ইসলামিক সঙ্গীত জগতে এক নয়া দিগন্তের সূচনা করেছেন হোসাইন নূর। মাত্র কয়েক বছর আগে লেখালিখি শুরু করা এই গীতিকার আজ ইসলামি সঙ্গীতের এক পরিচিত নাম। তার লেখা গজলগুলো যেমন মনোমুগ্ধকর, তেমনি হৃদয়ের গভীরে তোলে আলোড়ন। সম্প্রতি রিলিজ হয়েছে নতুন গজল ‘মিছে দুনিয়া’। এটা তার ২৮৭ তম প্রকাশ।
গজলটি রিলিজ হয়েছে বাংলাদেশের ইসলামিক গানের সর্ববৃহৎ প্ল্যাটফর্ম হলিটিউন ইউটিউব চ্যানেলে। রিলিজের পর ইতিমধ্যে দারুণ সাড়া ফেলেছে দর্শক-শ্রোতাদের মাঝে। সোস্যাল মিডিয়ায় বইছে আলোচনার জোয়ার। কমেন্টে প্রশংসার জোয়ারে ভাসাচ্ছেন শ্রোতারা। একজন লেখেন, সময়ের সেরা মরমী নাশিদ। সবার মন ছুঁয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
গজলটিতে সুর ও কণ্ঠ দিয়েছেন কলরবের জনপ্রিয় শিল্পী মুহাম্মদ বদরুজ্জামান। তানজিম রেজার সঙ্গীত পরিচালনায় ভিডিও নির্মাণ করেছেন দক্ষ নির্মাতা ইয়ামিন এলান। হৃদয়স্পর্শী গল্পে অভিনয় করেছেন, বরেণ্য অভিনেতা আবুল হায়াত, রকি খান ও তারেক জামানসহ অন্যান্য প্রতিভাবান অভিনেতা।
‘মিছে দুনিয়া’ গজলটির গল্প মূলত জীবনের অস্থিরতা এবং পরকাল নিয়ে। গল্পের শুরুতে এক যুবককে দেখা যায়; যিনি তার দাদুর শূন্য ঘরে ঢুকে অতীত স্মৃতি মনে করতে থাকেন। রুমের এক কোণে পড়ে থাকা দাদুর ব্যবহৃত লাঠি তাকে ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দেয়। তার মনে পড়ে যায় দাদুর সাথে বল খেলার স্মৃতি, দুরন্ত শৈশব, ফেলে আসা কৈশোর। দেখা যায় তার বাবার ব্যস্ত জীবন। গজলটি শেষ হয় একজন মানুষের মৃত্যুর পর তার স্বজনদের শোকে ভরা দৃশ্যের মধ্য দিয়ে। এ বিদায় দাদুর নাকি বাবার? নাকি অন্য কারো? এ দৃশ্যতো সবার ক্ষেত্রেই এক! গাড়ি-বাড়ি ও জীবনের অনেক কিছু অমীমাংসিত রেখে এভাবেই মানুষকে চলে যেতে হয়। স্বপ্নের বাড়ি রয়ে গেলেও পরিবর্তন হয় শুধু বাড়ির মালিক। এমনই এক অমোঘ সত্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এখানে।
সঙ্গীতটির গীতিকার হোসাইন নূর বলেন, আলহামদুলিল্লাহ্ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমিও একদিন থাকব না। আমার এ লেখাগুলো হয়তো থেকে যাবে। এর দ্বারা কেউ যদি উপকৃত হয়, কারো জীবনে পরকালীন ভাবনা জাগ্রত হয় তারা যেন আমার জন্য দুআ করেন। আমার আর কিছু চাওয়ার নেই। আল্লাহ আমাদের কাজগুলো কবুল করুন।
আরইউ