২৭ নভেম্বর ২০২৪ (বুধবার) দুপুর ১২ টা বেজে ৩ মিনিট। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বাস টার্মিনাল সড়কের পাশে অবস্থিত নিশু টেড্রাসের স্বত্বাধিকারী ও ঠাকুরগাঁও পৌর আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাহফুজার রহমান রিপনকে একটি মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
সদর থানার এএসআই খাদেমুল ইসলাম ও কনস্টেবল সরব আওয়ামী লীগ নেতা রিপনকে মোটরসাইকেলের মাঝখানে বসিয়ে থানায় নিয়ে যান।
নিয়ে যাওয়ার পথে তার পকেটে থাকা ১৯০০০ টাকা হাতিয়ে নেন এএসআই খাদেমুল ইসলাম৷ সাথে তার পকেট থেকে কেড়ে নেওয়া হয় তার মুঠোফোনটি। পরে সারাদিন তাকে ওসির পাশের ছোট রুমে আটকে রাখা হয়। দিনভর চলে মামলার ভয়-ভীতি দেখিয়ে দর কষাকষি। সন্ধ্যার পরে তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷
ভুক্তভোগী মাহফুজার রহমান রিপন এ বিষয়ে প্রতিবেদন না করার অনুরোধ করে বলেন, আমাকে নিয়ে যাওয়ার পরে ছোট ঘরে রাখা হয়। আমার মোবাইল ফোনটি নিয়ে নেয়। মোবাইল থেকে কিছু ছবি বের করে আমাকে দেখায়। আর বলে আমি আওয়ামী লীগের অর্থ জোগান দাতা ছিলাম। যাওয়ার সময়ে এএসআই খাদেমুল আমার পকেটে থাকা ১৯ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। আমাকে বিস্ফোরক আইনে মামলা দেওয়ার কথা কয়েক দফায় বলা হয়৷ পরে সন্ধ্যার আগে বিভিন্ন মাধ্যমে তদবীর করে থানা থেকে বের হয়ে এসেছি৷
ভুক্তভোগী মাহফুজার রহমান রিপন ৮ ঘন্টার অধিক সময় ধরে থানায় আটক করে রাখা হলেও এমন কোন ঘটনা ঘটেনি বলে জানান সদর থানা পুলিশ৷ এই নামে কাউকে থানায় নিয়ে আসা হয়নি বলে জানান তারা৷
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানার এএসআই খাদেমুল ইসলাম বলেন, আমি কাউকে তুলে নিয়ে আসিনি৷ রিপন নামে কাউকে চিনিনা।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুর রহমান বলেন, আমি জানি আপনারা আমাক বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার জন্য আসবেন। আমি সারাদিনে থানায় ছিলামনা। কাকে নিয়ে আসা হয়েছে তাও বলতে পারছিনা। কেউ যদি নিয়ে এসে ছেড়ে দেয় আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা৷
যেখানে সিসিটিভি ফুটেজে বিষয়টি স্পষ্ট সেখানে পুলিশ প্রশাসনের এমন কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, যদি কাউকে তুলে নিয়ে আসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়৷ আবার ঘটনাটি অস্বীকার করা হয় তাহলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আরইউ