কোন বিষয় ভালোভাবে রপ্ত করতে হলে শিখার কোন বিকল্প নেই। যারা পেশাগত শিক্ষা গ্রহন করে নিজেকে তৈরি করে কর্মজগতে প্রবেশ করেছেন তারাই শক্ত অবস্থান করতে পেরেছেন। একইভাবে অভিনয় জগতে আপনি যদি নিজেকে শক্ত অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাহলে অভিনয়ের বিভিন্ন দিক গুলো আপনাকে ভালো করে শিখে আসতে হবে। যারা অভিনয়কে একটা সহজ বিষয় ভেবে এ পেশায় পা রেখেছেন তাদের স্থায়িত্ব বা গ্রহন যোগ্যতা কোনটাই তৈরি হয়নি। তাই আপনি যদি অভিনয় জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাহলে অবশ্যই অভিনয় বিষয়ক শিক্ষা নিয়েই আসা উচিত। তবে এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন ভালো মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ।
দেশে যে কয়েকটি অভিনয় শিখার প্রতিষ্ঠান আছে তাদের মাঝে ‘স্কুল অব অ্যাকটিং’ অন্যতম।অভিনেতাদের পদ্ধতিগত নাট্যশিক্ষার উপর গুরুত্বদিয়ে গড়ে তোলা হয় এই প্রতিষ্ঠান। ১৯৮১ সাল থেকে ধারাবাহিক ভাবে এ প্রতিষ্ঠান মঞ্চ, বেতার, চলচ্চিত্র, টেলিভিশনের জন্য অভিনেতা-অভিনেত্রী প্রস্তুতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে যুক্ত থেকেছেন খ্যাতিমান নাটক, চলচ্চিত্র এবং সংস্কৃতির বিশিষ্ট জনেরা। সাঈদ আহমদ, অধ্যাপক জামিল আহমেদ, শেখ নিয়ামত আলী, সংগীত শিক্ষক মোতালেব বিশ্বাস, অধ্যাপক কাজী মোস্তাইন বিল্লাহ, ফরিদুর রহমানের নাম উল্লেখযোগ্য। বর্তমানেও খ্যাতিমান শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে এগিয়ে চলেছে স্কুল অব অ্যাকটিং এর কার্যক্রম।
শুরুতে এর সাথে যে জার্মান শিক্ষক যুক্ত ছিলেন তিনি রিচার্ড হেনরিক। স্কুল অব অ্যাকটিং অনেক কৃতি শিক্ষার্থীর প্রতিভা বিকাশে সুযোগ করে দিয়েছিল। মঞ্চ, বেতার, টিভি নাটক এবং চলচ্চিত্রে যারা রেখেছেন কৃতিত্বের স্বাক্ষর। প্রয়াত নায়ক সালমান শাহ, নায়ক ওমর সানী, শাহীন আলম, চিত্র নায়িকা রাকা, বাসন্তী গোমেজ, নির্মাতা গাজী রাকায়েত, আফসানা মিমি, শাহেদ, সেলিম আজম, ইকবাল বাবু তাদের অন্যতম ।
দেশের বরেণ্য নাট্যব্যক্তিত্ব সৈয়দ মহিদুল ইসলাম স্বাধীনতা পরবর্তীতে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে দিল্লী ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করার পর ভারতে ব্যতিক্রম নাট্যগোষ্ঠী গড়ে তোলেন। ১৯৭৮ সালে ব্যতিক্রম ঢাকায় তার কার্যক্রম শুরু করে। দেশে অভিনয়কে পেশা হিসেবে গড়ে তুলতে নিরন্তর কাজ করে গেছেন গুণী এই অভিনেতা, নির্দেশক, নাট্যকার। আর নাট্যশিল্পী তৈরী করতে গড়ে তোলেন স্কুল অব অ্যকটিং ।
চার দশকের বেশী সময় ধরে স্কুল অব অ্যাকটিং কাজ করে চলেছে দেশের সংস্কৃতির অঙ্গনে গুণী অভিনেতা - অভিনেত্রী তৈরীতে। পেশাদার অভিনয়শিল্পী নির্মাণ কারিগর সৈয়দ মহিদুল ইসলামের এই স্কুল অব অ্যাকটিং। যার কার্যালয় পুরান ঢাকার আজিমপুরে। এর প্রতিষ্ঠাতা নাট্যব্যক্তিত্ব সৈয়দ মহিদুল ইসলামের মৃত্যুতে কিছুটা সময় থমকে গেলেও বর্তমানে তাঁর উত্তসুরিরা হাল ধরেছেন স্কুল অব অ্যাকটিং এর। প্রতিষ্ঠানের পরিচালক নওশীন ইসলাম
দিশা জানান বর্তমানে বিভিন্ন মাধ্যমে অভিনেতা হিসেবে নিজেকে গড়তে অনেক তরুণ, তরুণী আগ্রহী হচ্ছেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হতে। বর্তমানে স্কুল অব অ্যাকটিং এর বিভিন্ন ব্যাচের ক্লাস চলছে।
পিএম