এইমাত্র
  • সারাদেশে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
  • টেকনাফে কোস্টগার্ডের কাছে মিয়ানমার ১৩ বিজিপির আত্মসমর্পণ
  • টানা ৪ দিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
  • দেশের কৃষক বাঁচার জন্য যা প্রয়োজন সেটাই করবে সরকার: কৃষি মন্ত্রী
  • রাজধানীর শিশু হাসপাতালে আগুন
  • প্রথম পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাশ মারা গেছেন
  • শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটারের থেকে প্রশাসন বেশি: হাসান জাহাঙ্গীর
  • প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে ৬৩৮ পদে নিয়োগ
  • আশঙ্কাই সত্যি হলো, ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
  • ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু
  • আজ শুক্রবার, ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
    বিনোদন

    শাকিব খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন ছবির নির্মাতা

    বিনোদন প্রতিবেদক প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৩, ০৫:৩১ পিএম
    বিনোদন প্রতিবেদক প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৩, ০৫:৩১ পিএম

    শাকিব খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন ছবির নির্মাতা

    বিনোদন প্রতিবেদক প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৩, ০৫:৩১ পিএম

    ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিং শাকিব খানের বিরুদ্ধে আনিত ধর্ষণের অভিযোগ বর্তমানে 'টক অব দ্য কান্ট্রি'তে পরিণত হয়েছে। 'অপারেশন অগ্নিপথ' চলচ্চিত্রটি নিয়ে কয়েক দিন ধরেই আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। সম্প্রতি এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন সিনেমার নির্মাতা আশিকুর রহমান। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই প্রসঙ্গে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন আশিকুর।

    পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

    চিত্রনায়ক শাকিব খানের নামে যে অভিযোগগুলো এসেছে সেগুলো ত্রুটিপূর্ণ ও বাস্তবতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আমি উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছি। অভিযোগ করার মাধ্যমে কি লক্ষ্য অর্জন করতে যাচ্ছে এটা অভিযোগকারীর কাছেই পরিষ্কার নয়। যদি অনৈতিক কোনো কাজে কেউ সংঘটন করে থাকে, তবে তা যেকোনো দেশের আইনেও অপরাধযোগ্য। আমাদের সবারই সেটার বিচার চাওয়া উচিত। কিন্তু ঘটনার বদলে টাকা বা অন্যকোনো সুবিধা চাওয়াটা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। তবে অপরাধ প্রমাণ হওয়ার আগপর্যন্ত যেকোনো অভিযোগকে সত্য বলা যায় না। অপরাধ প্রমাণের দায়িত্ব একমাত্র পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। একটি চলচ্চিত্রের ঘাড়ে বন্দুক রেখে, ব্যক্তিগত রোষানলের বিষয়ে সমাধান করা অগ্রহণযোগ্য। শাকিব খান ২০১৬ ও ২০১৮ সালে দুইবার অস্ট্রেলিয়াতে শুটিং করতে আসেন। ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ৭-৮ দিনের শুটিং করেন।

    পরবর্তীতে ২০১৮ সালে ‘সুপার হিরো’ চলচ্চিত্রের শুটিং করতে অস্ট্রেলিয়াতে আসেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, তিনি নাকি পালিয়ে গেছেন অস্ট্রেলিয়া থেকে, যেটা বাস্তবে কখনও হওয়া সম্ভব না। এই দেশে কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আসলে, তা খতিয়ে শেষ না দেখা পর্যন্ত তাকে দেশ ত্যাগ বা প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় না। ২০১৬ ও ২০১৮ সালে এই দুই চলচ্চিত্রের সকল কলাকুশলী সম্মান ও আতিথেয়তা সহকারে অস্ট্রেলিয়া আগমন ও ত্যাগ করেন।

    ২০১৮ সালে, শাকিব খান ও অন্যান্য কলাকুশলীরা যখন হোটেল হলিডে ইনে অবস্থান করছিলেন, তখন অস্ট্রেলিয়া পুলিশের দুইজন তদন্তকারী কর্মকর্তা তার রুমে যান। প্রায় ২০-৩০ মিনিটের অবস্থান শেষে তারা অন্যান্যদের আরও কিছু সাধারণ প্রশ্ন করে চলে যান। এই ঘটনা ছাড়া শাকিব খানের সঙ্গে পুলিশের আর কোনো ইন্টারেকশন আমার জানা নেই।

