বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করা এবং অতীতের গণহত্যা ও গুম-খুনের ঘটনায় দলের প্রধান শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের বিচার করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর শাইখুল হাদিস ইবনে শাইখুল হাদিস আল্লামা মামুনুল হক।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিচার শেষে যদি কোনো আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী বেঁচে থাকে, তবেই তাদের রাজনীতির সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। তবে সঠিক বিচার হলে আওয়ামী লীগ পরিচালনার মতো কেউ অবশিষ্ট থাকবে না। মামুনুল হক বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে সরকারের গৃহীত উদ্যোগে রমজানে দ্রব্যমূল্য কমানো, লোডশেডিং মুক্ত পরিবেশ তৈরি এবং অর্থনীতিতে ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা গেছে।
সম্প্রতি গঠিত নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার নিন্দা জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, ইসলামের পরিপন্থী এসব সুপারিশ দ্রুত বাতিল করতে হবে। তিনি দাবি করেন, দেশের ৯০ শতাংশ নারী এই প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে।
শেখ মুজিবুর রহমান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শেখ মুজিব বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছা ও অধিকারকে পদদলিত করেছিলেন। তার আমলে ভারতীয় ধর্মীয় মতবাদ আমদানি করে বাংলাদেশকে ভারতের শৃঙ্খলে বন্দী করা হয়। তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে ভারতের আধিপত্য আর কখনও প্রতিষ্ঠিত হবে না।
গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মুফতী শরাফত হুসাইন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক মুসা, বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু এবং সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা শাহিনুর আলম।
গণসমাবেশটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুফতি আহমাদুল্লাহ সিরাজী এবং সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি মুফতি আব্দুর রউফ।
এআই