তাওহীদ হৃদয়ের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চিটাগং কিংসকে উড়িয়ে দিয়েছে ফরচুন বরিশাল। ৯ উইকেটের বিশাল জয়ে আসরটির ফাইনালে উঠেছে তামিম ইকবালের দল। তবে হেরে গেলেও এখনই চিটাগংয়ের পথচলা শেষ হচ্ছে না। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খুলনা টাইগার্সের মুখোমুখি হবে তারা। সেখানে জিতেতে পারলে ফাইনালে জায়গা করে নেবে।
আজ সোমবার মিরপুর শের ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দুদল। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় খেলা শুরু হয়। যেখানে শামীম হোসেনের দারুণ এক ইনিংসের সুবাদে প্রথম কোয়ালিফায়ারে প্রথমে ব্যাট করা চিটাগং কিংস নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে এক উইকেট হারিয়ে ও ১৬ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল।
যেখানে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
চিটাগংয়ের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। এমনকি ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তারা বিপদেও পড়ে। তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে পারভেজ হোসেন ইমনকে সঙ্গে নিয়ে ৫০ বলে ৭৭ রান তোলেন শামীম। ইমন ৩৬ বলে ৩৬ করে বিদায় নেন। কিন্তু দুর্দান্ত ব্যাটিং করা শামীম আলীর বলে আউট হলেও ৪৭ বলে ৯টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৭৯ রান করেন।
দলীয় ১৯তম ওভারে বল করেন মোহাম্মদ আলী। প্রথম বলে তিনি খালেদ আহমেদকে ফেরান। পরের বলে আরাফাত সানী এক রান নিয়ে প্রান্ত বদল করেন। এবার তৃতীয় বলে ইনর্ফম শামীম হোসেনকে বিদায় করেন। পরের বলে শরিফুল ইসলাম এক রান নেন। আর শেষ দুই বলে এই পাকিস্তানি পেসার যথাক্রমে সানী ও আলিস আল ইসলামকে আউট করেন। এক ওভারে ৪ উইকেট ও ৪ ওভারের স্পেলে ২৪ রানে পান ৫ উইকেট।
বরিশাল বোলারদের মধ্যে আলী ৪টি ও কাইল মেয়ার্স ২টি উইকেট দখল করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮.৪ ওভারে ৫৫ রান তোলেন অধিনায়ক তামিম ও হৃদয়। নবম ওভারে খালেদ আহমেদের বলে তামিম ব্যক্তিগত ২৯ রানে আউট হন। কিন্তু এরপর আর কোনো উইকেট হারাতে হয়নি তাদের। হৃদয় খেলেন ৫৬ বলে ৮২ রানের অপরাজিত জ্বলজ্বলে ইনিংস। তার ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও ২টি ছক্কা। এছাড়া ২২ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খুলনা টাইগার্সের মুখোমুখি হবে চিটাগং। সেখানের জয়ী দল ফাইনালে যাবে।
এফএস