সৌদি আরবের দাম্মামে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মারা যাওয়া রাসেল মিয়া (২৮) এর মরদেহ ১৭ দিন পর দেশে এসেছে। আজ শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তার গ্রামের বাড়িতে তার মরদেহ আনা হয়। নিহত রাসেল মিয়া পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়নের বেলদী গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে।
পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, রাসেল মিয়া ২০২১ সালে কর্মের তাগিদে সৌদি আরব পাড়ি জমায়। পরবর্তী তে অসুস্থতার কারণে দেশে আসেন চিকিৎসা করাতে চিকিৎসা করিয়ে আবার চলে যান সৌদি আরবে। গত ১২ নভেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মৃত্যুর বিষয়টি জানা যায়। দীর্ঘ ১৭ দিন পর তার মরদেহ দেশে পাঠিয়েছে সৌদি আরবের কোম্পানিটি।
সৌদি আরবে নিহত রাসেল মিয়ার পাশের রুমে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানায়, নিহত রাসেল পরিবারের সিদ্ধান্তের বাইরে বিয়ে করেন তার মামাতো বোনকে। পরবর্তীতে দুই পরিবারের মিল না হওয়ায় দুইজনের মধ্যে ডিভোর্স হয়। কিন্তু তাদের মধ্যে পুরাতন প্রেমের সম্পর্ক চলতে থাকে এবং রাসেল দেশে এসে তার সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে একাধিকবার সাক্ষাৎও করেছেন। পরবর্তীতে আবার চলে যান সৌদি আরবে। মামাতো বোনকে বিয়ে করার জন্য রাসেলের সাথে তার পরিবারের বিবাদ লেগেই থাকতো। এ কারণে হয়তো বেডের পাশে জানালায় গামছা বা মাফলার জাতীয় কিছু দিয়ে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।