এইমাত্র
  • বঙ্গোপসাগরে ফিশিং ট্রলারে ডাকাতি, গুলিবিদ্ধ ৩
  • সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু
  • টেকনাফে ইয়াবাসহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক
  • ৬ সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ আজ
  • বর্তমান পরিস্থিতিকে মোটেই সমর্থন করি না : ডা. শফিকুর রহমান
  • নওগাঁয় চাচার লাঠির আঘাতে ভাতিজার মৃত্যু
  • যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২
  • সাবেক মন্ত্রীর বাসায় ডাকাতির খবর, শিক্ষার্থীদের ডেকে নিয়ে হামলার অভিযোগ
  • ফের চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বরিশালে আনন্দ উল্লাস
  • আ.লীগকে নিষিদ্ধের দাবীতে জামালপুরে মশাল মিছিল
  • আজ শনিবার, ২৫ মাঘ, ১৪৩১ | ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
    শিক্ষাঙ্গন

    জাবিতে ইন্টারনেট কর্মচারীর রহস্যজনক মৃত্যু

    রুহুল ইসলাম, জাবি করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:২৪ এএম
    রুহুল ইসলাম, জাবি করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:২৪ এএম

    জাবিতে ইন্টারনেট কর্মচারীর রহস্যজনক মৃত্যু

    রুহুল ইসলাম, জাবি করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:২৪ এএম

    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলের পাশে এক ইন্টারনেট কর্মচারীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

    সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত একটার দিকে ওই হলের পাশ থেকে পড়ে থাকায় অবস্থায় হলের কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উদ্ধার করেন তাকে। পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান হাসপাতালে নেয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

    নিহত নেট কর্মাচারীর নাম প্রীতম রায় (২৩)। তার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরে। তিনি মীর মশাররফ হোসেন হলে ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মাস্টারনেটের কর্মচারী ছিলেন। প্রীতম সাভারের ভাটপাড়া এলাকায় মাস্টারনেটের বাসায় থাকতেন।

    মীর মশাররফ হোসেন হলের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, রাত ১০টার দিকে প্রীতমসহ চারজন কর্মচারী হলে ইন্টারনেট মেরামতের কাজে আসেন। প্রীতম হলের এ-ব্লকের চারতলা ভবনের ছাদে কাজ করছিলেন। বাকিরা হলের অন্যদিকে ছিলেন। পরে সহকর্মীরা প্রীতমের খোঁজ না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকলে একপর্যায়ে তাকে হলের পেছনের অংশে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে। তাঁরা ধারণা করছেন, প্রীতম ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছেন।

    এ বিষয়ে মাস্টারনেটের মালিক মো. রুবেল বলেন, দিনের বেলায় সব শিক্ষার্থী কক্ষে থাকেন না। সে জন্য রাতে তার কর্মচারীরা ইন্টারনেট মেরামতের কাজ করছিলেন। ছাদে প্রীতম ইন্টারনেটের লেজারের কাজ করছিলেন। রাত ১১ টার দিকে হলে বাকি যারা কাজ করছিলেন তাদের একজনকে প্রীতম ফোনে জানিয়েছিলেন, তিনি দুটি লেজার মেরামতের কাজ করেছেন। এখনো দুটি লেজারের কাজ বাকি আছে। এরপরে তাঁর আর সাড়া শব্দ না পাওয়ায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।

    প্রীতমের সঙ্গে হলে কাজ করতে আসা সহকর্মীদের একজন মো. লিংকন বলেন, কাজ করার সময় ওর সঙ্গে ফোনে কথা হয়। এর পরে আবার ওরে কয়েকবার ফোন দিলেও আর ফোন ধরেননি। পরে ছাদের যে অংশে কাজ করছিল সে অংশে গিয়ে কল দিলে ভবনের নিচে প্রীতমের ফোনের রিংটন বাজতে থাকে। তাড়াতাড়ি নিচে গিয়ে দেখি সে মাটিতে পরে আছেন।

    প্রীতমের মৃত্যুর বিষয়ে মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বলেন, 'ঘটনাস্থলে দুবার গিয়ে ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে যেটা ধারণা করছি সেটা হলো, হলের ছাদের চিলেকোঠার অংশের কার্নিশ ধরে ওপরে উঠতে গিয়ে হয়তো সে পড়ে গেছে। কারণ আমরা ওই জায়গার কার্নিশের ইট ভাঙা পেয়েছি।’

    এআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…