কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে সাগর মিয়া নামে এক মৎস্যজীবীকে পিটিয়ে হত্যার বিচার চেয়ে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে পরিবারটি। এদিকে মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে থানা পুলিশের দাবি সাগর হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সকল আসামিকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
গত (২২ আগস্ট) রাতে মিঠামইনের গোপদীঘির দৌলতপুর হাওরের মাঘাপোড়া বিল এলাকায় সাগর মিয়াকে পিটিয়ে হত্যা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। নিহত সাগর মিয়া এলংজুড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শুখন মিয়ার ছেলে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত (২৬ আগস্ট) নিহত সাগরের বাবা শুখন মিয়া মিঠামইন উপজেলার পূর্ব শরীফপুর গ্রামের উমেদ আলীর ছেলে আল আমিন, পশ্চিম শরীফপুর গ্রামের মৃত কালা মামুদের ছেলে দ্বীন ইসলাম, একই গ্রামের মৃত তায়বুদ্দিনের ছেলে ইসলামসহ ১১ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও নিহত পরিবারের স্বজনরা জানায়, গত (২২ আগস্ট) মিঠামইনের গোপদীঘি বাজারে সারা দিন মুরগী বিক্রি করে বকেয়া টাকা আদায় করে বাবা-চাচার সঙ্গে নিহত সাগর নিজ নৌকাযোগে নিজ বাড়ি ইটনার এলংজুড়ির কাবিলাপাড়া গ্রামে রওনা দেন। পথিমধ্যে শরীফপুরের দৌলতপুর হাওর মোঘাপোড়া বিল এলাকায় জলমহালের পাহাদার পরিচয়ে নৌকা থামিয়ে এলোপাতাড়ি সবাইকে পেটাতে থাকে অভিযুক্তরা। এ সময় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে নৌকা থেকে পানিতে পড়ে ডুবে যান সাগর। পরদিন সকালে মাঘাপোড়া বিলে তার মরদেহ পরে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে সাগরের বাবা এসে মরদেহ শনাক্ত করেন।
নিহত সাগরের বাবা শুখন মিয়া বলেন, ‘মামলার পর নিজ উদ্যোগে একজন আসামিকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিয়েছি, অথচ বাকি আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। আসামিরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি বারবার থানা, সিআইডি অফিসসহ কত স্থানে দৌড়াদৌড়ি করছি, কোনো লাভ হচ্ছে না।
মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিউল আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ইতোমধ্যে একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চলছে।
এইচএ