দিনাজপুরের হিলি উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শ্রেণির ক্লাস শুরুর এক মাস পার হলেও এখনো বেশিরভাগ বই হাতে পায়নি প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা। এতে করে স্কুলে যাওয়ার আগ্রহ হারাচ্ছেন তারা। ভোগান্তিতেও পড়তে হচ্ছে তাদের। তবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিসাররা বলেছেন দ্রুত সব বই দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে, তারা বলেন, প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে বই উৎসব পালন করা হলেও এ বছর তা করা হয়নি। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়নি সব বই। প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত অধিকাংশ শিক্ষার্থীই বই পেয়েছে, কিন্তু চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অধিকাংশ বিষয়ের বই এখনো পায়নি শিক্ষার্থীরা। নতুন বছরের এক মাস পেরিয়ে গেলেও সব বই না পাওয়ায় স্কুলে যাওয়ার আগ্রহ হারাচ্ছে কমলমতি শিক্ষার্থীরা।
কথা হয় কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে, তারা বলেন, নতুন বছরের একমাস পেরিয়ে গেলেও আমাদের সন্তানরা ঠিকমত লেখা-পড়াতে মনযোগী হতে পারছেন না। প্রথম সাময়িক পরীক্ষার ফলাফল কি করবে তা নিয়ে আমরা সঙ্কিত।
উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা শামসুল আলম বলেন, প্রাক-প্রাথমিকের কোন বই পায়নি তারা, এমনকি ৪র্থ শ্রেণির চারটি এবং ৫ম শ্রেণির তিনটি করে বই পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। তবে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণির সব বই বিতরণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে মাধ্যমিক অফিসের কর্মকর্তা আহছান হাবীব বলেন, ৬ষ্ট, ৯ম ও ১০ম শ্রেণির ৯৫ শতাংশ বই পাওয়া গেলেও অন্য শ্রেণির মাত্র ৩০ শতাংশ বই বিতরণ করেছে শিক্ষা অফিস।
এই উপজেলাতে কিন্ডার গার্টেনসহ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৭০টি এবং কলেজ, মাদ্রাসাসহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৩৮টি। বই না পাওয়াতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের তবে, দ্রুত সকল বই দেওয়া হবে বলছেন সংশ্লিষ্ট এই দুই শিক্ষা কর্মকর্তা।
এমআর-২