এইমাত্র
  • সংগ্রাম শেষ হয়নি, সতর্ক থাকুন: মির্জা ফখরুল
  • রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধির প‌ক্ষে বিএন‌পি
  • পুরনো নয়, ভবিষ্যতের দুর্নীতি প্রতিরোধে জোর দিতে হবে: দুদক চেয়ারম্যান
  • ডাক ও টেলিযোগাযোগ খাতের দুর্নীতি অনুসন্ধানে টাস্কফোর্স গঠন
  • এপ্রিলের ১৯ দিনে প্রবাসী আয় ২০৮৮৫ কোটি টাকা
  • চান্দিনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিরাপত্তা কর্মী নিহত
  • সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামানের ভাগ্নে 'কলম মেম্বার' গ্রেপ্তার
  • বগুড়ায় নুর আলম হত্যা মামলার আসামি নাদিম অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
  • নৌপরিবহন অধিদপ্তরের নতুন ডিজি শফিউল বারী
  • সদস্য দেশগুলোর রাজনৈতিক পর্যায়ে সার্কের অগ্রগতি হয়নি: নেপালের রাষ্ট্রদূত
  • আজ রবিবার, ৭ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২০ এপ্রিল, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    চট্টগ্রামে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি নেতাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা

    গাজী গোফরান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (চট্টগ্রাম) প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১২:২০ এএম
    গাজী গোফরান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (চট্টগ্রাম) প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১২:২০ এএম

    চট্টগ্রামে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি নেতাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা

    গাজী গোফরান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (চট্টগ্রাম) প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১২:২০ এএম

    চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে মুদি দোকানে হামলা, ভাঙচুর ও চাঁদা দাবির অভিযোগে এক বিএনপি নেতাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী নুর হোসেন মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলাটি তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) নির্দেশ দিয়েছেন।

    মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- শেখেরখীল ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল কবির মেহেদী (৫২), রাজিবুল কাদের (৩৮), ফজলুল কাদের (৪৫) এবং মো. রুবেল (৩৫)।

    এজাহার সূত্রে জানা যায়, নুর হোসেন দীর্ঘদিন ধরে শেখেরখীল রাস্তারমাথা এলাকায় একটি মুদি দোকান পরিচালনা করে আসছিলেন। ঘটনার দুই দিন আগে বিএনপি নেতা ফজলুল কবির মেহেদী তার দোকানে এসে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। অন্যথায় দোকান ছেড়ে দিতে হবে বলে হুমকি দেন।

    এরপর ১৬ মার্চ গভীর রাতে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দোকানে হামলা চালান। দরজা ভেঙে প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেন এবং নুর হোসেনের স্ত্রী ও কন্যাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। দোকানের ক্যাশবাক্স ভেঙে নগদ টাকা, মালামাল লুটপাট করেন এবং আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন।

    মামলার বিবরণে আরও উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা দোকানের মাইক, মাইকের মেশিন, স্পিকার ও ব্যাটারিসহ মূল্যবান সরঞ্জাম লুট করে নিয়ে যান। নুর হোসেন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে ফোন করার চেষ্টা করলে তার হাত থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ সময় ফজলুল কবির মেহেদী অস্ত্র উঁচিয়ে বলেন, “থানা-পুলিশ আমাদের কথায় চলে।” আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এলে তিনি প্রকাশ্যে নুর হোসেনকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান।

    মামলার বাদী নুর হোসেন সময়ের কণ্ঠস্বর-কে বলেন, “সেদিন আমার দোকানে লুটপাট চালানোর পর এখন আমাকে রাজনৈতিক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মেহেদীর রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে থানা পুলিশের কাছ থেকে কোনো সহায়তা না পেয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। আমার সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আমি। দোকানের সব মালামাল লুট হয়ে যাওয়ার পর এখন মেয়েদের নিয়ে চলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।”

    বাদীর আইনজীবী তকছিমুল গণী চৌধুরী ইমন সময়ের কণ্ঠস্বর-কে জানান, আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন, যা দ্রুতই শুরু হবে।

    অভিযোগ প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা ফজলুল কবির মেহেদী সময়ের কণ্ঠস্বর-কে বলেন, “আমি একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার। কেন আমি চাঁদাবাজি করব? মামলাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ষড়যন্ত্রমূলক। আমি সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান, এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না।”

    "উল্লেখ্য, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন নামের এক আওয়ামী লীগের নেতাকে গ্রেফতারের পর তাকে ছাড়াতে থানা ঘেরাও করার অভিযোগ উঠে বিএনপি নেতা ফজলুল কবির মেহেদীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। অভিযোগ রয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে চাম্বল বাজারে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় সেলিম উদ্দিন হকিস্টিক নিয়ে সরাসরি নেতৃত্ব দেন। ক্ষমতার পালাবদলের পর বিষয়টি নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং কেউ কেউ তাকে গ্রেফতারের দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেন।"

    এফএস

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…