ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী রাজ রিপার আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আবুল বাশার। এ ঘটনায় ১৮ জানুয়ারি গুলশান থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেছেন বাশারের ভাই মো. আব্বাস।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, '১৪ জানুয়ারি রাতে প্রযোজক আবুল বাশার ও তার ভাগ্নে আবু রায়হান গুলশানের রাতের কাবাব রেস্টুরেন্টে ডিনার করতে যান। তখন চিত্রনায়িকা রাজ রিপা ও তার স্বামী শিশির সরদার এবং চিত্রপরিচালক ইফতেখার চৌধুরীও সেখানে যান। ডিনার শেষে রাজ রিপা প্রযোজক আবুল বাশারের কাছে চাষী নামে তার সাবেক ড্রাইভারের বিষয়ে কিছু তথ্য জানতে চান। আবুল বাশার এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানেন না বললে রাজ রিপা ক্ষিপ্ত হয়ে তার মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেন। আবুল বাশার তাতে বাধা দিলে রাজ রিপা মোবাইল দিয়ে একাধিকবার তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে।
একই সময় ইফতেখার চৌধুরীও কোল্ড ড্রিংকসের কাচের বোতল দিয়ে আবুল বাশারকে মাথায় আঘাত করে। অতর্কিত আক্রমণে আবুল বাশার মেঝেতে পড়ে গেলে শিশির সরদার তাকে কিল, ঘুসি, লাথি মারতে থাকে। এ সময় তারা আবুল বাশারের গলায় থাকা ২ ভরি স্বর্ণের চেনও ছিনিয়ে নেয়।'
১৪ জানুয়ারি রাজধানীর গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টের এ ঘটনায় আহত বাশারের মাথায় ছয়টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এতে চিত্রনায়িকা শারমিন আফরোজ রিপা ওরফে রাজ রিপা, চিত্রপরিচালক ইফতেখার চৌধুরী ও রাজ রিপার স্বামী শামীম আহমেদ শিশির ওরফে শিশির সরদারকে আসামি করা হয়েছে।
ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা ঢাকাই সিনেমার আরেক নায়িকা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেশের একটি গণমাধ্যমে জানান, 'আক্রমণ করে রাজ রিপা, ইফতেখার চৌধুরী ও শিশির সরদার চলে যাওয়ার পর আহত আবুল বাশারকে রেস্টুরেন্টের লোকজন গুলশানের সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে তাকে নেওয়া হয় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।'
এ বিষয়ে কথা বলতে রাজ রিপা ও ইফতেখার চৌধুরীকে ফোন করা হলে সাড়া পাওয়া যায় নাই।
এদিকে মামলার অগ্রগতি নিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার সাব-ইন্সপেক্টর হারুনুর রশীদ বলেন, 'আমরা ঘটনার তদন্ত করছি। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়েও কাজ চলছে।'