কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার ১৬ বছর বয়সী কলেজ শিক্ষার্থী আলফি শাহরিয়ার মাহিম জামিন পেয়েছে।
কারাগারে যাওয়ার ১৩ দিন পর বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের বিচারক মোস্তফা কামাল তার জামিন মঞ্জুর করেন।
রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহিমের জামিন শুনানির জন্য ৪ আগস্ট দিন ধার্য থাকলেও শিশু হওয়ায় আগাম জামিন দেওয়া হয় তাকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী জোবায়দুল ইসলাম ও বাহারুল ইসলাম।
মাহিমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই বিকেলে আলফি শাহরিয়ার মাহিমকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে। এরপর থেকে কারাগারে আছেন তিনি। বুধবার বিকেলে মাহিমের বোন সানজানা আখতার স্নেহা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলে বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
সানজানা আখতার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘যে ছেলেটা লিগ্যাল ডকুমেন্টস অনুযায়ী শিশু; তাকে তারা কোন হিসেবে এভাবে হ্যারাস (হয়রানি) করাচ্ছে? সব থেকে বড় কথা তার গায়ে কলেজ ড্রেস ও সঙ্গে আইডি কার্ড ছিল। সে পুলিশদের ইনস্টিটিউটেরই ছাত্র। এক্ষেত্রে কি তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, সহপাঠী, আইনজীবী কারও কিছুই করার নাই? আমার ভাইকে কোন লজিকে তারা আটকে রেখেছে, দেখাও করতে দিচ্ছে না!’
এ বিষয়ে রংপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন (অপরাধ) বলেন, ‘১৮ জুলাই যখন থানায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট হয় তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জিন্সের প্যান্ট ও গেঞ্জি পড়া অবস্থায় আটক হয় মাহিম। পরে তাকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। বিষয়টি আমাদের নলেজে আসা মাত্রই পুলিশ কমিশনার স্যার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, ‘যেহেতু মাহিম ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল না, আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল মাত্র। তাই জামিনের মাধ্যমে তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে।’
মাহিমের আইনজীবী বাহারুল ইসলাম বলেন, আগামী ৪ আগস্ট তার জামিন শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। কিন্তু শিশু হওয়ায় এবং আগাম জামিনের আবেদন করায় আদালত জামিন দিয়েছেন।
এআই