শেরপুরের নকলায় গরুচোর সন্দেহে জনসাধারণের গণপিটুনিতে মুসলিম উদ্দিন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। রবিবার রাতে দক্ষিণ নকলা এলাকায় ওই গণপিটুনির ঘটনা ঘটে।
নিহত মুসলিম ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের গোমড়া এলাকার মৃত মইজ উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় আহতরা হলো—গোমড়া এলাকার মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে আমির হোসেন (৩০), জয়নাল আবেদীনের ছেলে আজি রহমান (১৯), সুরুজ মিয়ার ছেলে রাজু মিয়া (২৫), আবুল হোসেনের ছেলে আয়নাল হক (৩৪) ও পার্শ্ববর্তী সন্ধ্যাকুড়া এলাকার মো. শাহজাদার ছেলে মো. সাদ্দাম (৩০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দক্ষিণ নকলা এলাকার শেরপুর-ঢাকা মহাসড়কের পাশে ওই ৬ জনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে গরুচোর বলে চিৎকার শুরু করে স্থানীয়রা। পরে স্থানীয় কয়েকশ লোক জড়ো হয়ে গরুচোর সন্দেহে গণপিটুনি শুরু করলে গুরুতর আহত হয় তারা। খবর পেয়ে রাতেই নকলা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মুসলিম উদ্দিন। বাকিদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘রাতে শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে আঘাত নিয়ে ৬ জনকে নকলা হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরে হাসপাতালে মুসলিম উদ্দিন মারা যান। বাকি ৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আব্দুল করিম বলেন, ‘নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের ঘটনায় নকলা থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।’