অবৈধভাবে পরিত্যক্ত রেললাইন, ডকপিন, যন্ত্রপাতি বিক্রি, গেইট কিপারদের কাছ থেকে মাসিক হারে চাঁদা আদায়, কর্মচারীদের হয়রানি করাসহ বিস্তর অভিযোগ উঠেছে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পিডব্লিওআই) সাইফুল্লাহ রিয়াদের বিরুদ্ধে।
তার এই অপকর্মের ১৪ দফা ফিরিস্তি তুলে ধরে বিচারের দাবীতে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী ও সাধারণ ছাত্ররা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালে শায়েস্তাগঞ্জ-বাল্লা রেলপথের পরিত্যক্ত রেললাইন নিলামে দেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। তখন নিলামের বাহিরে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকার রেল লাইন তুলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় বিক্রি করে দেন উর্ধতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) সাইফুল্লাহ রিয়াদ।শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে গুদামে থাকা পরিত্যক্ত ডকপিন, পাত ও যন্ত্রপাতি বিক্রি করেন তিনি।
অবৈধভাবে বিক্রি করে দেওয়া এসব মালের হিসাব মিলানোর জন্য নিরীহ গেইট কিপারদের বিরুদ্ধে মামলাও করেন তিনি। লস্করপুর থেকে আখাউড়া পর্যন্ত রেল লাইনের স্লিপার পরিবর্তনের কাজ পাওয়া ঠিকাদারের কাছ থেকে কাজ নিয়ে নিজেই করেন। এই কাজে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
টিএলআর গেইট কিপারদের কাছ থেকে প্রতিমাসে ১০০০ টাকা হার আদায় করা, পুরাতন টিএলআর গেইট কিপারদের বিনা কারণে চাকরিচ্যুত করে নিজের ভাই সহ আর্থিক সুবিধা নিয়ে নতুন লোক নিয়োগের ব্যবস্থা করেছেন তিনি।
২০২৩ সালে লেভেল ক্রসিং এর কার্পেটিং কাজ পাওয়া ঠিকাদারের কাছে কয়েক লক্ষ টাকায় কাটের স্লিপার বিক্রি করে দেন সাইফুল্লাহ। ২০২৪ সালের ২ জানুয়ারি মঞ্জুরি পাওয়া পি এল আর গেট কিপারদের যোগদান করতে না দিয়ে তাদের বেতন ভাতা কৌশলে আত্মসাৎ করেন।
সেলুস্কিনিং কাজে নিম্নমানের পাথর ব্যবহার এবং পরিমাণে কম দেন তিনি। এছাড়াও রেলওয়ে শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীদের অয়ত্ত্বে রেখে প্রভাব বিস্তার ও নানা অপকর্ম করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে ছাত্রদের পক্ষে আবেদনকারীদের একজন আলাউদ্দিন জানান, সাইফুল্লাহ রিয়াদ দুর্নীতি করে শায়েস্তাগঞ্জ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এতে করে রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাইফুল্লাহ রিয়াদ বর্তমানে আখাউড়া সেকশনে ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে শায়েস্তাগঞ্জ সেকশনেও রয়েছেন। অভিযোগের বিষয়ে সাইফুল্লাহ রিয়াদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।
এমআর