এইমাত্র
  • সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু
  • টেকনাফে ইয়াবাসহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক
  • ৬ সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ আজ
  • বর্তমান পরিস্থিতিকে মোটেই সমর্থন করি না : ডা. শফিকুর রহমান
  • নওগাঁয় চাচার লাঠির আঘাতে ভাতিজার মৃত্যু
  • যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২
  • সাবেক মন্ত্রীর বাসায় ডাকাতির খবর, শিক্ষার্থীদের ডেকে নিয়ে হামলার অভিযোগ
  • ফের চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বরিশালে আনন্দ উল্লাস
  • আ.লীগকে নিষিদ্ধের দাবীতে জামালপুরে মশাল মিছিল
  • সময়ের কন্ঠস্বরের প্রতিনিধির ওপর হামলার ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
  • আজ শনিবার, ২৫ মাঘ, ১৪৩১ | ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
    আন্তর্জাতিক

    যুদ্ধবিরতির পর বাড়ির পথে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩৮ পিএম
    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩৮ পিএম

    যুদ্ধবিরতির পর বাড়ির পথে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩৮ পিএম

    ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে সংঘাত চলছে গাজায়। সহিংসতার অবসানের জন্য ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার গাজাবাসী আজ সকালে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে শুরু করেছেন।

    লাইন ধরে বাড়ির পথে হাঁটার দৃশ্য ওই অঞ্চলের ফটোগ্রাফারদের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। প্রকাশিত ছবিতে পোশাক এবং অন্যান্য জিনিসপত্র বহনকারী লোকদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। কেউ আবার গাড়ির কনভয়ে চড়ে বাড়ির পথে ফিরছেন। কিছু গাড়ি আবার ফিলিস্তিনি পতাকাধারী লোকে ভরা।

    এর আগে রবিবার সকাল সাড়ে ৮টায় গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হামাস ইসরায়েলি জিম্মিদের তালিকা পাঠানোতে দেরি করায় তারা আবার বিমান হামলা শুরু করে। এতে মাত্র সাড়ে ৩ ঘণ্টার মধ্যে অন্তত ১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২৫ জন আহত হন।

    পরবর্তীতে জিম্মিদের তালিকা পাঠানোর পর স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, তিন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে রবিবার ২টার পরে। আরও চার জীবিত নারী জিম্মিকে সাত দিনের মধ্যে মুক্ত করা হবে।

    সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, রবিবার সকাল থেকে গাজার লোকেরা যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার অপেক্ষায় ছিল। রাফাহ অভিমুখে অগ্রসর হতে শুরু করে। অনেক লোক তাদের মালপত্র একত্রিত করে। তারা ফিরে যেতে শুরু করার জন্য প্রস্তুত।

    প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কিন্তু ওই বাসিন্দা এটাও জানে যে তাদের বেশিরভাগ বাড়িই সেখানে নেই। যুদ্ধে তাদের বেশিরভাগ বাড়িই ধ্বংস হয়ে গেছে। তবুও বেশিরভাগ ফিলিস্তিনি বলছে, তারা ধ্বংসস্তূপের উপরে তাদের তাঁবু ফেলতে যাচ্ছেন।

    বিবিসির প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে আক্রমণের পর থেকে এই সংঘাতের শুরু হয়েছিল। হামাসের ওই হামলায় প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়।

    এর প্রতিশোধ নিতে গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় ইসরায়েল। সেখানে মানবিক সংকট এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে।

    হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলের সামরিক অভিযান চলাকালে ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং গাজার অধিকাংশ অবকাঠামো বিমান হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে।

    তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা হামাসের যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছে এবং বেসামরিক মানুষদের হতাহতের ঘটনা এড়ানোর চেষ্টা করেছে।

    ইসরায়েলের অভিযানের জবাবে পাল্টা রকেট হামলাও চালায় হামাস।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…