এইমাত্র
  • সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু
  • টেকনাফে ইয়াবাসহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক
  • ৬ সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ আজ
  • বর্তমান পরিস্থিতিকে মোটেই সমর্থন করি না : ডা. শফিকুর রহমান
  • নওগাঁয় চাচার লাঠির আঘাতে ভাতিজার মৃত্যু
  • যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২
  • সাবেক মন্ত্রীর বাসায় ডাকাতির খবর, শিক্ষার্থীদের ডেকে নিয়ে হামলার অভিযোগ
  • ফের চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বরিশালে আনন্দ উল্লাস
  • আ.লীগকে নিষিদ্ধের দাবীতে জামালপুরে মশাল মিছিল
  • সময়ের কন্ঠস্বরের প্রতিনিধির ওপর হামলার ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
  • আজ শনিবার, ২৫ মাঘ, ১৪৩১ | ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
    আন্তর্জাতিক

    স্বামীর কিডনি বিক্রির টাকা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালালেন স্ত্রী

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩৯ পিএম
    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩৯ পিএম

    স্বামীর কিডনি বিক্রির টাকা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালালেন স্ত্রী

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩৯ পিএম

    পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার এক ব্যক্তি নিজের কিডনি বিক্রি করে স্ত্রী ও মেয়ের ভবিষ্যৎ গড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস! কিডনি বিক্রির ১০ লাখ টাকা নিয়েই স্ত্রী প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন।

    হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে জানা যায়, শঙ্করাইলের এক নারী তাঁর স্বামীকে কিডনি বিক্রি করতে রাজি করান। আশ্বাস দেন, মেয়ের পড়াশোনা ও বিয়ের জন্য টাকা প্রয়োজন। স্ত্রীর অনবরত অনুরোধে স্বামী শেষ পর্যন্ত কিডনি বিক্রিতে রাজি হন। এক বছরের চেষ্টার পর তিন মাস আগে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে নিজের একটি কিডনি বিক্রি করেন তিনি।

    তিনি ভেবেছিলেন, এই অর্থে দারিদ্র্য কাটবে, মেয়ের ভবিষ্যৎ গড়ে উঠবে। কিন্তু স্ত্রী যে এমন ভয়ংকর পরিকল্পনা করছিলেন, তা কল্পনাও করেননি।

    জানা গেছে, কিডনি বিক্রির সময়ই ফেসবুকে এক চিত্রশিল্পীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই নারী। টাকা হাতে পেয়েই স্ত্রী প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনায় বছর ৩৯ বছর বয়সী পিন্টু বেজ নামের ওই ভুক্তভোগী যুবক স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন।

    জানা গেছে, ১৬ বছর আগে প্রেম করে সুপর্ণকে বিয়ে করেন পিন্টু বেজ। তাদের ১২ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। তবে কয়েক বছর ধরে পিন্টু-সুপর্ণের সংসারে চরম অনটন চলছিল। তাই স্ত্রীর অনুরোধে কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন পিন্টু। প্রায় এক বছরের চেষ্টার পর তিন মাস আগে একজন ‘ক্রেতা’ খুঁজে পান তিনি। পিন্টু ১০ লাখ রুপির (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় সোয়া ১৪ লাখ টাকা) বিনিময়ে নিজের একটি কিডনি বিক্রি করেন।

    তিনি আশা করেছিলেন, এতে পরিবারের দারিদ্র্যতা কিছুটা হলেও কমবে এবং মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা সহজ হবে। কিন্তু স্বামীর কিডনি বিক্রির পর ফেসবুকে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া এক ব্যক্তির সঙ্গে ১০ লাখ রুপি নিয়ে পালিয়ে যান তার স্ত্রী।

    এ ঘটনার পর স্বামী পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন এবং স্ত্রী ও তার প্রেমিকের সন্ধানও পান। পরে পরিবারের সদস্য, শ্বশুর-শাশুড়ি ও ১২ বছরের মেয়েকে নিয়ে সেখানে হাজির হন তিনি। তবে সমাধান হয়নি। মামলায় পুলিশের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, তদন্তকারীদের কাছে আগেই ওই নারী অর্থাৎ পিন্টুর স্ত্রী লিখিত ভাবে জানিয়েছিলেন যে, তিনি স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়েছেন। তার প্রেমিক এবং তিনি এখন স্বামী–স্ত্রীর মতো থাকছেন। কেউ তাঁকে জোর করে কিছু করায়নি।

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…