নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দায় কৃষি জমিতে বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে সাবেক সেনা সদস্যসহ দুইজন নিহত হয়েছে। এ সময় একজন গুরুতর আহত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে দশটায় কলমাকান্দা উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের ধীতপুর শুনই গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হচ্ছেন- উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের ধীতপুর শুনই গ্রামের ফকির বাড়ির সদর আলী ফকিরের ছেলে সাবেক সেনা সদস্য রফিকুল ইসলাম ফকির (৫২), একই গ্রামের ফজু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (২৫)। আহত ব্যক্তি ওই গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে জায়েদুল (৪০)।
আত্মীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর বর্ষা শেষ হওয়ার পর পর কৃষি জমির সেচ পাম্পগুলোতে নতুন করে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয় ও মেরামত করা হয়। আজ সকাল ৮টার দিকে রফিকুল ইসলাম নিজ বাড়ির পেছনে দুইজন শ্রমিকসহ জমিতে সেচ পাম্পে বৈদ্যুতিক লাইন মেরামতের কাজ করছিলেন। কাজের এক পর্যায়ে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যান রফিকুল ইসলাম। পরে তার দুই কর্মচারী তাকে বাঁচাতে গেলে তারাও বিদ্যুতায়িত হয়। এতে তিনজনেই মারাত্মক আহত হন।
পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত জায়েদুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
রফিকুল ইসলামের চাচাতো ভাই মিঠু ভূইয়া জানান, সকালে বাড়ির পাশের জমিতে সেচ পাম্পের কাজ করতে যায়। বিদ্যুৎ না থাকায় বিদ্যুতের তার পাম্পে সংযোগ দিচ্ছিল হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে আসায় প্রথমে রফিকুল আহত হয়। পরে তার কর্মচারীরা তাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়।
রায়হান ইসলাম ফকির জানান, বিদ্যুৎপৃষ্ট হওয়ার খবর শুনে আমরা গিয়ে তিনজনকে নিয়ে সদর হাসপাতালে আসি। পরে ডাক্তার দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন, আর একজনকে ময়মনসিংহ পাঠিয়েছি। সুমন মিয়ার বয়স কম আজকেই প্রথমবার কাজে গিয়েছিল। আর আজকেই মারা গেল ছেলেটা। আর জায়েদুল তো রফিকুলের এখানে ৬/৭ বছর যাবৎ কাজ করছে।
নেত্রকোনা সদর মডেল থানার এস আই শাহজালাল খান জানান, ওয়ারলেসের মাধ্যমে খবর পেয়েছি যে সদর হাসপাতালে বিদ্যুৎপৃষ্ট তিনজনকে নিয়ে আসা হয়েছে। পরে হাসপাতালে এসে দুইজনকে মৃত অবস্থায় পাই এবং একজনকে ময়মনসিংহ রেফার্ড করা হয়েছে।
কলমাকান্দা থানায় অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।