ইতালিতে স্পন্সর ভিসা জালিয়াতির অভিযোগে ৪৪ জনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরমধ্যে ইতালি নাগরিকের পাশাপাশি আছেন বাংলাদেশিসহ বেশ কয়েকজন এশীয় ও আফ্রিকান।
ইতালিতে স্পন্সর ভিসায় জালিয়াতি। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তালিকার বাইরের অযোগ্য প্রার্থীরা পাচ্ছেন সুযোগ। সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্মেলনে এমন তথ্য দেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।
তিনি জানান, এই প্রক্রিয়ায় জড়িতরা মানি লন্ডারিংয়েও জড়িত। প্রধানমন্ত্রীর এমন অভিযোগের পর নড়েচড়ে বসে দেশটির পুলিশ প্রশাসন ও গোয়েন্দারা।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার (১০ জুলাই) রাত থেকে শুরু হয় অভিযান। অত্যন্ত গোপনীয় এ অভিযানে দেশটির বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয় ৪৪ জনকে। এরমধ্যে ১৩ জনকে কারাগারে, ২৪ জনকে গৃহবন্দী এবং সাত জনকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়।
তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে ইতালির পুলিশ প্রশাসন ও প্রসিকিউটররা। নাপলির পাশে সালের্নোতে অস্তিত্বহীন ও ভুয়া তথ্যে বিপুল অর্থের বিনিময়ে প্রায় আড়াই হাজার স্পন্সর ভিসা দেয়া হয়েছে। চক্রের সঙ্গে সরকারি আমলারাও জড়িত বলে জানা গেছে।
অভিযানে দালালদের কাছ থেকে নগদ প্রায় ছয় মিলিয়ন অবৈধ ইউরো জব্দ করা হয়েছে। অভিযান আরও জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতার ৪৪ জনের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি রয়েছে বলে জানা গেছে। ইতালির স্পন্সর ভিসা জালিয়াতির প্রধান টার্গেট বাংলাদেশিরা। দালালের খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন অনেক অভিবাসন প্রত্যাশী। তাই অবৈধ লেনদেন এবং দালাল চক্রের খপ্পরে না পড়ার পরামর্শ ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির।
এসএফ