    সেদিনও আমরা ইনডোরে মুভির ২টা সিকোয়েন্সের শুট করি। তার একদিন পর আমি, রবিউল রবি ও শাকিব খানের আরেকজন লিগ্যাল প্রতিনিধি কোগরা পুলিশ স্টেশনে যাই ওই ঘটনার বিস্তারিত জানার জন্য। শাকিব খানের প্রতিনিধি পুলিশের সঙ্গে বিভিন্ন কাগজপত্র নিয়ে আলাদা একটি রুমে বসেন। প্রায় ১ ঘণ্টার রুদ্ধদার আলোচনা শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাদের জানান, শাকিব খানের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পাননি। তারপর, তিনি শাকিব খানের সঙ্গে সরাসরি ফোনে কথা বলেন এবং তাকে কোনো সন্দেহ ছাড়া ও নিশ্চিন্তে সিডনিতে শুটিং করতে বলেন।

    ওই ঘটনার পর আমরা আরও দুই সপ্তাহেরও বেশি সিডনিতে শুটিং করি। সফলভাবে শুটিং করার পর 'সুপার হিরো' চলচ্চিত্রটি ২০১৮ সালে মুক্তি পায় এবং দর্শকদের মন জয় করে সুপারহিট হয়।

    যেকোনো কাজ করার সময় ছোটখাট অনেক ত্রুটি থাকে। সেগুলোকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করাটা মোটেও সমীচীন নয়। খাবার-দাবারসহ যে সকল অনর্থক অভিযোগ এসেছে সেগুলো আসলে অনভিপ্রেত ও ক্ষুদ্র মানুষিকতার পরিচয় দেয়। শুটিংয়ের বিশাল কর্মব্যস্ততার মাঝে সময় পাওয়া কঠিন। প্রতিদিন ১০-১২ ঘণ্টা বিরতিহীন শুটিং করার পর সবারই মূল লক্ষ্য থাকত বিশ্রাম নেওয়া ও পরের দিনের শুটিংয়ের প্রস্তুতি নেওয়া। শাকিব খান এবং আমরা যতক্ষণ একসঙ্গে শুটিং করেছি, কখনও আপত্তিকর কিছু চোখে পড়েনি। এ ছাড়া কাজের বাইরে কারও ব্যক্তিগত বিষয়ে আমি কখনও আগ্রহ দেখাইনি। আমি যে কয়বার অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশ এ ব্যক্তিগতভাবে, শুধু মাত্র এই মুভির জন্য গিয়েছি, তার খরচ এই মুভিতে আমার পারিশ্রমিকের থেকে বেশি। এই মুভিতে কাহিনিকার ও পরিচালক হিসাবে আমি যে সময় ও শ্রম দিয়েছি, তা টাকার অঙ্কে মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়।

    'অপারেশন অগ্নিপথ' চলচ্চিত্রটি অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ মিলিয়ে শুট করার একটাই কারণ ছিল। সেটা হলো, আমরা অনিন্দ্য সুন্দর একটি দেশকে বাংলাদেশের সিনেমার পর্দায় উপস্থিত করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী ও ঈর্ষাকাতর মানুষের কারণে আমরা অসাধারণ একটি গল্প পর্দায় আনতে পারিনি। এই মুভিটি পর্দায় আসলে, বাংলা ভাষায় দর্শকরা অসাধারণ একটি স্পাই থ্রিলার উপভোগ করতে পারত। আমরা সবাই এখনও চাই এই মুভির কাজ শেষ করতে। সময় বলে দেবে, এই চাওয়াটা কত টুকু পাওয়া সম্ভব। তবে, মাত্র ৮ দিনের শুটিং আর দুই মিনিটের টিজারএ যে ঘটনার জন্ম দিয়েছে, আমার মনে হয় না বিগত কয়েক বছরে কোনো চলচ্চিত্র এতটা আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। 'অপারেশন অগ্নিপথ' মুভিটি সত্যিকারের অগ্নিপথ পাড়ি দিয়ে একদিন সোনালি পর্দায় মুক্তি পাবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…