ভারতে যাওয়ার সময় বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার নতুন বান্দুরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব হালদার (২৯) কে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরের দিকে সে পাসপোর্ট ভিসা নিয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারত যাওয়ার চেস্টা করছিল। সে ওই এলাকার সুনীল হালদারের ছেলে।
বিজিবি তার কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় সে বলে, আমি একটি কসমেটিক্স এর দোকানে চাকুরি করি। চিকিৎসার জন্য ভার যাচ্ছি। পরে তার মোবাইল ফোন দেখে নিশ্চিত হন সে বান্দুরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি।
বেনাপোল বিজিবি কোম্পানী কমান্ডার মাহাবুবুর রহমান জানান, আটক সজীব হালদারকে চেকপোস্ট থেকে বেনাপোল সদর কোম্পানীতে এনে রাখা হয়েছ। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে যশোরের শার্শা ও বেনাপোল সীমান্ত পথে অনুপ্রবেশ রোধে সতর্কতা জারি করেছে ৪৯ ও ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। এরই মধ্যে সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বৃদ্ধি করা হয়েছে বিজিবির নজরদারি ও লোকবল। বন্দর এলাকাসহ ¯’ল ও রেলপথে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
সাধারণত অনুপ্রবেশ করার মত জায়গা হচ্ছে বেনাপোলের পুটখালী, গোগা, কায়বা, অগ্রভুলোট, রুদ্রপুর, দৌলতপুর, গাতিপাড়া, ঘিবা, সাদিপুর, বড়আঁচড়া, কাশিপুর, ধান্যখোলা, রঘুনাথপুর, শিকারপুর ও হরিশ্চন্দ্রপুর সীমান্ত পথ ব্যবহার করে থাকে।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জানান, সকল সীমান্তে কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে। এসব সীমান্ত দিয়ে আওয়ামীলীগের কোন জনপ্রতিনিধি বা নেতা অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশ না করতে পারে সে ক্ষেত্রে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করেছি। সীমান্তের প্রতিটি বিওপি পোস্টে পেট্রোল ও অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি আযহারুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে সীমিত পরিসরে যাত্রী আসছে এবং বাংলাদেশ থেকে মেডিকেল যাত্রী সীমিত পরিবেশে যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশ থেকে কোন সাধারণ পাসপোর্ট যাত্রী ভারত প্রবেশের ক্ষেত্রে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে যাচাই-বাছাই করতে হচ্ছে এমনটা জানা গেছে।
এমআর