এইমাত্র
  • মাদারীপুরে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমানে স্বামীর আত্মহত্যার অভিযোগ
  • নাবিক ও এমওডিসি নেবে নৌবাহিনী, পদ ৪০০
  • গোয়ালন্দে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৩
  • আসন্ন ঈদুল ফিতরে লম্বা ছুটি, কবে থেকে কত দিন
  • টিসিবির জন্য ২৭৩ কোটি টাকার ডাল-তেল ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন
  • ঢাকায় না এসে ইতালি ফিরে গেলেন ফাহমিদুল
  • যে কারণে ধসে পড়ল গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি
  • তসলিমা নাসরিনকে দিল্লি থেকে পশ্চিমবঙ্গে ফেরানোর দাবি বিজিপির
  • ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার
  • ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ
  • আজ মঙ্গলবার, ৪ চৈত্র, ১৪৩১ | ১৮ মার্চ, ২০২৫
    গণমাধ্যম

    সময়ের কন্ঠস্বরের প্রতিনিধির ওপর হামলার ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

    রাজু আহমেদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা প্রকাশ: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৩ এএম
    রাজু আহমেদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা প্রকাশ: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৩ এএম

    সময়ের কন্ঠস্বরের প্রতিনিধির ওপর হামলার ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

    রাজু আহমেদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা প্রকাশ: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৩ এএম

    সাভারের আশুলিয়ায় সময়ের কণ্ঠস্বরের প্রতিনিধিসহ দুজনের ওপর হামলার ঘটনায় সোহেল রানাকে (৪২) প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি গেট এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে আজ শুক্রবার আশুলিয়া থানায় মামলা (নম্বর- ১৮) করেন ভুক্তভোগী।

    সোহেল রানা ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মো. সিদ্দিক (৪৫), আল মামুন খান (৪৮), মো. ফয়জুল ইসলাম (৪০), মো. ইমদাদুল হক (৪০), মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সাগর (৪২)। তারা সাভারের আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকার এলাকার বাসিন্দা। এরমধ্যে সোহেল রানা দৈনিক বণিক বার্তার প্রতিবেদক। তিনি একাধিক মামলার আসামি।

    হামলায় আহতরা হলেন- শামীম হাসান সীমান্ত (৩০) ও আমিনুল ইসলাম (৪০)। এরমধ্যে শামীম হাসান সীমান্ত বেসরকারি টেলিভিশন জিটিভি ও সময়ের কন্ঠস্বরের আশুলিয়া প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। আর আমিনুল ইসলাম সাভারের আশুলিয়ার বাসিন্দা। তিনি একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক হিসেবে কর্মরত।

    মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পেশাগত দায়িত্ব পালনে আহত সাংবাদিক শামীম হাসান সীমান্ত গত ৬ ফেব্রুয়ারি জাবিতে যান। জাবির ভেতরে প্রবেশ করার সময় সেখানে উপস্থিত থাকা সোহেল রানা তাকে কথা আছে বলে ডাকেন। তিনি কাজ শেষে দেখা করার কথা জানালে তার সঙ্গে থাকা সঙ্গীকে রেখে যেতে বলেন অভিযুক্ত সোহেল রানা। বিষয়টি না মানলে প্রথমে সঙ্গী ওই ব্যক্তিকে ও পরে শামীমকেও বেধড়ক মারধর করতে থাকেন অভিযুক্ত ও তার সঙ্গীরা। এতে তাদের শরীরে নিলাফুলা ও রক্তাক্ত জখম হয়। অভিযুক্ত সোহেল রানার হাতের লাঠির আঘাতে আমিনুল ইসলামের মাথা রক্তাক্ত জখম হয়। একপর্যায়ে আহত দুজনকে টানতে টানতে পাশেই তাদের টর্চারসেলে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। সেখানেও তাদের মারধর করা হয়। পরে আশপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে। গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত আমিনুল ইসলামকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

    আহত সাংবাদিক শামীম হাসান সীমান্ত বলেন, 'পেশাগত কারণে আমি জাবিতে যাই। আমার সঙ্গে একজন অতিথি ছিলেন। ওই সময় সোহেল রানা আমাকে ডাকেন। আমি তাকে বলি কাজ শেষ করে এসে দেখা করছি। তখন সে বলে তোর গেস্টকে রেখে যা। তখনই বলে, তুই নাম। ওরে রেখে যা। তখন আমার গেস্ট সোহেল রানাকে বলে, আমাদের যেতে দেন, আর আমাকে রাখবে কেনো? আমাদের ছেড়ে দেন। এটা বলার সঙ্গে সঙ্গে তাকে দুইটা থাপ্পড় দেয় ও একপর্যায়ে তাকে কিল-ঘুষি, লাথি মারতে থাকে। তাকে মারতে মারতে অজ্ঞান করে ফেলে। এ সময় আমাকেও সোহেল রানা, সিদ্দিক, ফয়জুল, আল মামুন খান, সিদ্দিক, ইমদাদসহ কয়েকজন আমাকেও মারধর করে। এরপর আমাদের জাবি মার্কেটে তাদের অফিসে নিয়ে সেখানেও প্রায় ২ ঘণ্টা মারধর করে।

    এসময় সোহেল রানা বিভিন্ন জিনিস দিয়েও আমার শরীরে আঘাত করে। একদম বিনা কারণে তারা আমার ওপর এই হামলা করে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

    মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে শুক্রবার রাতে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিক বলেন, ‘দুইজনকে মারধরের ঘটনায় ভুক্তভোগী শামীম হাসান সীমান্ত বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

    এফএস

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…