মানিকগঞ্জের শিবালয়ে আলোচিত ও নুরজাহান (৩৩) হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ ৭২ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪, সিপিসি-৩ মানিকগঞ্জ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪, সিপিসি-৩ মানিকগঞ্জ এর লেঃ কমান্ডার মো. আরিফ হোসেন। গ্রেফতারকৃত আসামী শিবালয় উপজেলার বোয়ালীপাড়া এলাকার মো. আতোয়ারের ছেলে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে আলিফকে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব ।
র্যাব অফিস সূত্রমতে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের শিকার নুরজাহান ও মো. আলিফ একই এলাকার বাসিন্দা। নুরজাহানের স্বামীর সাথে আলিফের ব্যবসায়িক সম্পর্ক থাকার সুবাদে সে প্রায়ই নুরজাহানের বাড়িতে যাতায়াত করতো এবং মোবাইলে যোগাযোগ করত। এরই ধারাবাহিকতায় নুরজাহান ও মো.আলিফের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং একপর্যায়ে অনৈতিক সম্পর্কে রূপ নেয়। বিষয়টি একসময় নুরজাহানের স্বামী ও আশেপাশের লোকজনের কাছে জানাজানি হলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এরপর নুরজাহানের স্বামী আলিফের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং নুরজাহানের সাথে কথা ও দেখা না করতে অনুরোধ করেন। পরবর্তীতে নুরজাহান বেশ কিছুদিন আলিফের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রাখে। কিছুদিন পর আলিফ ফোন করে নুরজাহানকে সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে এবং তার সাথে দেখা করতে বলে।
এরপর নুরজাহান গত ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে বোয়ালীপাড়া এলাকায় বিল্লাল হোসেনের জমিতে দেখা করতে গেলে আলিফ পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক নুরজাহানের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন শেষে তার সাথে থাকা ছুরি দিয়ে নুরজাহানের গলা, বুক ও পেট কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পরদিন দুপুর সোয়া দুইটার দিকে হত্যাকাণ্ডের শিকার নুরজাহানের বাবা ও স্থানীয় লোকজন নুরজাহানের মৃতদেহটি দেখতে পেয়ে শিবালয় থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। গত ২০ নভেম্বর নুরজাহানের বাবা বাদী হয়ে শিবালয় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে র্যাব-৪, সিপিসি-৩ মানিকগঞ্জ এর লেঃ কমান্ডার মো. আরিফ হোসেন বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি ও পারিপার্শ্বিক আলামত এবং তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনপূর্বক ঘটনার সাথে জড়িত আলিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি সব শিকার করেছে। পরে তাকে স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
পিএম