কনস্ট্রাকশন , ল্যাণ্ড, এপার্টমেন্ট, খাদ্য, এগ্রো, ফিসারিজ, ডেইরি, ভেবারিজ, কিসের ব্যবসা নেই তার? কিন্তু, একদিন তার এসব কিছুই ছিল না। আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের ক্ষমতাকে পুঁজি করে আজ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি!
জানা যায়, মেলান্দহ উপজেলার দুরমুঠ ইউনিয়নের সুলতানাখালি গ্রামের দরিদ্র কৃষক আব্দুছ সামাদের ছেলে সোহরাব হোসেন বাবুল। বাবুল স্কুলে পড়া অবস্থায় মা মারা যায় তার। বাবা আবার বিয়ে করেন। দারিদ্রতার কারণে সংসারে টানাটানি লেগেই থাকতো। এই অবস্থা দেখে জামালপুর পৌর এলাকার দেউরপাড় চন্দ্র গ্রামের নিবাসী, মামা সালাম খান, ভাগ্নে সোহরাবকে নিয়ে যায় নিজের বাড়িতে। পড়াশোনা করিয়ে একসময় মেয়েকে বিয়ে দেন বাবুলের কাছে। তখনও বাবুল বেকার। কিছুই করত না। তারপর ভাইরা এন্তেজ আলীর পরামর্শে চালের ব্যবসা শুরু করেন। প্রতিদিন সকালে বগাবাইদে অবস্থিত শ্বশুরের রাইস মিল থেকে সাইকেলে করে চাল নিয়ে সকাল বাজারে এনে বিক্রি করতেন। এভাবে একসময় জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে যুক্ত হন। সেই আমলেই শ্বশুর বাড়ি এলাকা থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
অতঃপর ৯১ তার সহপাঠী মির্জা আজম মেলান্দহ মাদারগঞ্জের এমপি নির্বাচিত হলে সহপাঠী মির্জা আজম এমপি, দিদার পাশা, ফারুক আহমেদ চৌধুরীর আহবানে আওয়ামী লীগের প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যুক্ত হন। তারপর থেকে আর বাবুলকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। শুধু উত্থান আর উত্থান!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা আওয়ামী লীগের একজন নেতা জানান, আওয়ামী লীগের ২০ বছরে ক্ষমতায় বাবুল গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। ঢাকায় নিজের নামে, স্ত্রীর নামে, ছেলের নামে, মেয়ে নামে ফ্ল্যাট, দেউরপাড় চন্দ্রায় দ্বিতল বসতবাড়ি, খামার বাড়ি, শহরের বকুল তলায় দুইটি বহুতল বাড়ি, আমলা পাড়ায় মুক্তি টাওয়ার নামে ১০তলা বাড়ি, গ্রামের বাড়ি দুরমুঠে ২তলা বাড়ি, ২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দুরমুঠ ইউনিয়ন দলীয় কার্যালয় নির্মাণ, কোটি টাকা ব্যয়ে মা বাবার নামে দুইটি ব্যক্তিগত মাদ্রাসা, শত একর জমিতে মাছের প্রজেক্ট, গরুর খামার ইত্যাদি ? জামালপুরে যেসব আওয়ামী লীগের নেতারা দল ও দলের ক্ষমতাকে ব্যবহার করে জিরো থেকে হিরো হয়েছেন সহ-সভাপতি বাবুল কমিশনার তাদের অন্যতম!
তবে, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ সোহরাব হোসেন বাবুল পলাতক থাকায় চেষ্টা করেও তার মতামত পাওয়া যায়নি।
এমআর