এইমাত্র
  • কাশ্মির হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলো পাকিস্তান
  • তিউনিসিয়া থেকে ফিরল ২১ বাংলাদেশি
  • আখাউড়ায় পৃথক অভিযানে যুবদল কর্মীসহ গ্রেফতার ৬
  • কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় মোদিকে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
  • পারভেজ হত্যার মূল আসামি মেহরাজকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব
  • এবার গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা পরীমণির
  • ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সোনার দামে বড় পতন
  • পারভেজ হত্যার আসামি বৈষম্যবিরোধী নেতা হৃদয় মিয়াজীর ৭ দিনের রিমান্ড
  • কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, খুলছে হল
  • পহেলগাঁওয়ে হামলাকারীর হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নিতে চান সাহসী আদিল হুসেন
  • আজ বুধবার, ১০ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২৩ এপ্রিল, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    গ্রাম্য সালিশে হাজির না হওয়ায় বাবা-ছেলেকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা

    রবিউল আউয়াল, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৮ পিএম
    রবিউল আউয়াল, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৮ পিএম

    গ্রাম্য সালিশে হাজির না হওয়ায় বাবা-ছেলেকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা

    রবিউল আউয়াল, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৮ পিএম

    ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় গ্রাম্য শালিসে না আসায় বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শালিসকারীদের বিরুদ্ধে।

    রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে নাওগাঁও ইউনিয়নের নাওগাঁও দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পলাশীহাটা গ্রামের মো. রিপন (৩২), নাওগাঁও গ্রামের মোজাম্মেল হক (৬৫), আল আমিনকে (১৩) আটক করে।

    বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতারুল আলম। এ ঘটনার পর থেকে গ্রেফতার আতংকে গ্রামটি প্রায় পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে। যারা গ্রামে আছেন তারাও ভয়ে কোন কিছু বলতে রাজি হয়নি।

    পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বাবা আব্দুল গফুর (৪০) ও ছেলে মেহেদী হাসান (১৫)- এর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য বিক্রি ও চুরি ঘটনায় নিজ গোষ্ঠীর পাশাপাশি অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে গ্রামের মানুষ। এ নিয়ে কয়েক দিন যাবৎ গ্রামে শালিস বসার কথা ছিল। এদিন দুপুরে গফুরের বাড়ি সংলগ্ন নাওগাঁও হোসেনীয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সামনে গ্রামের শত শত মানুষের শালিস বসে। শালিসে আ.গফুর ও মেহিদী হাসান উপস্থিত না হয়ে নিজ ঘরে রাম দা নিয়ে বসে থাকে। বাবা-ছেলের খোঁজে শালিসের লোকজন বাড়িতে গেলে দা নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আসে গফুর।

    এসময় শালিসে উপস্থিত বিক্ষুব্ধ লোকজন দা দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গফুর ও তার ছেলে মেহেদী হাসানকে হত্যা করে। বাবা ছেলেকে হত্যা করার পর শতশত মানুষ রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে গিয়ে হারুন অর রশিদ নামের আরেকজনের বাসা, দোকান ঘর ও একটি মাজার ভাংচুর করেন।

    নিহত গফুরের স্ত্রী শিল্পি আক্তার বলেন, স্থানীয় হাবিবুর রহমানসহ শতশত মানুষ শালিসের নামে আমার স্বামী ও ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। যত অপরাধই করে থাকুক দেশে আইন আছে, আইনের মাধ্যমে বিচার হতো। বাবা ছেলেকে কেন নির্মমভাবে হত্যা করল তাঁরা।

    বাবা ছেলে নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই শালিসকারীরা ঘা ঢাকা দিয়ে মোবাইলফোন বন্ধ করে রেখেছে।

    এ ঘটনায় ফুলবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রোকনুজ্জামান বলেন, নিহত বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে এলাকায় মাদকদ্রব্য বিক্রি ও চুরির অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণে তাদের নিজের গোষ্ঠীর লোকজনও অতিষ্ঠ ছিল বলে গ্রামের লোকজন জানিয়েছেন। সে কারণে শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে গ্রাম্য শালিস বসেছিল, কিন্তু তারা শালিসে না আসায় বিক্ষুদ্ধরা গিয়ে বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর চালায়। এঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে এবং হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।

    এনআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…