ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার নিন্দা করেছেন নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। টাইম ম্যাগাজিনের সাথে সাক্ষাত্কারে ট্রাম্পের অভিযোগ, বাইডেন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে যুদ্ধের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিয়েছে।
সাক্ষাত্কারের সময়, ট্রাম্প রাশিয়ার অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে ইউক্রেনের মার্কিন সরবরাহকৃত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারেরও সমালোচনা করেন।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ট্রাম্প বলেন, যা ঘটছে তা এক ধরনের পাগলামি। এটা মূর্খতা। রাশিয়ায় কয়েকশ মাইল দূর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর ব্যাপারে আমি তীব্রভাবে একমত নই। আমাদের এটা করার কারণ কী! আমরা কেবল এই যুদ্ধকে আরও মারাত্মক করছি ও পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছি। এটা অনুমোদন দেওয়া উচিত হয়নি।
ট্রাম্প আরও বলেছেন, প্রায় তিন বছর ধরে চলমান এই যুদ্ধের দ্রুত অবসান চান তিনি। তার কাছে খুব ভালো একটা পরিকল্পনা আছে, কিন্তু এখনই তা প্রকাশ করলে তা মূল্যহীন হয়ে যাবে।
সাক্ষাৎকারের এ পর্যায়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, প্রয়োজনে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করার কথা ট্রাম্প বিবেচনা করছেন কিনা। জবাবে তিনি বলেছেন, তিনি একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে চান। সে লক্ষ্য অর্জনের একমাত্র উপায় হলো কিয়েভকে ত্যাগ না করা।
গত নভেম্বরে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে ইউক্রেনের ওপর থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিধিনিষেধ তুলে নেন। এ খবরের অর্থ হলো দেশটি রাশিয়ায় হামলায় এখন প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের নির্মিত এমন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে।
আগামী জানুয়ারিতে ট্রাম্পের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে কিয়েভকে মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের ওই সবুজ সংকেত দেন বাইডেন। এরইমধ্যে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ায় হামলাও করেছে কিয়েভ।
ওই সময় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছিলেন, বাইডেনের এ সিদ্ধান্তের অর্থ হলো, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সরাসরি জড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তার এ বক্তব্য গত সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ব্যক্ত করা মনোভাবেরই অনুরূপ।
এবি