সম্পর্ক জোরদার করতে সৌদি আরব সফরে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) জেদ্দায় পৌঁছেছেন তিনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তেলসমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশটিতে এটি তার তৃতীয় সফর। দুই দিনের এই সফরে মোদী ভারতীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করবেন বলেও জানা গেছে।
ভারতে মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার একদিন পর এই সফর করলেন মোদী। নয়াদিল্লি ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি সই ও শুল্ক আরোপ বন্ধ করার চেষ্টা করছে।
এর আগে এক বিবৃবিতে মোদী জানিয়েছেন, সৌদি আরবের সঙ্গে দীর্ঘ ও ঐতিহাসিক সম্পর্ককে গভীরভাবে মূল্য দেয় ভারত, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কৌশলগত গভীরতা ও গতি অর্জন করেছে।
উল্লেখ্য, সৌদির প্রধানমন্ত্রী, মুহাম্মদ বিন সলমনের সৌদির আমন্ত্রণেই প্রধানমন্ত্রী মোদির এই বিদেশ সফর। সেখানে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হবে দু দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে জনগণের ভূমিকাকেও অগ্রাধিকার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সৌদিতে বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয়দের দু’দেশের মধ্যে ‘জীবন্ত সেতু’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন মোদি।
কূটনৈতিক দিক দিয়ে এই বৈঠক দুই দেশের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। ভারতে সৌদির অপরিশোধিত তেল রফতানি এবং তৈল সংশোধনাগারে বিনিয়োগের বিষয়েও আশাবাদী কূটনৈতিক মহল। পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে অন্তত ৬টি মউ সাক্ষর হতে পারে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। আলোচনা হতে পারে হজ যাত্রীদের কোটা-সহ এই সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়েও।
মোদি জমানায় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়েছে। সেই সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে দুদিনের কর্মসূচি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর।
প্রসঙ্গত, ভারতের সর্বোচ্চ অপরিশোধিত তেল রফতানিকারি তিনটি দেশের মধ্যে একটি হল সৌদি আরব। মোদির সফরে ভারতকে তেল রফতানির ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা করতে পারে রিয়াধ। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর, এটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় সফর। এর আগে ২০১৬ সালে এবং ২০১৯ সালেও সৌদি গিয়েছেন তিনি। আর ২০২৩ সালে ভারতে আসেন সৌদির যুবরাজ সলমন ।
এবি