লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য ও খবরের কাগজ প্রতিনিধি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের বাড়িতে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন দাউদপুরে তার গ্রামের বাড়িতে এ হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে।
শনিবার(২৩ নভেম্বর) বিকেলে চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনা নিশ্চিত করেন।
সাংবাদিক রফিকের স্বজনরা জানায়, রাত সাড়ে আটটার দিকে একটি মোটরসাইকেল ও একটি সিএনজি অটো রিকশা করে 8 জন সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রফিকুল ইসলামের বাড়িতে হানা দেয়।সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি টের পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে দেয়।
এসময় তারা রফিকুল ইসলামের সাথে জরুরী কথা আছে বলে ঘর থেকে বাইরে ডেকে নেওয়ার চেষ্টা চালায়।রফিকুল ইসলাম ঘর থেকে বের হতে অস্বীকৃতি জানালে সন্ত্রাসীরা ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। এ সময় রফিকুল ইসলাম থানা পুলিশ ও প্রতিবেশীদের ফোনে খবর দিলে প্রতিবেশীরা রফিকুল ইসলামের বাড়িতে ছুটে আসছে জেনে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। রাতেই চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি সন্ত্রাসী হামলায় নিহত তার প্রতিবেশী বন্ধু মোহাম্মদ নুর আলম নুরু টেইলারের মামলার তদারকি করায় মামলার এজাহার নামীয় ও খুনের সাথে জড়িত আসামি নিকু ও তার গ্রুপের সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালাতে পারে।
এদিকে এ ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমদ হেলাল, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেল, লক্ষ্মীপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক গাজী মমিন উল্লাহ, যুগ্ন সম্পাদক আব্দুল মালেক নিরব, লক্ষ্মীপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি জহির উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্বাছ হোসেন, চন্দ্রগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন পৃথক পৃথক বিবৃতিতে সাংবাদিক রফিকুল ইসলামের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানান।
তারা অবিলম্বে হামলার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও সাংবাদিক পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কায়সার হামিদ জানান, হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।
জানা যায়, অভিযুক্ত সন্ত্রাসীরা চন্দ্রগঞ্জ থানা এলাকায়, খুন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি,দখল- লুটপাট সহ সব ধরনের অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। হামলায় নেতৃত্বদানকারী নিকুর বিরুদ্ধে দুটি হত্যা,ডাকাতি ও মাদক সহ ৭/৮টি মামলা রয়েছে।
নুরু টেইলার হত্যার পর তারা কিছুদিন গা ঢাকা দিলেও সম্প্রতি তারা এলাকায় ফিরে এসে আবারো আগের মত অপরাধকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় বিএনপি চন্দ্রগঞ্জ বাজারে চাঁদাবাজি বন্ধ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং মান্দারী বাজারে শ্রমিক সমাবেশ করেছে।
সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলেও পুলিশ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে কোন ভূমিকা রাখছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
এমআর