আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণকারী শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা মুকিব মিয়াকে আশ্রয় দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে শেকৃবি ক্যাম্পাস।
সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ইলিয়াসুর রহমানের বাসা থেকে মুকিব মিয়াকে আটক করেন পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ ডিবি।পরে রাত ১০টায় আশ্রয় দানকারী ইলিয়াসুর রহমানসহ অন্যান্য আওয়ামীপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের দাবিতে আলাদা আলাদা মিছিল করেন শেকৃবি ছাত্রদল ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
ছাত্রদলের মিছিলটি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান করেন। এসময় উপাচার্যের নিকট জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং ছাত্রদের বিচার দাবি করেন তারা। মিছিলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা 'হই হই রই রই, ইলিয়াস তুই গেলি কই', 'আওয়ামী কেন ক্যাম্পাসে, প্রশাসন জবাব চাই' বলে স্লোগান দেন।
মিছিল শেষে শেকৃবি ছাত্রদলের সভাপতি তাপস কবির বলেন, "ক্যাম্পাসে অবস্থিত আওয়ামীপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিচার না হওয়াতে তারা এখনো বুক ফুলিয়ে আওয়ামী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। শুধু তাই নয় বাইরে থেকে আসা অন্যান্য আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে শেকৃবির শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বাসা। আমরা দ্রুত এসব আওয়ামীদের বিচার ও প্রত্যাহার চাই।"
ছাত্রদলের মিছিলের পরেই মিছিল শুরু করেন শেকৃবির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। মিছিলে তারা 'একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জেলে ভর', 'আমার ভাই কবরে, স্বৈরাচার কেন কবরে' বলে স্লোগান দেন।
মিছিল শেষে শেকৃবি প্রশাসনের কাছে তিনটি দাবি জানান তারা। দাবিগুলো হচ্ছে আওয়ামীপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বাসা বাতিল ও প্রত্যাহার, জুলাই অভ্যুত্থানে বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের ক্লাস ও পরীক্ষা থেকে অব্যাহতি এবং ৩ দিনের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ।
মিছিল শেষে শেকৃবি সমন্বয়ক ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কৃষি ও পরিবেশ সেলের সম্পাদক মোঃ তৌহিদ আহমেদ আশিক বলেন, "তদন্তের নামে বর্তমান প্রশাসন প্রহসন করছেন। ৬-৭ মাস পার হলেও এখনো বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেননি তারা। ক্যাম্পাসে আওয়ামীদের পদচারণাই আমরা নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছি। প্রশাসনকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের বিচার ও প্রত্যাহার করতে হবে একইসাথে সকল আওয়ামীপন্থীদের এলোটমেন্ট বাতিল করতে হবে।"
মিছিল শেষে উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল লতিফ বলেন, "আমরা দ্রুত সময়ে বিচার কার্য শেষ করব। আমাদের তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত, সিন্ডিকেট মিটিংয়ের অপেক্ষায় আছে।"
এআই