এইমাত্র
  • গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো শামীম ওসমানের দাদার বাড়ি ‘বায়তুল আমান’
  • বগুড়ায় আওয়ামী লীগ ও জাসদ কার্যালয়ে ভাঙচুর-আগুন
  • সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাসভবনে হামলা ভাঙচুর আগুন
  • ফের রিজার্ভ ছাড়াল ২০ বিলিয়ন ডলার
  • ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা এ দেশকে অস্থিতিশীল করতে পায়তারা করছে : টুকু
  • আশুলিয়ায় সময়ের কন্ঠস্বরের সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা
  • অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন গ্রেপ্তার
  • জামালপুরে মেহের আফরোজ শাওনের বাড়িতে আগুন
  • বিআইএ'র নির্বাচনে ৭ জনের মনোনয়ন প্রত্যাহার
  • এবার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রি কেনার অভিযোগ
  • আজ শুক্রবার, ২৩ মাঘ, ১৪৩১ | ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    ৯৪ বছরের পুরনো জংশন স্টেশনে ছাউনি না থাকায় যাত্রীদের দূভোর্গ চরমে

    মো. আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৫ পিএম
    মো. আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৫ পিএম

    ৯৪ বছরের পুরনো জংশন স্টেশনে ছাউনি না থাকায় যাত্রীদের দূভোর্গ চরমে

    মো. আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৫ পিএম

    দেশের অন্যতম ঐতিহাসিক রেলওয়ে জংশন স্টেশন চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা। দীর্ঘদিন ধরে রেল কতৃর্পক্ষের অবহেলার শিকার হয়ে আসছে স্টেশনটি। দেড় দশকের বেশি সময় ধরে এ স্টেশনে নেই যাত্রী ছাউনি। নেই বিশুদ্ধ পানি ও টয়লেটের ব্যবস্থাও। যদিও স্টেশন মাস্টার জানান, সব প্রক্রিয়া শেষে শীঘ্রই নিমার্ণ হবে ছাউনি ।

    ব্রিটিশ আমলে স্থাপিত ঐতিহাসিক চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা রেলওয়ে জংশন স্টেশন। ১৯৩০ সালে আব্দুলপুর-আমনুরা ব্রডগেজ এই লাইনটি চালু হয়। ওই সময় থেকেই আব্দুলপুর-আমনুরা শাখা লাইনের সর্বশেষ স্টেশন ছিল আমনুরা রেলওয়ে জংশন স্টেশন। যা পরবর্তীতে এ স্টেশনকে ঘিরে জেলায় রেলযোগাযোগ সম্প্রসারিত হয়।

    আর এ স্টেশনকে ঘিরে ত্রিমুখী রেলপথের একটি গেছে বিভাগীয় শহর রাজশাহী; একটি গেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহর ও আরেকটি গেছে নাচোল-রহনপুর হয়ে ভারতের সিঙ্গাবাদ রেলবন্দরে। কিন্তু ভৌগলিক ও বানিজ্যিক কারণে গুরুত্বপূর্ণ হলেও; আজও এ স্টেশনে লাগেনি কোন উন্নয়নের ছোঁয়া।

    স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হালিম বলেন, আমনুরা রেলওয়ে স্টেশনের যাত্রী ছাউনিটি দেড় দশকের বেশি সময় আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর নতুন করে আর কোনও যাত্রী ছাউনি নিমার্ণ করা হয়নি। ফলে রোদ-বৃষ্টি, ঝড়-কুয়াশা, পরিস্থিতি যেমনই হোকনা কেন ; ট্রেনের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীদের আশ্রয় নেয়ার কোন জায়গা নেই ঐতিহ্যবাহী আমনুরা জংশন স্টেশনে।

    তিনি আরও বলেন,এতে করে প্ল্যাটফরমে খোলা আকাশের নিচেই ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। নেই টয়লেট ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থাও।

    আরেক বাসিন্দা বলেন, স্টেশনটির আধুনিকায়নে যাত্রী ছাউনিসহ সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও যাত্রীসেবা নিশ্চিতে বিভিন্ন সময় আশ্বাসের কথা শোনা গেলেও; স্থাণীয়দের সেই দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নেয়নি রেল বিভাগ।

    ঝিলিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম লুৎফুল হাসান বলেন,যাত্রী ছাউনী,শৌচাগার,পানি এবং ট্রেন এই চারটি জিনিস মানুষের অতিব প্রয়োজন।বর্তমানে আমরা গুরুত্বহীনতার মধ্যে বসবাস করছি। অন্য সব জায়াগায় এসবের ব্যবস্থা থাকলেও আমাদের এখানে এগৃুলো নেই। কিন্তু রেলওয়ে জংশনের জন্য আলাদায় সুযোগ সুবিধা থাকার কথা।অথচ এখানে তার ওল্টোটা ঘটেছে।

    আর আমনুুরা রেল জংশন স্টেশন মাষ্টার হাসিবুল হাসান জানান, এ বিষয়ে কয়েকবার উর্ধ্বতন কতৃর্র্পক্ষকে জানানো হয়েছে। সব প্রক্রিয়া শেষে দ্রুতই যাত্রী ছাউনি নিমার্ণের আশা তার।

    ৯৪ বছরের পুরনো এই ষ্টেশন দিয়ে প্রতিদিন আপ-ডাইন মিলিয়ে ১০ টি ট্রেনে বিভিন্ন রুটে যাতায়াত করেন কয়েক হাজার যাত্রী।

    এফএস

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…