তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করতে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) তুরস্কে যাচ্ছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। তিনি সেখানে গেলে এটাই হবে গত ১২ বছরের মধ্যে কোনো মিসরীয় প্রেসিডেন্টের প্রথম তুরস্ক সফর। খবর রয়টার্সের।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তুর্কি প্রেসিডেন্টের যোগাযোগ কার্যালয় জানিয়েছে, এই বৈঠকে তুরস্ক ও মিসরের সম্পর্কের সব দিক নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে। আগামী দিনে সহযোগিতা আরও উন্নত করার জন্য সম্ভাব্য যৌথ পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হবে।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি গাজা উপত্যকা এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের হামলাসহ বর্তমান আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে মতবিনিময় করবেন দুই দেশের নেতা।
স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় সিসির আঙ্কারায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। পরে আজ বিকেল ৫টার দিকে দুই দেশের নেতা একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন করবেন।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, দেশ দুটি প্রায় ২০টি চুক্তি স্বাক্ষর করবে। এর ফলে দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার ছাড়াও জ্বালানি, প্রতিরক্ষা, পর্যটন, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি ও শিক্ষার ক্ষেত্রে সহযোগিতার দুয়ার প্রসারিত হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) নিয়ে সহযোগিতা জোরাদরের পরিকল্পনাও রয়েছে।
মিশরের তৎকালীন সেনাপ্রধান সিসি মুসলিম ব্রাদারহুডের মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করলে ২০১৩ সালে আঙ্কারা ও কায়রোর মধ্যে সম্পর্ক ভেঙে পড়ে। মুরসি তুরস্কের মিত্র এবং মিসরের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে সবশেষ তুরস্ক সফর করেছিলেন তিনি।
তবে তুরস্ক সংযুক্ত আরব আমিরাত,সৌদি আরব ও মিসরের মতো আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার পদক্ষেপ হাতে নিলে ২০২০ সালে আঙ্কারা ও কায়রোর সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করে। গত বছর পারস্পরিকভাবে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেয় তুরস্ক ও মিসর। এ ছাড়া গত ফেব্রুয়ারি মাসে এরদোয়ান কায়রো সফর করেন। ২০১২ সালের পর তখনই তিনি প্রথমবারের মতো মিসরে পা রাখেন। দুই দেশের সম্পর্ক জোড়াদানে এরদোয়ানের এই সফরকে বেশ বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়।
এবি