বিতরণ
  • রাজধানীতে মুষলধারে স্বস্তির বৃষ্টি, কমেছে তাপমাত্রা
  • ঈদুল ফিতরে যেভাবে টানা ৬ দিনের ছুটি মিলতে পারে
  • ধর্মমন্ত্রীকে ‘রাজাকার’ বলা যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
  • রাঙ্গামাটিতে ভারতীয় চিনিসহ গ্রেফতার ৩
  • আজ মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র, ১৪৩০ | ১৯ মার্চ, ২০২৪

    সংসদে আকস্মিক উত্তেজনা, ছুটে এলেন স্পিকার

    সময়েরকণ্ঠস্বর প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:০২ পিএম
    সময়েরকণ্ঠস্বর প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:০২ পিএম

    সংসদে আকস্মিক উত্তেজনা, ছুটে এলেন স্পিকার

    সময়েরকণ্ঠস্বর প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:০২ পিএম

    সময়ের কন্ঠস্বর ডেস্ক:সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনের বক্তব্যে সোমবার রাতে সংসদ অধিবেশনে হঠাৎ করে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিগত সংসদ নির্বাচনে সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের জামানত বাজেয়াপ্ত সংক্রান্ত এক বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। এ নিয়ে দু?পক্ষের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়। তখন সংসদ অধিবেশন পরিচালনা করছিলেন ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু। মাইক ছাড়াই পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে অধিবেশন কক্ষে উত্তেজনা বাড়তে থাকলে অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এরপর তিনি অধিবেশন পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

    মাগরিবের নামাজের বিরতির পর ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে সংসদের মূলতবি অধিবেশন শুরু হয়। রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় সরকার দলীয় সংসদ সেলিমা আহমেদ বক্তব্য শেষ হলে ফ্লোর পান লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. মোতাহের হোসেন। আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, প্রথমবার ৫৫ হাজার ভোটে জিতেছিলাম, গতবার জিতেছি দুই লক্ষ ৬৩ হাজার ভোটে। আবার গত নির্বাচনে আমার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল তিনি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। উনি মাত্র সাত হাজার ভোট পেয়েছিলেন এবং জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। আমি ৬ বার এমপি হয়েছি, আরো একবার হতে পারতাম। কিন্তু আগের দিন জিতেছি ১৮ হাজার ভোটে, পরদিন এরশাদ সাহেব জিতেছেন ২২ হাজার ভোটে। গতবার ভোটাররা এরশাদ সাহেবকে তার জবাব দিয়েছেন।

    এই বক্তব্য নিয়ে অধিবেশন কক্ষে উত্তেজনার শুরু। বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা দাড়িয়ে মাইক ছাড়াই ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। বিরোধী দলীয় চিফ হ্ইুপ মসিউর রহমান রাঙ্গা, কাজী ফিরোজ রশীদসহ অনান্যরা বক্তব্যের জন্য মাইক দাবি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে স্পিকার মোতাহার হোসেনের মাইক বন্ধ করে প্রথমে কাজী ফিরোজ রশীদ ও পরে মসিউর রহমান রাঙ্গাকে এক মিনিট করে ফ্লোর দেন। এ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা হৈই চৈই শুরু করেন।

    বিরোধী দলের সদস্যরা মোতাহার হোসেনের বক্তব্য এক্সপাঞ্চ করার দাবি জানানোর পাশাপাশি সংসদ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিতে থাকেন। স্পিকারের আসনে থাকা শামসুল হক টুকু আপত্তিকর কোনো শব্দ থাকলে এক্সপাঞ্চ হবে এবং পয়েন্ট অর্ডারে বিস্তারিত বলার সুযোগ দেওয়া হবে জানিয়ে বসার অনুরোধ করতে থাকেন। তিনি প্লিজ প্লিজ বলে সকলকে বসার অনুরোধ জানাতে থাকেন। এ সময় সংসদে এসে স্পিকারের আসনে বসে পরিস্থিতি শান্ত করেন শিরীন শারমিন চৌধুরী।

    এ সময় স্পিকার বলেন, ?মাননীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ আপনারা বসুন। বিরোধী দলের কাজী ফিরোজ রশীদ, মসিউর রহমান রাঙ্গা আপনি বসুন। হাউজের একটি ডেকোরম আছে। এখানে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা হচ্ছে। সেখানে এক বক্তা তার বক্তব্য রাখছেন। সেই বক্তব্যে যদি আপত্তিকর কিছু থাকে, সে বিষয়টি আপনারা উত্থাপন করতে পারেন। কিন্তু আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে। এটা বিরোধী দলের ক্ষেত্রে হলেও তাই। আপনারা হাত তুলবেন, প্রয়োজন অনুযায়ী সময় দেওয়া হবে। তবে এজেন্ডার মাঝখানে নয়। আমি আপনাদের কাছ থেকে সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি। আপনারা উনার বক্তব্যের পর কথা বলবেন। আমি এখন সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনকে বক্তব্য শেষ করার আহ্বান জানাচ্ছি।?

    এরপর আবারো আলোচনায় অংশ নিয়ে মোতাহার হোসেন তার বক্তব্যে অনড় থাকেন এবং এরশাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, আমি ১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করে বিজয়ী হয়েছি। এরপর ১৯৯০ সালের উপজেলা নির্বাচনে আমার সঙ্গে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।

    তিনি আরো বলেন, বিমানে একদিন যাওয়ার সময় ঢাকা এয়ারপোর্টে এরশাদ সাহেব আমাকে বলেছিলেন, আপনি আমার জামানত বাজেয়াপ্ত করলেন। আপনার জনপ্রিয়তা আছে বটে।

    পরে মসিউর রহমান রাঙ্গা ও কাজী ফিরোজ রশীদ পয়েন্ট অব অর্ডারে বক্তব্য রাখেন এবং ওই বক্তব্য এক্সপাঞ্চের দাবি জানান। সর্বশেষ স্পিকার ওই বক্তব্যে তথ্যগত কোনো ভুল থাকলে তা এক্সপাঞ্চ করার হবে বলে সংসদকে জানান এবং সাধারণ আলোচনায় ফিরে যান।

    এর আগে ফ্লোর নিয়ে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদ। তিনি এই সংসদের বিরোধী দলের নেতা ছিলেন। এই এরশাদ সাহেব রংপুরের মাটিতে কোনোদিন হারে নাই। কারাগারে বসে ৫টি আসনে জিতেছেন তিনি। যে নির্বাচনে এরশাদ সাহেব দাঁড়ান নাই, সেই নির্বাচনে উনি (মোতাহার হোসেন) জামানত বাজেয়াপ্ত করলেন কিভাবে? এরশাদ সাহেবের জামানত বাজেয়াপ্ত করার মতো কোনো সন্তান রংপুরে এখনো জন্ম হয়নি। আমার দাবি ওই কথাগুলো এক্সপাঞ্চ করতে হবে এবং তাকে ক্ষমা চাইতে হবে। না হলেও রংপুরের মাটিতে উনার সমস্যা হবে।

    এরপর জাপা নেতা মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, উনি বলছিলেন, হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করে এই সংসদে এসেছি। উনি আরো কিছু কথা বলেছেন, যেটা বঙ্গবন্ধু কন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। সারা দেশে উন্নয়ন হয়েছে, অথচ উনি বলেন উনার এলাকার উন্নয়ন হয়নি।

    তিনি আরো বলেন, ২০১৪ সালে আমি এরশাদ সাহেবের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়েছিলাম। বাধার মুখে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু উনি নির্বাচন করেননি। পরের নির্বাচনেও তিনি ওই আসনে অংশ নেননি।

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…