"ইউনাইটেড বাই ইউনিক" এই প্রতিপাদ্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বিশ্ব ক্যানসার দিবস পালন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের রেডিওথেরাপী বিভাগের আয়োজনে বেলুন, পায়রা উড়িয়ে ও কেক কেটে দিবসটির শুভ উদ্বোধন করেন হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোঃ গোলাম ফেরদৌস।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেডিওথেরাপী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও রেডিওথেরাপী বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম পাঠানের সঞ্চালনায় এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফেরদৌস।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রতিবছর ৪ ফেব্রুয়ারি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটি উদযাপনের উদ্দেশ্য হলো মারাত্মক ও প্রাণঘাতী ক্যানসার রোগ সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া এবং এ রোগে আক্রান্ত রোগীদের সাহায্য করার জন্য মানুষকে উৎসাহিত করা। সারাবিশ্বে এই রোগের থাবা রয়েছে। উন্নত-আধুনিক দেশ থেকে পিছিয়ে পড়া কোনো দেশই এর বাইরে নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, রোগে মৃত্যুর মধ্যে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বাধিক মৃত্যুর কারণ ক্যান্সার। প্রতিবছর এতে মারা যায় প্রায় এক কোটি মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, সচেতনতা এবং সুষ্ঠু জীবনযাত্রা দিয়ে একটি বড় অংশের ক্ষেত্রে ঠেকিয়ে রাখা যায় এ মারণরোগ। তাই ক্যান্সার নিয়ে আশঙ্কার বদলে সচেতনতার প্রসারই বেশি জরুরি। আর সে কারণেই, প্রতি বছর আমাদের দেশে বিশ্ব ক্যানসার দিবস পালন করা হয়ে থাকে।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সার তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে এবং সেক্ষেত্রে চিকিৎসা সহজ হয়। ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়লে শরীরের বিভিন্ন স্থানে লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপসহ অসংক্রামক রোগ। দেশে বর্তমানে প্রতি লাখে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০৬ জন। এছাড়াও প্রতি বছর নতুন করে ক্যান্সার আক্রান্ত হচ্ছেন ৫৩ জন। মোট মৃত্যুর ১২ শতাংশই ক্যান্সারের রোগী। এমনকি দেশে থাকা ৩৮ ধরনের ক্যান্সারের মধ্যে স্তন, মুখ, পাকস্থলী, শ্বাসনালি এবং জরায়ু মুখের ক্যান্সার রোগীর সংখ্যাই বেশি।
পরিচালক বলেন, ধূমপান, পান-জর্দা-তামাকপাতা খাওয়া, সবজি, ফলমূল ও আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়া, শারীরিক ব্যায়াম না করা, শারীরিক স্থূলতা বা বেশি ওজন, আলট্রাভায়োলেট রশ্মি, এক্স-রে রেডিয়েশন, কিছু রাসায়নিক পদার্থ, কিছু ভাইরাস বা অন্যান্য জীবাণু ক্যানসার ঝুঁকিগুলোর মধ্যে অন্যতম।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মো. জাকিউল ইসলাম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন- মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ক্যানসার ও রেডিওথেরাপী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মজিবুর রহমান খাঁন, রেডিওথেরাপী বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. বিউটি সাহা, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেডিওথেরাপিস্ট ডা. মুঃ রাকিবুল ইসলাম মাসুদসহ রেডিওথেরাপী বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ প্রমুখ।
এআই