এইমাত্র
  • সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু
  • টেকনাফে ইয়াবাসহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক
  • ৬ সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ আজ
  • বর্তমান পরিস্থিতিকে মোটেই সমর্থন করি না : ডা. শফিকুর রহমান
  • নওগাঁয় চাচার লাঠির আঘাতে ভাতিজার মৃত্যু
  • যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২
  • সাবেক মন্ত্রীর বাসায় ডাকাতির খবর, শিক্ষার্থীদের ডেকে নিয়ে হামলার অভিযোগ
  • ফের চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বরিশালে আনন্দ উল্লাস
  • আ.লীগকে নিষিদ্ধের দাবীতে জামালপুরে মশাল মিছিল
  • সময়ের কন্ঠস্বরের প্রতিনিধির ওপর হামলার ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
  • আজ শনিবার, ২৫ মাঘ, ১৪৩১ | ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    শিশু সন্তান নিয়ে মেঘনা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন গৃহবধূ

    মো. সাইফুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ভোলা প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:০০ পিএম
    মো. সাইফুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ভোলা প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:০০ পিএম

    শিশু সন্তান নিয়ে মেঘনা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন গৃহবধূ

    মো. সাইফুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ভোলা প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:০০ পিএম

    ভোলার চরফ্যাসনে স্বামীর সাথে অভিমান করে দেড় বছরের শিশু পুত্রকে কোলে নিয়ে মেঘনা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন মাইমনুা বেগম সুখী নামের এক নারী। ভাগ্যক্রমে মা বেঁচে গেলেও প্রাণ হারান কোলে থাকা দেড় বছর বয়সী শিশু পুত্র ইব্রাহিম।

    রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে বেতুয়া লঞ্চঘাট সংলগ্ন প্রশান্তি পার্ক এলাকার মেঘনা নদীতে ঝাঁপ দেন ওই নারী। পরে স্থানীয় দুই যুবক মা ও ছেলেকে নদীতে ভাসতে দেখে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শিশু ইব্রাহিম জিন্নাগড় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুর রহিমের ছেলে। ওই নারী চরফ্যাসন পৌরসভা শরিফপাড়া এলাকার মো. ইয়াছিনের মেয়ে।

    প্রতক্ষ্যদর্শী শাকিল জানান, দুপুরে ওই নারী শিশু পুত্রকে কোলে নিয়ে বেতুয়া প্রশান্তি পার্কের মেঘনা নদীর পাড়ে বসেছিলেন। কিছুক্ষণ পরে দেখতে পান ওই নারী শিশু পুত্রকে বুকে নিয়ে মেঘনার ঢেউয়ের সঙ্গে হাবুডুবু খাচ্ছেন। তাৎক্ষনিক তিনি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় মা ও ছেলেকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পথেই শিশুটির মৃত্যু হয়।

    ওই গৃহবধুর মা তাছনুর জানান, ৪ বছর আগে জিন্নাগড় ইউনিয়নের লোকমান মেম্বার বাড়ির আবদুর রহিমের সাথে পারিবারিকভাবে তার মেয়ে বিয়ে দেন। মেয়ের ঘরে প্রথম সন্তান জম্মের পরপরই জামাতা রহিম ও তার পরিবারের সদস্যরা মেয়েকে নানানভাবে মানুষিকভাবে অশান্তি শুরু করেন। এসব বিষয় মেয়ে মাইমুনা আমাকে একাধিকবার জানিয়েছেন।

    রোববার দুপুরে মেয়ের জামাতা আমাকে ফোনে জানতে চান মাইমুনা আমার বাড়িতে আসছে কিনা। এমন খবর শুনে আমি খুবই বিচলিত হয়ে পড়ি। মেয়ের হাতে কোন মোবাইল না থাকায় তার কোন অবস্থান নিশ্চিত করতে পারিনি। পরে দুপুরে খবর পাই মেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন এবং আমার নাতী মারা গেছেন।

    ওই গৃহবধুর স্বামী রহিম জানান, স্ত্রীর সাথে তার ঝগড়া হয়েছে। কিন্ত এ কারণে তিনি এমন কাজ করবেন তা আমার কল্পনার বাহিরে ছিল।

    চরফ্যাসন থানার উপ-পরিদর্শক মো. হেলাল উদ্দিন জানান, নিহত শিশুর পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তের আবেদন করায় মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…