কুড়িগ্রামে তিস্তাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি হ্রাস পেতে থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন তীব্র হয়ে উঠেছে।
উজানের ঢল আর টানা বৃষ্টিতে জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচে থাকলেও তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে করে তিস্তার দুইপাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে তলিয়ে যায় আমন ধান ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসল। একদিন পর বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার নিচে নেমে যায় তিস্তার পানি। কিন্তু অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম না করায় অববাহিকার ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আকস্মিক বন্যায় আমনসহ ৫০০ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রোপা আমনের ক্ষতি কিছুটা কম হলেও, অন্যন্য ফসলের কিছুটা হবে। ক্ষতি নিরুপণে কাজ করা হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের বন্যার সবশেষ তথ্য জানতে- ০১৭১৩২০০০৯১ (এস এম ফয়সাল শামীম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, সময়ের কন্ঠস্বর)
এফএস