শারদীয় দুর্গোৎসব ঘিরে সারাদেশে এখন আনন্দমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। উৎসবের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার মহাসপ্তমীতে সারা দেশের প্রতিটি মণ্ডপই ছিল উৎসবমুখর। ভক্ত, পূজারী ও দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়ে জমজমাট ছিলো সারাদেশের ৩১ হাজার ৪৬১টি পূজামণ্ডপ। শুক্রবার দুর্গোৎসবের তৃতীয় দিন মহাঅষ্টমী ও সন্ধিপূজা। রামকৃষ্ণ মিশনসহ বেশ কয়েকটি পূজামণ্ডপে একই সঙ্গে এ দিন কুমারী পূজাও অনুষ্ঠিত হবে।
মহাসপ্তমীর দিনে বৃহস্পতিবার সকালে মণ্ডপে মণ্ডপে ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদান করা হয়। সকাল ৭টা ৫৩ মিনিটের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন ও সপ্তম্যাদি কল্পারম্ভ। এরপর দেবীর সপ্তমীবিহীত পূজা শেষে আয়োজন করা হয় পুষ্পাঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও ভোগ আরতি। অনেক মণ্ডপেই ছিল আরতি, স্বেচ্ছায় রক্তদান, দরিদ্রদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ, নৃত্যনাট্য, ভক্তিমূলক সঙ্গীত, নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন আয়োজন। এ দিন রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির মণ্ডপে ছিল উপচেপড়া ভিড়। আজ মহাষ্টমীর দিনে সেখানে ১০ হাজারের বেশি ভক্তের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হবে।
মহাষ্টমীতে আজ সকাল ৭টা ১৭ মিনিটের মধ্যে দেবীর মহাষ্টমী কল্পারম্ভ ও মহাষ্টমীবিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর পুষ্পাঞ্জলি ও প্রসাদ বিতরণ শেষে সন্ধ্যা ৬টা ৫৩ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৪১ মিনিটের মধ্যে হবে সন্ধি পূজা। রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠসহ কয়েকটি পূজামণ্ডপে বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকামতে দুর্গাপূজা আয়োজনের কারণে এসব মণ্ডপে পূজার সময়ের হেরফের ঘটবে কিছুটা। তবে আজকের দিনের প্রধান আকর্ষণ থাকবে কুমারী পূজা।
সকাল ১১টায় রাজধানীর গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ পূজামণ্ডপে এ কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য অল্পবয়সী একটি মেয়েকে কুমারী হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে, যাকে দেবী দুর্গার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা অনুসারে তার একটি নামকরণও করা হবে। কুমারী পূজা ছাড়াও আজ মিশনে প্রায় ৩৫ হাজার পূজারী ও দর্শনার্থীর মধ্যে বিতরণ করা হবে মহাপ্রসাদ।
এফএস