দেশের উল্লেখযোগ্য স্থল বন্দর সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি কমায় কমেছে রাজস্ব আদায়। গত অর্থবছরে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে ১৬৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকার বেশি। নিয়ম মাফিক পণ্য ছাড় না দেয়ায় বন্দরে রাজস্ব আয় কমেছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ডলার সংকটে ব্যাহত হচ্ছে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো এক হাজার ৭৮ কোটি ৭১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অর্থবছর শেষে আয়ের হিসাব দাঁড়ায় লক্ষ্যমাত্রার ৯১৫ কোটি ৪ লাখ টাকায়।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে গত দুই বছর ধরে কমেছে কৃষিপণ্য, গোখাদ্য ও পাথর আমদানি। শূন্যের কোটায় নেমেছে ফল আমদানি।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, পরিবহন সংকট ও অতিরিক্ত কর আদায়ের কারণে আমদানিকারকরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন এ বন্দর থেকে।
আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা জানান, অতিরিক্ত কর আদায়ের কারণে ব্যবসা গুটিয়ে অনেকেই চলে গেছেন অন্য পোর্টে। বেশি খরচ, হয়রানিসহ বহু জটিলতায় পণ্যের গাড়ি কমে যাচ্ছে। আমদানিকারকরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। তবে সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে যানজটের কারণে গাড়িগুলো সঠিক সময়ে পণ্য গন্তব্যে নিয়ে যেতে পারে না। এতে ঢাকা রুটের গাড়ি কমে যাচ্ছে।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের সিনিয়র ম্যানেজার টিপু সুলতান বলেন, ‘সব সুবিধা থাকলেও ডলার সংকটসহ বিভিন্ন কারণে আমদানি কমেছে। ডলার সংকট বা অন্য কারণ হোক বন্দরে গাড়ি সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এ কারণে রাজস্ব আয়ও কম হচ্ছে।’
বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১৪২ কোটি ৩১ লাখ টাকা ও ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ২৩৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছিলো।
এইচএ